অস্ট্রেলিয়া-ইংল্যান্ডের ১৪২ বছরের দ্বৈরথ

প্রকাশ | ১১ জুলাই ২০১৯, ২০:৩৮ | আপডেট: ১১ জুলাই ২০১৯, ২২:২৯

আন্তর্জাতিক ডেস্ক, ঢাকাটাইমস

ক্রিকেট দুনিয়ায় ভারত-পাকিস্তানের পাশাপাশি অস্ট্রেলিয়া-ইংল্যান্ডের দ্বৈরথ সবচেয়ে প্রাচীন ও বনেদী খেলা হিসেবে পরিচিত। দুটি দলের ক্রিকেট খেলায় খেলোয়াড়দের পাশাপাশি দর্শকরাও উত্তেজনায় টগবগ করতে থাকে।

ক্রিকেট বিশ্বে অন্যতম শক্তিশালী দল হচ্ছে ইংল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়া। ২০১৯ বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে দুই দল মুখোমুখি হয়েছে।

১৬০০ শতকে ইংল্যান্ডের মাটিতে ক্রিকেটের যাত্রা শুরু হয়। তখন কোন আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ম্যাচ অনুষ্ঠিত হতো না। আঠার শতকের শেষার্ধে প্রথম আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়।

আঠারো শতকের শেষার্ধে অস্ট্রেলিয়া-ইংল্যান্ডের ম্যাচকে কেন্দ্র করেই দ্বন্দ্বের শুরু।   ১৮৮২ সালে নিজ দেশের মাটিতে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ইংল্যান্ড পরাজিত হয়। ইংল্যান্ডের সাংবাদিক রিজিনাল্ড সিরলে ব্রোক্স একটি পত্রিকায় ইংল্যান্ডের পরাজয়কে কৌতুকভাবে বর্ণনা করেন। অস্ট্রেলিয়ার পরাজয়ের কারণে ইংল্যান্ড ক্রিকেটের মৃত্যু হয়েছে বলে লিখেন। ইংল্যান্ড ক্রিকেট দলের ‘শবের ছাই’ অস্ট্রেলিয়া নিজ দেশে নিয়ে গেছে।

পরবর্তী ঘটনার রেশ এখনও চলছে। ১৯৮২-৮৩ সালে ইংল্যান্ড অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে খেলতে যায়। তখন ইংল্যান্ডের ক্যাপ্টেন ছিলেন ইভো বিল্গ। লক্ষ্য হিসেবে ইংল্যান্ড ক্রিকেট দলের ‘শবের ছাই’ পুনরুদ্ধারের কথা ঘোষণা করেন। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে জয় পাওয়ায় তিনি একটি ছোট শবের পাত্র পেয়েছিলেন। ধারণা করা হয়, ঐ পাত্রে শবের ছাই ছিল।

সেই ঘটনাকে কেন্দ্র করে তাদের মাঝে দ্বৈরথের শুরু। যে দ্বৈরথ এখনও চলছে।

তারপর থেকে দুটি দলের মাঝে অনুষ্ঠিত টেস্ট ম্যাচকে ‘অ্যাশেজ সিরিজ’ বলা হয়। সিরিজে শবের পাত্রটি জয়ী দল পুরষ্কার হিসেবে লাভ করে। পাত্রটি ছোট হলেও এর মাহাত্ম্য ১৫০ বছরের। তবে টেস্ট ম্যাচের পাশাপাশি একদিনের আন্তর্জাতিক ম্যাচ ও টি-টুয়েন্টি ম্যাচেও এর প্রভাব রয়েছে।

দুটি দলের খেলোয়াড়দের কাছে ‘অ্যাশেজ’ এর পুরষ্কারটি অন্য যেকোন পুরষ্কারের তুলনায় মূল্যবান।  

ঢাকাটাইমস/১১জুলাই/আরআর/ডব্লিউবি