পল্লী সঞ্চয় ব্যাংক

চাকরি স্থায়ীকরণের দাবিতে ১০দিনের মতো অবস্থান

প্রকাশ | ১৪ জুলাই ২০১৯, ১৫:২৩ | আপডেট: ১৪ জুলাই ২০১৯, ১৫:২৭

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

চাকরি স্থায়ীকরণ, পদোন্নতি ও সরাসরি নিয়োগ বন্ধের দাবিতে পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকের উপজেলা পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা টানা ১০ দিনের মতো রবিবারও অবস্থান কর্মসূচী পালন করছেন।

গত ৬ জুলাই থেকে দেশের বিভিন্ন উপজেলা থেকে এসে ঢাকায় ইস্কাটন রোডে প্রবাসী কল্যাণ ভবনে পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের সামনে ব্যাংকটির প্রধান কার্যালয়ের সামনে জড়ো হয়ে মানববন্ধন ও সমাবেশ কর্মসূচি পালন করছেন তারা।

রবিবার মাইক ব্যবহার করে বিভিন্নজনকে বক্তৃতা দিতে দেখা গেছে। তারা পদোন্নতি ছাড়াও ব্যাংকটিতে সিনিয়র অফিসার পদে সরাসরি জনবল নিয়োগের বিরোধিতা করে বক্তব্য দেন।

মো. সিরাজুল ইসলাম নামের এক আন্দোলনকারী বলেন, ‘আমরা দাবি না আদায় হওয়া পর্যন্ত ঘরে ফিরব না। আমাদের ৮ দফা দাবির মূল দাবি পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকে চাকরি স্থায়ীকরণ। বৈরি আবহাওয়া উপেক্ষা করে আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছি। এখানে খেয়ে না খেয়ে, মশার উপদ্রপ সহ্য করে ফুটপাথ ও রাস্তার ধারে পড়ে আছি। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত এখানে থাকব।’

ময়মনসিংহ থেকে আন্দোলনে আসা মাঠ সহকারী মো. ওমর ফারুক বলেন, ‘২০১৬ সালের ৩০ জুনের আগে নিয়োগকরা একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্পের সব জনবলকে পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকে চাকরি স্থায়ী করতে পরিপত্র জারি করতে হবে। স্থানান্তর প্রহসন বন্ধ করে বিগত তিন বছরের ইনক্রিমেন্ট, দৈনিক ভাতা ও সব সুযোগ সুবিধা দিতে হবে। সব পদের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পদোন্নতি অগ্রাধিকার ভিত্তিতে দিতে হবে। এটাই আমাদের দাবি। এ দাবি মানার জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্বাহী ক্ষমতার হস্তক্ষেপ কামনা করছি।’

‘আমরা বন্ধের দিনও পরিশ্রম করেছি। অথচ আমাদের তিন বছর ধরে বেতন ভাতা দেওয়া হয়নি। এখন আমাদের নানা ভাবে হয়রানি করা হচ্ছে। অথচ কথা ছিলো আমাদের পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকে স্থায়ীকরণ করা হবে।’

আন্দোলনকারীদের মুখপাত্র মো. সোলায়মান হোসেন বলেন, ‘অনেকেই আন্দোলনে এসে অসুস্থ হয়ে পড়েছে। এখানে খাবার ও পানির সমস্যা প্রকট আকার ধারণ করেছে। এছাড়া অনেকে ডেঙ্গু জরে আক্রান্ত হয়ে পড়েছে।’

আন্দোলন বন্ধে হুমকি আসছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা এখন খুবই আতঙ্কগ্রস্থ। অনেকে হুমকি ও উস্কানি দিচ্ছে। আমাদের নামে পোস্ট অফিসের মাধ্যমে শোকজ লেটার আসছে। ইউএনও পর্যায় থেকে ফোন করে আন্দোলন বন্ধে হুমকি দেওয়া হচ্ছে।’

সাভার থেকে আন্দোলনে আসা শাখা ব্যবস্থাপক আসা জাকিয়া নাসরিন শিখা বলেন, ‘আমাদের স্থায়ীভাবে চাকরিতে স্থানান্তর করা হয়নি। ৩ বছর নিষ্ঠার সাথে দ্বায়িত পালন করেছি। অথচ আমি একজন মুক্তিযোদ্ধার সন্তান হয়ে নিজের বৈধ চাকরির অধিকার আদায়ে ফুটপাতে পড়ে আছি।’

তিনি আরও বলেন, ‘একজন ৪০ লাখ টাকা নিয়ে ধরা খেয়ে এখন জেলে আছেন। আমরা পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকের চেয়ারম্যানের পদত্যাগ চাই। সেই সাথে সব কর্মকর্তা-কর্মাচারিদের পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকে চাকরির স্থানীয়করণ দেখতে চাই। এ দাবি না মানা পর্যন্ত ঘরে ফিরে যাব না।’

এদিকে ঢাকায় এসে তাদের আন্দোলনের ফলে গত ৮ জুলাই থেকে ১৬৬ উপজেলায় পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকের শাখা খোলাই হয়নি। এতে ব্যাংকের সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন গ্রাহকরা।

ঢাকাটাইমস/১৪জুলাই/এসএস/ডিএম