বন্যা পরিস্থিতির অবনতি, দুর্ভোগে লাখো মানুষ

প্রকাশ | ১৩ জুলাই ২০১৯, ০০:০২

ঢাকাটাইমস ডেস্ক, ঢাকাটাইমস
সুনামগঞ্জে বন্যা।

ভারী বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে নদ-নদীর পানি বেড়ে প্লাবিত হয়েছে দেশের বিস্তীর্ণ এলাকা। উত্তরে বৃহত্তর রংপুর, মধ্যাঞ্চলে বৃহত্তর ময়মনসিংহ, উত্তর পূর্বে বৃহত্তর সিলেট এবং পার্বত্য চট্টগ্রামের লাখ লাখ মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছেন। 

তিস্তা, দুধকুমোর, মহারশী, বহ্মপুত্র, ধরলা, নেত্রকোণায় সোমেস্বরী, উব্ধাখালী, কংশ, ধনু, জামালপুরে যমুনা, সিলেটে সুরমা, কুশিয়ারা, খাসিয়ামারা, যাদুকাটা, পাটলাই, রক্তি ও বান্দরবানে সাঙ্গু নদীর পানি বেড়ে প্লাবিত হয়েছে নদী সংলগ্ন জেলা। পানিবন্দী হয়ে পড়েছেন হাজার হাজার মানুষ। বৃষ্টিতে টাঙ্গাইলে একটি রেল সেতু দেবে ট্রেন চলাচল বিঘ্নিত হচ্ছে। আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে আরো কয়েকদিন ভারী বর্ষণ চলতে পারে। ঢাকাটাইমস প্রতিনিধিদের পাঠানো সর্বশেষ বন্যা পরিস্থিতির খবর:

বৃহত্তর সিলেটের বিস্তীর্ণ এলাকা পানির নিচে

সিলেট অঞ্চলের নদ নদীতে পানি বাড়ছেই। গতকালও নতুন করে প্লাবিত হয়েছে সিলেটের গোয়াইনঘাট ও কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার উপজেলার নিচু এলাকাগুলো। বিপৎসীমার ওপর দিয়ে বইছে সুরমা ও কুশিয়ারা।

সিলেট পানি উন্নয়ন বোর্ডর নির্বাহী প্রকৌশলী শহীদুজ্জামান সরকার জানান, সুরমা শুক্রবার একটি পয়েন্টে বিপৎসীমার ৩৫ সেন্টিমিটার ও আরেকটিতে ৯৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে বইছিল।

কুশিয়ারা বিয়ানীবাজারের শেওলা পয়েন্টে বিপৎসীমার ৫ সেন্টিমিটার, অমলশিদ পয়েন্টে ৩৫ সেন্টিমিটার ও শেরপুর পয়েন্টে ২৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে বইছিল।

অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সন্দ¦ীপ সিংহ বলেন, পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন অন্তত ১০০টির বেশি গ্রামের মানুষ। এছাড়া ৬০টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পাঠদান বন্ধ রয়েছে। গোয়াইনঘাট উপজেলা সদরের সঙ্গে বিভিন্ন এলাকার সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। 

সুনামগঞ্জে বন্ধ হয়ে গেছে অন্তত ২৩৮ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। জেলার আটটি উপজেলার অন্তত ১৮৮টি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও ছয়টি উপজেলার ৫০টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়/মাদ্রাসায় বন্যার পানি প্রবেশ করেছে। ফলে এসব প্রতিষ্ঠানে পাঠদান বন্ধ রয়েছে। আরো শতাধিক প্রাথমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন এলাকার রাস্তাঘাট ডুবে যাওয়ায় শিক্ষার্থীদের স্কুলে পাঠাচ্ছেন না অভিভাবকরা।

শুক্রবার সকালে সুরমা সুনামগঞ্জে বিপৎসীমার ৯৮ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে বইছিল। নদী তীরবর্তী বাড়িঘর ও হাওর পাড়ের বাড়ি ঘরে ভাঙনের মুখে পড়েছে। সরকারি হিসাবে জেলায় প্রায় ১৩ হাজার পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

বন্যা পরিস্থিতি মোকাবেলায় সরকারি কর্মকর্তাদের সার্বক্ষণিক কর্মস্থলে থাকার এবং আশ্রয়কেন্দ্র গুলো সব সময় খোলার রাখার নির্দেশনা দিয়েছে জেলা প্রশাসন।

ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সহায়তায় জন্য সুনামগঞ্জ সদর, তাহিরপুর, বিশ্বম্ভরপুর, জামালগঞ্জ, দোয়ারাবাজার উপজেলায় ৫০ হাজার টাকা করে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এক হাজার ২৩৫ প্যাকেট শুকনো খাবার এবং ২০০ মেট্রিক টন চাল মজুদ রাখা হয়েছে।

জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল আহাদ বলেন, ‘আমরা ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় খাবার পৌঁছে দিয়েছি। জরুরি পরিস্থিতি মোকাবেলায় পাঁচ হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার ও ৩০০ মেট্রিক টন চালের জন্য সরকারের কাছে আবেদন করেছি।’

উত্তরে তিস্তা, ব্রহ্মপুত্র ছাড়িয়েছে বিপৎসীমা 

লালমনিরহাটে তিস্তা শুক্রবার বিপৎসীমা ছাড়িয়ে ২২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে বইছিল। ধরলাও বিপৎসীমা ছুঁইছুঁই। অন্যান্য নদীর পানিও বাড়ছে।

পানি বাড়তে থাকায় প্ল¬াবিত হয়েছে নতুন নতুন এলাকা। সদর, পাটগ্রাম, কালীগঞ্জ, আদিতমারী উপজেলার বিস্তীর্ণ এলাকা এবং ধরলার চরাঞ্চল প্ল¬াবিত হয়ে পড়েছে। প্রায় ১৫ হাজার পরিবার কষ্টে জীবন-যাপন করছেন।

হাতীবান্ধা উপজেলার গড্ডিমারী ইউনিয়নের তালেবমোড়ে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ হুমকির মুখে পড়েছে। তিস্তার তীরবর্তী আরো বেশ কিছু বাঁধ হুমকির মুখে পড়েছে।

ডুবে গেছে চরাঞ্চলের রাস্তাঘাট, হাট বাজার, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। নদী তীরবর্তী অঞ্চলের বিদ্যালয়গুলো বন্যার পানিতে ডুবে যাওয়ায় পাঠদান বন্ধ রয়েছে। 

বাড়ি-ঘর ছেড়ে অনেকে গরু-ছাগল নিয়ে আশ্রয় নিয়েছেন সরকারি রাস্তা ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের বাঁধে। খাবার ও বিশুদ্ধ পানির সংকটে তারা আছেন দুর্ভোগে। ডুবে থাকা নলকূপের পানি পান করছেন অনেকে।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী বজলে করিম বলেন, পানি বাড়তে থাকলে বন্যা ভয়াবহ পরিস্থিতি ধারণ করতে পারে।

জেলা প্রশাসক আবু জাফর জানান, বন্যাকবলিত এলাকা পরিদর্শন করে তালিকা করা হয়েছে। দুর্গতদের জন্য বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৬৮ মেট্রিক টন চাল। 

তিস্তা ব্যারেজের ডালিয়ার নির্বাহী প্রকৌশলী রবিউল ইসলাম বলেন, তিস্তায় পানি বৃদ্ধি অব্যহত রয়েছে। ব্যারেজ রক্ষার্য় সবগুলো জলকপাট খুলে দেওয়া হয়েছে।

রংপুর জেলার কাউনিয়া পয়েন্টেও তিস্তা বিপৎসীমা ছাড়িয়েছে। এতে প্রায় ২০ হাজার পরিবার পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। 

গঙ্গাচড়া, কাউনিয়া, এবং পীরগাছা উপজেলায় নদী তীরবর্তী ও চরাঞ্চলের গ্রাম গুলোতে প্রায় ২০ হাজার পরিবার পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। 

কুড়িগ্রামে ব্রহ্মপুত্র ভাসিয়েছে দুই কূল

ব্রহ্মপুত্র নদ বিপৎসীমার ছয় সেন্টিমিটার ও ধরলা দুই সেন্টিমিটার উপর দিয়ে বইছিল। পানি বাড়ছে তিস্তা ও দুধকুমোর নদেও। 

পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আরিফুল ইসলাম জানান, ধরলা ও ব্রহ্মপুত্র ছাড়া অন্যান্য নদ-নদী এখনো বিপৎসীমা ছাড়ায়নি। 

