ভাঙ্গায় তরুণকে কুপিয়ে হত্যা
ফরিদপুরের ভাঙ্গায় এক তরুণকে কুপিয়ে এবং কাদার মধ্যে নাক, মুখ চেপে ধরে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে।
পুলিশ শনিবার সকাল ১০টার দিকে লাশটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
নিহত ওই তরুণের নাম সিরাজুল মাতুব্বর। তিনি ভাঙ্গা উপজেলার কাউলীবেড়া ইউনিয়নের শেখপুরা গ্রামের কৃষক সূর্য মাতুব্বরের ছেলে।
নিহতের পরিবারের সদস্যরা বলছেন, ‘সিরাজুল মাতুব্বর গত শুক্রবার রাত ১২টার দিকে কাউলীবেড়া ইউনিয়নের মোটরা গ্রামের বাজার থেকে বাড়ি ফেরেন। তারপর রাতের খাবার খেয়ে একটি টর্স লাইট নিয়ে বাড়ির পাশে গরুর খামার দেখতে বের হয়ে সারারাত আর বাড়ি পিরে আসেননি।’
শনিবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে এলাকার লোকজন গ্রামের পাটক্ষেতে সিরাজুলের লাশ দেখতে পেয়ে পরিবারের সদস্যদের খবর দেন।
নিহতের বড় ভাই আলী মিয়া মাতুব্বর বলেন, ‘গ্রামবাসীদের কাছ থেকে শুনে তারা ওই পাট ক্ষেতে গিয়ে আমরা সিরাজুলকে মৃত অবস্থায় দেখতে পান। তার মুখ ও মাথায় ধারাল অস্ত্রের আঘাত রয়েছে।’
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ভাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কাজী সাইদুর রহমান বলেন, ‘তিনি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। লাশের মাথায় ও মুখে একাধিক কোপের দাগ রয়েছে। পাশাপাশি তার নাক মুখ কাদায় মাখানো ছিল। তার গায়ে কফি রঙের স্যান্ডো গেঞ্জি এবং পরনে কমলা রঙের সর্ট প্যান্ট ছিল।’
ওসি বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে- তাকে কোপানোর পাশাপাশি শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ব্যাপারে মৃতের বড় ভাই আলী মিয়া মাতুব্বর একটি হত্যা মামলা দেয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।’
ওসি সাইদুর রহমান আরও বলেন, ‘বিকাশ প্রতারণাসহ বিভিন্ন প্রতারণা চক্রের সাথে জড়িত ছিলেন সিরাজুল। তার নামে ভাঙ্গা থানায় একই গ্রামের জামাল হত্যা ও প্রতারণাসহ পাঁচটি মামলা চলমান রয়েছে। অবশ্য প্রতিটি মামলায় তিনি জামিন পেয়েছিলেন।’
(ঢাকাটাইমস/১৩জুলাই/এলএ)