ভৈরবে ‘ভুল চিকিৎসায়’ রোগীর মৃত্যু: স্বজনদের বিরুদ্ধে হাসপাতালের মামলা
কিশোরগঞ্জের ভৈরবে ট্রমা হাসপাতালে ‘ভুল চিকিৎসায়’ রোগী মৃত্যুর ঘটনায় এবার মৃতের স্বজনদের বিরুদ্ধে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ মামলা করেছে। ঘটনার দিন হাসপাতালের ভেতরে ভাঙচুর ও অপ্রীতিকর ঘটনায় হাসপাতালের কোটি টাকা ক্ষতি হয়েছে দাবি করে বৃহস্পতিবার কিশোরগঞ্জের আমলি আদালত-২ এ এই মামলাটি করা হয়।
মামলার বাদী হলেন হাসপাতালের পরিচালক শফিকুল ইসলাম। আসামি করা হয় সাতজনকে।
আসামিরা হলেন- মৃত জুয়েলের মামা স্বজল, বড় ভাই কামাল মিয়া, জুয়েলের ভাই জামাল, কামরুল, চাচাতো ভাই আকরাম বক্স, মোস্তফা মোল্লা, মোশারফ মোল্লা।
৫ জুলাই (শুক্রবার) জুয়েলের মৃত্যুর ঘটনায় তার বড় ভাই কামাল বাদী হয়ে হাসপাতালের চিকিৎসক কামরুজ্জামান আজাদ, ইমরানসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে একটি মামলা করেন। অন্য আসামিরা হলেন- উপকরণ সরবরাহকারী গৌরাঙ্গ চন্দ্র রায়, হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোশারফ হোসেন ও পরিচালকবৃন্দ। ৪ মে (বৃহস্পতিবার) ভুল চিকিৎসায় জুয়েল মিয়া মারা যান।
এদিন ডা. আজাদকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে কিশোরগঞ্জ কারাগারে পাঠালে গত ৭ জুলাই তিনি আদালত থেকে জামিন পান। এরপর গত ১০ জুলাই (বুধবার) আসামি গৌরাঙ্গ রায় কিশোরগঞ্জ আদালত থেকে জামিন পান।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত রোগীর বড় ভাই কামাল মিয়া জানান, ভুল চিকিৎসা করে ডা. আজাদ আমার ভাইকে মারল। সেদিন উত্তেজিত স্বজনরা হাসপাতাল ভাঙচুর করেছে কিনা আমি জানি না। আমি ঘটনার সময় লাশ নিয়ে ব্যস্ত ছিলাম।
অপর অভিযুক্ত সজল মিয়া জানান, অপারেশনের সময় আমি হাসপাতালে ছিলাম না। খবর শুনে গিয়েছি, তবে হাসপাতাল ভাঙচুর, লুটপাট বিষয়ে আমি কিছুই জানি না। তারা আমার ভাগ্নেকে মারল, আবার মিথ্যা মামলা করে আমাদের আসামি করল যা খুবই দুঃখজনক। আমরা মামলাটি মোকাবেলা করে সত্য ঘটনা আদালতকে জানাব।’
মামলার বাদী হাসপাতালের পরিচালক শফিকুল ইসলাম জানান, রোগী জুয়েল অপারেশনে মারা যায়নি। সে অপারেশনের পর হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে। তার মৃত্যুর পর আসামিরা আমাদের হাসপাতালের এক কোটি টাকার ক্ষতি করেছে, তাই আমি মামলা করেছি।
ঢাকাটাইমস/১৩জুলাই/এলএ