পুলিশের নন্দনতত্ত্ব

প্রকাশ | ১১ জুলাই ২০১৯, ১৯:১১

মোহাম্মদ সানোয়ার হোসেন

ডিবি অফিসের একসময়ের আবর্জনাময় আর দূর্গন্ধযুক্ত এই পুকুরটি এখন সকলের সুস্থ্য মনের খোরাক যোগায়। পুকুরটির মাঝখানে স্থাপিত হয়েছে একটি অভূতপূর্ব বসার জায়গা যার নাম দেয়া হয়েছে ‘বৃষ্টি বিলাস’। সেখানে জুস, কফিসহ আরো অনেক কিছুই পাওয়া যায়। পুকুরের চারিদিকে আগাছা পরিষ্কার করে তৈরি করা হয়েছে একটি চক্রাকার ‘ওয়াক ওয়ে’।

ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার ও কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের প্রধান মনিরুল ইসলামের নির্দেশে কয়েকজন সিনিয়র কর্মকর্তা নিজ উদ্যোগে এটি নির্মাণ করেন। এখন এটি অফিসের সবার নিঃশ্বাস আর বিশ্রামের কেন্দ্রস্থল। পুকুরের সবুজ পানি আর চারিদিকের সবুজ দৃশ্যপট চোখের সাথে সাথে মনকেও অনেকটা শীতলতা দান করে এবং দূর করে সকল প্রকার ক্লান্তি।

অপরাধ নিয়ে কাজ করতে গিয়ে পুলিশ অনেক সময় ক্লান্ত হয়ে যায়। তার মনন, মানবিকবোধ, বিচারিক শক্তি, সদ্যবহার এবং আচরণে সেই ক্লান্তির ছাপ স্পষ্টতর হয়ে উঠে। সে কারণে অপরাধ দমন করতে গিয়ে অনেকে নির্দ্বিধায় অপরাধের কালিমায় নিজেকে জলাঞ্জলি দেয়। কিন্তু, মানবিক সমাজ আর প্রাকৃতিক পরিবেশের সৌন্দর্যের ছোঁয়ায় তার মনের ক্লান্তি দূর করা সম্ভব। তাই তো কাটখোট্টা পেশায় জড়িত ব্যক্তিদের চারপাশ মনোরম হওয়া আবশ্যক।

সে উদ্দেশ্যই থানাগুলোকে নন্দন তাত্ত্বিকতার দিকে জোর দিতে বলা হয় পুলিশ হেডকোয়ার্টার থেকে। আশা করি মনোবিজ্ঞানীরাও এ বিষয়য়ে একমত হবেন।

 (ফেসবুক থেকে নেয়া)

লেখক: পুলিশ সুপার, কাউন্টার টেরোরিজম এন্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম, ডিএমপি