রাবিতে ছাত্রলীগ কর্মীকে ‘মারধরের’ অভিযোগে শিক্ষক অবরুদ্ধ

প্রকাশ | ১২ জুলাই ২০১৯, ২২:১১ | আপডেট: ১৩ জুলাই ২০১৯, ০০:৩১

রাবি প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের এক কর্মীকে মারধরের অভিযোগে এক শিক্ষককে অবরুদ্ধ করে রাখার ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর একাডেমিক ভবনে আইন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. এনামুল জহিরকে অবরুদ্ধ করে রাখেন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। চেম্বারে আটকে রেখে দরজায় তালাও ঝুলিয়ে দেয়া হয়। এ সময় তারা ওই শিক্ষকের বিচার দাবি করেন।

তবে পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরের উপস্থিতিতে বিক্ষোভকারীরা তালা খুলে দেন।

মারধরের অভিযোগ এনেছেন মৃৎশিল্প ও ভাস্কর্য বিভাগের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী সুপ্ত সাহা অনিক। তিনি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের কর্মী বলে জানা গেছে।

সুপ্ত সাহার অভিযোগ, বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে সুপ্ত তার বান্ধবীকে নিয়ে ক্যাম্পাসে ঘুরতে বের হয়। ক্যাম্পাসের পুরাতন ফোকলোর চত্বরের পুকুরপাড়ে শিক্ষক এনামুল তাদের ডাক দেন। এ সময় তিনি মেয়েটিকে কটূক্তি করে কথা বলেন। সুপ্ত এর প্রতিবাদ করায় শিক্ষক এনামুল তাকে কিল ঘুষি মারেন এবং চলে যেতে বলেন। পরে সৈয়দ ইসমাঈল হোসেন সিরাজী ভবনের সামনে আবার তাদের পথরোধ করেন এবং সুপ্তকে মারধর করেন। এরই প্রেক্ষিতে ওই শিক্ষককে তার চেম্বারে অবরুদ্ধ করে তালা ঝুলিয়ে দেন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।

বিক্ষুব্ধ ছাত্রলীগ কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বিকাল ৫টার দিকে সুপ্ত বন্ধুদের নিয়ে শিক্ষক এনামুলের চেম্বারে আসেন। তখন ওই শিক্ষক তাদের অপমান করে বের করে দেন। এর কিছুক্ষণ পর ছাত্রলীগের অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী জড়ো হয়ে শিক্ষকের চেম্বারে তালা ঝুলিয়ে সেখানে অবস্থান নেন। তারা মেয়েটিকে কটূক্তি করা ও শিক্ষার্থীকে মারধরের প্রতিবাদে স্লোগান দিতে থাকেন। ঘণ্টাখানেক পর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডি ও বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতা ঘটনাস্থলে আসেন। পরে প্রক্টরিয়াল বডি বিষয়টি দেখবেন বলে আশ্বাস দিলে বিক্ষোভকারীরা চেম্বারের তালা খুলে দেন।

এ বিষয়ে শিক্ষক এনামুলের সঙ্গে কথা বলতে গেলে তিনি সাংবাদিকদের সঙ্গে কোনো কথা বলবেন না বলে জানান।

প্রক্টর অধ্যাপক লুৎফর রহমান বলেন, ‘আমি সুপ্তকে লিখিত অভিযোগ দিতে বলেছি। লিখিত অভিযোগ পেলে আমরা বিষয়টির তদন্ত করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেব।’

(ঢাকাটাইমস/১২জুলাই/এলএ)