‘যুদ্ধাপরাধীর সন্তানরা আ.লীগের সদস্য হতে পারবে না’

প্রকাশ | ১১ জুলাই ২০১৯, ১৯:৪৬

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
ফাইল ছবি

মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ.ক.ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, ‘যুদ্ধাপরাধীর সন্তানরা কোনোভাবেই আওয়ামী লীগের সদস্য হতে পারবে না। যদি কোথাও সদস্য হয়ে থাকে, তাহলে তাকে বহিষ্কার করা হবে। এটা নিয়ে বিতর্কের কিছু নেই।’

বৃহস্পতিবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ উপজেলার সোনারামপুর এলাকায় ভারতীয় মিত্র বাহিনীর স্মরণে স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণের জন্য জায়গা পরিদর্শনে এসে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন।

যুদ্ধাপরাধীদের বিচারকাজ সম্পর্কে জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, ‘যুদ্ধাপরাধীদের বিচার কোনো অবস্থাতেই থমকে যাবে না। আপনাদের এখানে যারা যুদ্ধাপরাধী ছিল, তাদের বিরুদ্ধে মামলা করেন। পর্যায়ক্রমে যুদ্ধাপরাধীদের শাস্তি হচ্ছে। যারা খুব বড় যুদ্ধাপরাধী তাদের বিচারের কথা পত্র-পত্রিকায় ওঠে, মানুষ জানতে পারে। যারা নিম্নপর্যায়ে স্বাধীনতার বিরোধিতা করেছে- তাদের যে যাবজ্জীবন বা অন্যান্য শাস্তি হচ্ছে সেগুলো পত্র-পত্রিকায় আসে না বলে মনে হচ্ছে যে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার কাজ স্থগিত হয়ে গেছে। কিন্তু সেটা ঠিক নয়, বিচার কাজ চলমান আছে।’

ভুয়া মুক্তিযোদ্ধাদের প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, ‘যারা মুক্তিযোদ্ধা নন- এমন ব্যক্তিরা আমাদের তালিকাভুক্ত আছে। যখনই ভুয়া মুক্তিযোদ্ধাদের ব্যাপারে অভিযোগ পাচ্ছি, তদন্ত করে তখনই তাদের বাতিল করা হচ্ছে।  এ কার্যক্রম অব্যাহত আছে। সাত শতাধিক ভারতীয় সৈন্য আমাদের পাশে থেকে যুদ্ধ করে বাংলার মাটিতে শহীদ হয়েছেন। আমরা তাদের স্মরণে একটি স্মৃতিস্তম্ভ করতে চাই। যেহেতু আশুগঞ্জে বেশি যুদ্ধ হয়েছে, তাই আমরা মনে করি আশুগঞ্জের কোথায় স্মৃতিস্তম্ভটি হলে ভালো হবে।’

এ সময় মন্ত্রীর সঙ্গে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব এস.এম আরিফ উর রহমান, জেলা প্রশাসক হায়াত-উদ-দৌলা খান, আশুগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হানিফ মুন্সি, আশুগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নাজিমুল হায়দার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর দপ্তর) আবু সাঈদ, বাংলাদেশ আইন সমিতির সভাপতি কামরুজ্জামান আনসারী ও আশুগঞ্জ উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার ইকবাল হোসেন প্রমুখ।

(ঢাকাটাইমস/১১জুলাই/এলএ)