সদর উপজেলার চর যাত্রাপুরে গারুহারা বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের ভাঙা অংশ দিয়ে পানি ঢুকে চারটি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। ব্রহ্মপুত্র অববাহিকার সবকটি চরের আমন বীজতলা, পাট, ভুট্রা ও সবজি  ক্ষেত নিমজ্জিত হয়েছে। নিচু এলাকার ঘর বাড়ি ডুবে যাওয়ায় গবাদীপশু নিরাপদ আশ্রয়ে নিয়ে আসা হচ্ছে।

পানি বাড়ার পর নদ-নদীর তীরে দেখা দিয়েছে ভাঙন। চিলমারীর নয়ারহাট ও অষ্টমীরচর ইউনিয়নের কয়েকটি চরে নদী ভাঙনে গত ২৪ ঘণ্টায় ৫০টি পরিবার গৃহহীন হয়েছে। ধরলার ভাঙনে সারডোব বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধটি হুমকির মুখে পড়েছে।

জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম জানান, বন্যার্তদের মধ্যে ৫০ মেট্রিকটন টাল, দুই লাখ ২৫ হাজার টাকা ও দুই হাজার শুকনো খাবারের প্যাকেট উপজেলা পর্যায়ে বণ্টন করা হয়েছে। মজুদ আছে ১৫০ মেট্রিকটন চাল ও তিন লাখ টাকা।

মধ্যাঞ্চলেও বাড়ছে পানি

জামালপুরে বাহাদুরাবাদঘাট পয়েন্টে যমুনা বিপৎসীমা ছাড়িয়েছে। নদী তীরবর্তী চরাঞ্চল তলিয়ে যাচ্ছে। মাঝারি ধরনের বন্যার আশঙ্কা করছে স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ড।  

জামালপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী নব কুমার চৌধুরী জানিয়েছেন, ২৪ ঘণ্টায় যমুনার পানি বেড়েছে ২৬ সেন্টিমিটার বেড়েছে। আগামী কয়েক দিন পানি আরও বাড়বে।

টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে পৌলী রেল সেতুর উত্তর পাশের একটি অংশ দেবে গেছে। এতে ব্যাহত হচ্ছে ঢাকার সাথে উত্তরের রেল যোগাযোগ। শুক্রবার সকাল থেকেই সেতুর ওই দেবে যাওয়া অংশ মেরামতের কাজ শুরু করেছে রেল কর্তৃপক্ষ। দুর্ঘটনা এড়াতে সেতুটি দিয়ে ধীরগতিতে ট্রেন চলাচল করছে। 

আগামী ৬০ দিন পৌলী রেল সেতুর ওপর দিয়ে ঘণ্টায় ১০ কিলোমিটার বেগে ট্রেন চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। 

রেল বিভাগ জানায়, পৌলী রেল সেতুর ওই অংশটি ঝুঁঁকিপূর্ণ হওয়ায় দীর্ঘ একমাস ধরে সংস্কার কাজ চালাচ্ছিল কর্তৃপক্ষ। সংস্কার কাজের মাঝেই গত কয়েকদিন ধরে চলা টানা বর্ষণে সেতুর উত্তর পাশের অ্যাপ্রোচ অংশে দেবে যায়। এতে সেতুটি ট্রেন চলাচলের জন্য আরও ঝুঁঁকিপূর্ণ হয়ে পড়ে।
বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব রেলস্টেশন মাস্টার সাইফুল ইসলাম বলেন, ভারী বর্ষণের কারণে সেতুর নিচের মাটি সরে গেছে। এতে সাবধানতার জন্য ওই সেতুর উপর দিয়ে ধীর গতিতে রেল পারাপারের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। 

শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলার নিম্নাঞ্চলও পানিতে তলিয়ে গেছে। মহারশী নদীর দীঘিরপাড় বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ ভেঙে তিনটি বাড়ি নদীতে বিলীন হয়েছে। কয়েকটি গ্রামের মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে কৃষকদের বীজতলা। ভেসে গেছে পুকুরের মাছ। 

সোমেশ্বরী নদীও বিপৎসীমা ছাড়িয়েছে। কোচনীপাড়া-বাগের ভিটা রাস্তা বিধ্বস্ত হয়ে সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছ। 

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুবেল মাহমুদ বিধ্বস্ত বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাধ এলাকা পরিদর্শন করে নদীতে বিলীন হওয়া তিন পরিবারকে সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন। 

তবে নেত্রকোণার পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে। সীমান্তবর্তী দূর্গাপুর ও কলমাকান্দা উপজেলার ১৩টি ইউনিয়নের প্লাবিত শতাধিক গ্রাম থেকে পানি নেমে যাচ্ছে। তবে এখনও অর্ধলাখ মানুষ পানিবন্দি অবস্থায় রয়েছেন।

আবার বন্যা কবলিত এলাকা থেকে পানি নেমে আরো নীচু এলাকা জেলার বারহাট্টা উপজেলার বাউশি ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চলের বাড়ি-ঘরে পানি ঢুকেছে। বন্যার্তদের চিকিৎসা সেবা দিতে এলাকার চিকিৎসকসহ স্বাস্থ্য সহকারীদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে।

দুইদিন ধরে বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদ ভবনসহ উঁচুস্থানে আশ্রয় নেয়া বন্যার্তদের মাঝে শুক্রবার সকাল থেকে ত্রাণ দেয়া শুরু করেছে প্রশাসন। 

অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক আরিফুল ইসলাম জানান, জেলা প্রশাসন থেকে ২০ মেট্রিকটন চাল আর ৬০০ প্যাকেট শুকনো খাবার পাঠানো হয়েছে। স্থানীয় প্রশাসন, জনপ্রতিনিধি ও স্বেচ্ছাসেবকেরা ত্রাণ পৌঁছে দিচ্ছেন। তবে পাহাড়ি দুর্গম এলাকায় নৌকাসহ বিভিন্নভাবে ত্রাণ পৌঁছাতে কিছুটা সময় লাগছে। 

সিভিল সার্জন তাজুল ইসলাম জানান, বন্যা কবলিত উপজেলাগুলোর জন্য একটি করে মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে। স্থানীয় হাসপাতালের চিকিৎসকসহ স্বাস্থ্য সহকারীদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে।  

পার্বত্য এলাকার পরিস্থিতি

রাঙামাটির বন্যার পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হলেও বন্ধ রয়েছে রাঙামাটি খাগড়াছড়ি সড়কে যান চলাচল। সড়কের মানিকছড়ি এলাকায় সুরঙ্গ সৃষ্টি হয়ে সড়ক ধস ও ১৪ মাইল এলাকায় সড়কের পাশের জায়গা ধসে যাওয়ায় বন্ধ করে দেওয়া হয় যান চলাচল।

সড়ক জনপদ বিভাগের উপ সহকারী প্রকৌশলী আবু মুছা জানান, গতকাল সকালে মানিকছড়িতে সড়কটি ধসে যায়। পাহাড়ি ঢলের পানি ঢুকে এ স্থানে বড় একটি সুরঙ্গ সৃষ্টি হয়েছিল। এখানে বড় ধরনের দুর্ঘটনা হতে পারত। দুর্ঘটনা রোধে সড়কটি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

অটোরিকশা ও মোটরসাইকেলের মতো হালকা যানবাহন চলতে দেওয়া হচ্ছে সেখানে। মানিকছড়ি ধসের জায়গায় সড়কটি মাটি-বালি-ইট দিয়ে ভরাট করে অস্থায়ীভাবে যান চলাচলের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এলাকাটি ঝুঁকিমুক্ত না হওয়া পর্যন্ত ভারী যান চলাচল করতে দেওয়া হবে না।

বেশ কয়েকটি এলাকায় পাহাড় ধস হয়েছে। রাঙামাটি-খাগড়াছড়ি, রাঙামাটি চট্টগ্রাম, রাঙামাটি বান্দরবান সড়কের বেশ কিছু এলাকায় সড়কের পাশ ধসে পড়েছে। তবে কোথাও হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।

জেলার বাঘাইছড়ি, জুরাছড়ি, লংগদু, নানিয়াচর, বিলাইছড়ি, বরকল উপজেলায় বন্যার পরিস্থিতি উন্নতি হয়েছে। কমেছে পানি। তবে কাপ্তাই হ্রদে পানি বাড়ছে।

আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান নেয়া দুর্গতদের আশ্রয় কেন্দ্র না ছাড়তে বলা হয়েছে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে। আবহাওয়া পরিস্থিতি উন্নতি না হওয়া পর্যন্ত আশ্রয় কেন্দ্রে থাকতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

ঢাকাটাইমস/১৩জুলাই/ইএস/ডব্লিউবি