ঘুষের টাকা ফেরত দিলেন কুষ্টিয়া ডিসি অফিসের সহকারী

কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের অফিস-সহকারী কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক আনোয়ার হোসেনের বিরুদ্ধে ঘুষ নেয়ার অভিযোগ পাওয়া যায়। ঘুষ নেয়ার সতত্যা পাওয়ায় জেলা প্রশাসকের নির্দেশে ঘুষের টাকা ফেরত দিতে বাধ্য হলেন ওই দুর্নীতিবাজ কর্মচারী। সেই সাথে তাকে শাস্তিমূলক বদলি করেছেন জেলা প্রশাসক আসলাম হোসেন।

জানা গেছে, কুষ্টিয়া সুগার মিলের কর্মকর্তা সেতাফুর রহমান তার নিজ নামে একটি বন্দুকের লাইসেন্স করেন। কিছুদিন আগে তিনি মারা গেলে পরিবারের সব সদস্য একমত হয়ে মৃত সেতাফুর রহমানের ছেলে আতিকুর রহমান এলেনের নামে বন্দুকের লাইসেন্স হস্তান্তর করার সিদ্ধান্ত নেন। এ সিদ্ধান্তের প্রেক্ষিতে এলেন সব কাগজপত্র নিয়ে হাজির হন অস্ত্র লাইসেন্স নবায়ন করার দায়িত্বে থাকা অফিস-সহকারী কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক আনোয়ার হোসেনের কাছে। সুযোগ বুঝে আনোয়ার হোসেন এলেনের কাছে দুই লাখ টাকা দাবি করেন। ঘুষের টাকা না দেয়ায় কাজ না করে এলেনকে ঘুরাতে থাকেন দিনের পর দিন। ঘুষ ছাড়া কাজ হবে না বিষয়টি স্পষ্ট জানিয়ে দেন আনোয়ার।  এলেন বাধ্য হয়ে আনোয়ার হোসেনকে ৯০ হাজার টাকা ঘুষ দেন। ফাইলের কিছু কাজ এগিয়ে এলেনের কাছে আরো অতিরিক্ত এক লাখ টাকা ঘুষ দাবি করেন আনোয়ার। এলেন আর কোন টাকা দিতে পারবে না জানালে তার আবেদন ফাইলবন্দি করে রেখে দেন আনোয়ার।

গত বুধবার (১০ জুলাই) ঘুষ নেয়ার বিষয়টি জেলা প্রশাসককে জানালে অফিস-সহকারী কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক আনোয়ার হোসেনকে তাৎক্ষণিক খোকসাতে বদলি করা হয় এবং ঘুষের টাকা ফেরত দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়।

এরই প্রেক্ষিতে ‘দুর্নীতিবাজ’ এই কর্মচারী গত বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) এলেনকে ঘুষের ৯০ হাজার টাকা ফেরত দেন।
ঘুষের টাকা নেয়া ও ফেরত দেয়ার কথা স্বীকার করে আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘ঊর্র্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে টাকা ফেরত দিয়েছি। কিন্তু তিনি তার বিরুদ্ধে উত্থাপিত অন্যসব অভিযোগ অস্বীকার করেন।’

ভুক্তভোগী এলেন জানান, জেলা প্রশাসকের নির্দেশে আনোয়ার হোসেন আমাকে তার ভাইয়ের কুষ্টিয়া ইসলামী ব্যাংকের থাকা হিসাবের মাধ্যমে ঘুষের ৯০ হাজার টাকা ফেরত দিয়েছে।

জেলা প্রশাসক আসলাম হোসেন জানান, ঘুষ নেয়ার অভিযোগের সতত্যা পাওয়ায় তাকে শাস্তিমূলকভাবে খোকসায় বদলি করা হয়েছে।

(ঢাকাটাইমস/১২জুলাই/এলএ)