বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস আজ

প্রসূতির মৃত্যু কমিয়ে অনন্য বাংলাদেশ

সৈয়দ ঋয়াদ, ঢাকাটাইমস
| আপডেট : ১১ জুলাই ২০১৯, ১০:১৮ | প্রকাশিত : ১১ জুলাই ২০১৯, ১০:০৫

গর্ভকালীন বা প্রসবকালীন মাতৃমৃত্যুর হার কমিয়ে বিশ্বে অনন্য নজির রেখেছে বাংলাদেশ। বর্তমানে বাংলাদেশে গর্ভকালীন বা প্রসবকালে মাতৃমৃত্যুর হার ১ দশমিক ৬৯ শতাংশ। ২০০৪ সালে এ হার ছিল ৩ দশমিক ২০ শতাংশ। প্রসূতির মৃত্যু হার কমিয়ে বাংলাদেশ দক্ষিণ এশীয় দেশগুলোর পাশাপাশি স্বল্পোন্নত অনেক দেশকেই ছাড়িয়ে গেছে।

আজ বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস। দিবসটিতে এবারের প্রতিপাদ্য বিষয় নির্ধারণ করা হয়েছে- ‘জনসংখ্যা ও উন্নয়নে আন্তর্জাতিক সম্মেলনের ২৫ বছর: প্রতিশ্রুতি দ্রুত বাস্তবায়ন।’ ১৯৯০ সালের ১১ জুলাই প্রথমবার ৯০টি দেশে বিশ্ব জনসংখ্যা দিবসের উদযাপনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তারই ধারাবাহিকতায় নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে এ বছর বাংলাদেশ বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস পালন হচ্ছে।

বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে আটটায় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজা থেকে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের হবে। সাড়ে ১০টায় ফার্মগেট কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান, আলোচনা সভা এবং পুরস্কার বিতরণের আয়োজন করা হয়েছে।

আগামী ১২-১৪ নভেম্বর কেনিয়ার নাইরোবিতে অনুষ্ঠিত হবে ‘নাইরোবি সামিট’। এই সামিটের সামগ্রিক প্রতিপাদ্যের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে এবারের বিশ্ব জনসংখ্যা দিবসের প্রতিপাদ্য বিষয় নির্ধারিত হয়েছে।

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আসাদুল ইসলাম বলেন, ‘স্বল্পোন্নত দেশগুলোয় ৯৪ সালে যেখানে মাত্র ১৫ শতাংশ নারী আধুনিক পরিবার পরিকল্পনা ব্যবহার করতো, বর্তমানে তা বেড়ে ৩৭ শতাংশ হয়েছে। বাংলাদেশে এ হার বর্তমানে ৬১ দশমিক ৬ শতাংশ। স্বল্প আয়ের দেশে ২৫ বছর আগে একজন নারী কমপক্ষে ছয়টি সন্তান জন্ম দিত, যা বর্তমানে চার-এর নিচে নেমে এসেছে। বাংলাদেশে এ হার বর্তমানে ২ দশমিক শূন্য ৫ জন।’

‘২৫ বছর আগে স্বল্পোন্নত দেশে প্রতি ১ হাজার নারীর মধ্যে আটজন নারী গর্ভকালীন বা প্রসবকালীন সময়ে মারা যেত। বর্তমানে তা অর্ধেকে নেমে এসেছে। আর বাংলাদেশে গর্ভকালীন বা প্রসবকালে মাতৃমৃত্যু হার বর্তমানে ১ দশমিক ৬৯ শতাংশ। ২০০৪ সালে এ হার ছিল ৩ দশমিক ২০ শতাংশ।’

সচিব জানান, এসব অর্জন সত্ত্বেও কায়রোর প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে এগিয়ে যেতে হবে এবং সেইসঙ্গে গতিশীলতা বাড়াতে হবে। তা করতে তিনটি বিষয়কে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। সেগুলো হলো- পরিবার পরিকল্পনার তথ্য ও সেবার অপূর্ণ চাহিদার হার শূন্যের কোটায় নিয়ে আসা; কোনও নারী সন্তান জন্মদানকালে মারা যাবে না, অর্থাৎ প্রতিরোধযোগ্য মাতৃমৃত্যুর হার শূন্যে নামিয়ে আনা; মেয়ে ও নারীর প্রতি সহিংসতা ও যৌন হয়ারানির প্রবণতা বন্ধ হওয়া।

ঢাকাটাইমস/১১জুলাই/এসআর/ডিএম/এমআর

সংবাদটি শেয়ার করুন

জাতীয় বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :