ফাইনালে যেসব কারণে এগিয়ে ইংল্যান্ড

ক্রীড়া ডেস্ক, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ১৩ জুলাই ২০১৯, ১৭:৪৩

এবারের বিশ্বকাপের শুরুতে অনেক বিশেষজ্ঞই ইংল্যান্ডকে সম্ভাব্য বিজয়ী বলছিলেন। শুরুও করেছিল ইংল্যান্ড সেভাবেই। কিন্তু মাঝে শ্রীলঙ্কার কাছে হেরে হঠাৎই তাঁদের বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে যাওয়া প্রশ্নের মুখে পড়েছিল। যদিও শক্তিশালী ভারতকে হারিয়ে তাঁরা বুঝিয়ে দেয় একদিন খারাপ গেলেও তাঁরা সত্যিই বিশ্বকাপের দাবিদার। আজকের ফাইনালে অনেকের চোখেই ফেভারিট ইংল্যান্ড। দেখে নেওয়া যাক কারণগুলো।

শুরুতেই ফর্মে থাকা জ্যাসন রয় ও আক্রমণাত্মক জনি বেয়ারস্টো ব্যাট হাতে ম্যাচ নিজেদের দিকে নিয়ে চলে আসতে পারদর্শী। তাঁদের বিধ্বংসী জুটি মনে করা হচ্ছে গিলি-হেডেনকে। এই বিশ্বকাপে ১০ ম্যাচে বেয়ারস্টোর রান ৪৯৬ এবং ৭ ম্যাচে জ্যাসন রয়ের ৪২৬ রান তাঁদের ফর্মের প্রমাণ দিচ্ছে।

টেস্ট দলের অধিনায়ক জো রুট একদিনের ক্রিকেটেও রয়েছেন দারুণ ফর্মে। ১০ ম্যাচে ৫৪৯ রান করে এই মুহূর্তে ইংল্যান্ডের সর্বাধিক রান সংগ্রহকারী তিনিই। রোহিত শর্মার ৬৪৮ রান টপকাতে ফাইনালে তাঁকে শতরান করতে হবে।

প্রথম তিন ব্যাটসম্যানের এই দুরন্ত ফর্ম স্বস্তিতে রাখছে অধিনায়ক মরগ্যানকে। তিনি নিজেও রয়েছেন বেশ ধ্বংসাত্মক মেজাজে। ১০ ম্যাচে ৩৬২ রান, স্ট্রাইক রেট ১১৬.০২। পরের দিকে নেমে দ্রুত রান তোলার কারিগর তিনি। সেই কাজটাই করে চলেছেন দলকে নেতৃত্ব দেওয়ার সঙ্গে।

বল হাতে দুরন্ত ফর্মে রয়েছেন জফরা আর্চার। ১০ ম্যাচে নিয়েছেন ১৯ উইকেট। তাঁর দুরন্ত গতির উত্তর অনেক ব্যাটসম্যানই খুঁজে পাচ্ছেন না। ফাইনালে শুরুতেই যদি নিউজিল্যান্ডের অফ ফর্মে থাকা ওপেনারদের ফিরিয়ে দেন জফরা, চাপে পড়ে যাবে কিউইরা।

আর্চারকে যোগ্য সঙ্গ দিচ্ছেন মার্ক উড। ইতোমধ্যে তাঁর শিকার ১৭টি উইকেট। এই বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের জোড়া গতি নাভিশ্বাস তুলেছে বহু দলের। ফাইনালেও যে তাঁরা লর্ডসে আগুন ঝরাবেন, তা বলাই বাহুল্য। আর্চার ও উডকে দেখে খেলে দিলেও স্বস্তি নেই। কারণ ক্রিস ওকসের গতিও চিন্তায় ফেলার জন্য যথেষ্ট। তাঁরও ইতোমধ্যে সংগ্রহ ১৩টি উইকেট। তাই চিন্তায় রাখবেন তিনিও।

লর্ডসের পিচে যদি স্পিন ধরে, তাহলে কিন্তু আদিল রশীদ ও মঈন আলীর আক্রমণও সামলাতে হতে পারে কিউইদের। দল বিপদে পড়লে বল হাতে পার্টনারশিপ ভাঙতে এঁরা দু’জনেই বেশ কার্যকরী।

এই ইংল্যান্ড দলের ফিল্ডিংও বেশ ভালো। রুটের হাতেই জমা পড়েছে ১২টি ক্যাচ। উইকেটের পিছনে ভাল ফর্মে জস বাটলারও। তাঁর ১৩টা শিকারের মধ্যে ১১টি ক্যাচ ও ২টি স্ট্যাম্প। এই ইংল্যান্ড দলের বড় শক্তি তাঁদের ব্যাটিং গভীরতা। ১১ নম্বরে নামা উডও দরকারে ব্যাট হাতে দলকে সাহায্য করতে পারেন। এই মুহূর্তে ইংল্যান্ড যেন ওয়েল অয়েল্ড মেশিন। তারা যেভাবে অস্ট্রেলিয়াকে ধ্বংস করেছে তাতে ফাইনালেও যে তারা ভয়ঙ্কর হয়ে উঠবে তা বলাই যায়। এবার বিশ্বকাপের ফাইনালে যেই জিতুক সে হবে প্রথমবারে জন্য বিশ্বজয়ী। তাই দুই দলের লড়াই ক্রিকেটপ্রেমীদের কাছে বেশ উপভোগ্য হবে।

(ঢাকাটাইমস/১৩ জুলাই/এসইউএল)

সংবাদটি শেয়ার করুন

খেলাধুলা বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

খেলাধুলা এর সর্বশেষ

এবার স্টয়েনিস-ওয়ার্নারকে বাদ দিয়ে অস্ট্রেলিয়ার কেন্দ্রীয় চুক্তির তালিকা প্রকাশ

প্রথম বাংলাদেশি আম্পায়ার হিসেবে আইসিসির এলিট প্যানেলে সৈকত

শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে আমাদের টেস্ট জেতা উচিত: সাকিব

শান্তর অধিনায়কত্ব নিয়ে এবার যা বললেন সাকিব

অবসর নিয়ে এবার যা জানালেন মেসি

বিশ্বকাপে হেরে আত্মহত্যার কথা ভেবেছিলেন রিচার্লিসন!

অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি সিরিজের দল ঘোষণা

সিলেট টেস্টে ৮ উইকেট নেওয়া বোলারকে চট্টগ্রাম টেস্টে পাচ্ছে না শ্রীলঙ্কা

আইপিএলে হায়দরাবাদ-মুম্বাইয়ের ৫২৩ রানের ম্যাচে রেকর্ডবুকে তোলপাড়

ডি মারিয়াকে হত্যার হুমকি দেওয়া তিন দুর্বৃত্ত গ্রেপ্তার

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :