কাপ্তাইয়ে পাহাড় ধসে আবারো দুজন নিহত

প্রকাশ | ১৩ জুলাই ২০১৯, ২২:৪৬

রাঙামাটি প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস

রাঙামাটির কাপ্তাই উপজেলার চন্দ্রঘোনা থানার রাইখালী ইউনিয়নের কারিগরপাড়ায় পাহাড় ধসে দুজন নিহত হয়েছেন।

শনিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে এই দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন- রাউজান উপজেলার অটল বড়ুয়া, কারিগরপাড়ার সুই হ্লাউ মারমা।

কাপ্তাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আশরাফ আহমেদ রাসেল ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

চন্দ্রঘোনা থানার ওসি আশরাফ উদ্দিন বলেন, ‘নিহত অটল কারিগরপাড়ায় জমি কিনে ফলজ বাগান করেছেন। এ বাগান দেখাশুনা করেন স্থানীয় কারিগরপাড়ার সুই হ্লাউ মারমা।

সকালে বাগান দেখতে কারিগরপাড়ায় আসেন অটল বড়ুয়া। বাগান দেখা শেষে সুই হ্লাউ মারমাকে নিয়ে চন্দ্রঘোনা আসার জন্য রাঙামাটি-বান্দরবান সড়কে গাড়ির জন্য অপেক্ষা করছিলেন। এসময় একটি অটোরিকশা এলে রিকশায় পা রাখতে না রাখতেই সড়কের পশ্চিম পাশ থেকে বড় একটি পাহাড় সড়কের উপর ধসে পড়ে। এতেই অটল ও সুই হ্লাউ মাটিচাপা পড়ে। রিকশার ভেতরে থাকা তিন যাত্রী ও চালক আটকা পড়ে। স্থানীয়রা দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে তিন যাত্রী  ও চালককে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে। ততক্ষণে অটল ও সুই হ্লাউ মারা যান। পরে তাদের মৃত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়।

এদিকে শনিবার টানা বৃষ্টিতে রাঙামাটি বান্দরবান সড়কের মতিপাড়া, কারিগর পাড়াসহ একাধিক স্থানে বড় বড় পাহাড় ধস হয়। এগুলো সরিয়ে রাস্তা সচল করতে কাজ করছে সড়ক বিভাগ।

অন্যদিকে রাঙামাটি-খাগড়াছড়ি সড়কের মানিকছড়ি, বগাছড়ি এলাকায় একাধিক স্থানে সড়ক ও সড়ক পাশ ধস হওয়ায় দুই জেলার সড়ক যোগাযোগ বন্ধ করে দেয় সড়ক বিভাগ।

রাঙামাটি সড়ক বিভাগের উপ-সহকারী প্রকোশলী আবু মুছা বলেন, ‘পাহাড়ের মাটি নরম হয়ে যাওয়ায় সড়কগুলো খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। সড়কগুলো রক্ষায় আপাতত সড়কে ভারি যান চলাচলে নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে।’

রাঙামাটি-চট্টগ্রাম সড়কের কলাবাগান এলাকায় সড়ক পাশ ধসে যাওয়া অংশে পরবর্তী আর যেন ধস না হয়, সেজন্য কাজ করছে সড়ক বিভাগ।

জেলা সড়ক বিভাগী উপ-বিভাগীয় প্রকোশলী শংকর চন্দ্র পাল বলেন, ‘সড়কগুলো টিকিয়ে রাখতে কাজ করছেন তারা। সড়ক বিভাগ যদি অর্থ বরাদ্দ দেয়, তাহলে তারা স্থায়ী কাজ করবে।’

এদিকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত দুর্গতদের আশ্রয় কেন্দ্রে থাকতে বলেছে প্রশাসন। জেলা প্রশাসক একে এম মামুনুর রশীদ বলেন, ‘পর্যাপ্ত ত্রাণ তাদের হাতে রয়েছে। দুযোর্গ মোকাবিলায় তারা পুরোপুরি প্রস্তুত। ক্ষতি কমিয়ে রাখতে তারা কাজ করছেন।’

গত সোমবার কাপ্তাইয়ের কেপিএম এলাকায় পাহাড় ধসে শিশুসহ মারা যায় দুজন। এ নিয়ে এ বছর পাহাড় ধসে মারা গেল চারজন। জেলায় ২০১৭ সালে ১২ জুন পাহাড় ধসে মারা যায় ১২০ জন। পরের বছর ১৩ জুন মারা যায় ১১ জন।

(ঢাকাটাইমস/১৩জুলাই/এলএ)