চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে যাচ্ছে প্রথম মহাকাশযান

প্রকাশ | ১৪ জুলাই ২০১৯, ১৭:০৯ | আপডেট: ১৪ জুলাই ২০১৯, ১৭:১৪

আন্তর্জাতিক ডেস্ক, ঢাকাটাইমস

এই প্রথমবারের মতো চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে যাচ্ছে মহাকাশযান। আমেরিকা, রাশিয়া ও চীন চাঁদে বিভিন্ন অভিযান পরিচালনা করলেও দক্ষিণ মেরুতে কোনো অভিযান পরিচালনা করেনি।

সোমবার ভারতের মহাকাশযান ‘চন্দ্রযান-২’ দক্ষিণ মেরুর উদ্দেশে যাত্রা শুরু করবে।

চাঁদের মাটিতে পানি ও খনিজ পদার্থের অস্তিত্ব খুঁজতে চন্দ্রযান-২ কাজ করবে বলে ভারতীয় বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন।

ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ‘ইসরো’ ভারতের প্রধান মহাকাশ গবেষণা সংস্থা। ভারত সরকারের নিয়ন্ত্রণাধীন সংস্থাটি মহাকাশ গবেষণায় বিশ্বে অন্যতম। ২০০১ সালে ইসরো সফলভাবে প্রথম চন্দ্রযান-১ পরিচালিত করে।

ভারতের দ্বিতীয় চন্দ্র অভিযানের যান হচ্ছে চন্দ্রযান-২। এটি তৈরিতে প্রায় ৯৭৮ কোটি টাকা খরচ হয়েছে।  

দক্ষিণ মেরুর এ অভিযানে সময় লাগবে এক বছর। চন্দ্রযান-১ এর মেয়াদ ছিল এক বছর ৪ মাস। তবে তা চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে পৌঁছার আগেই কক্ষপথে ধ্বংস হয়ে যায়। ধ্বংস হওয়ার আগে চন্দ্রযান-১ চাঁদে জলের কণার উপস্থিতির প্রমাণ পৃথিবীতে পাঠিয়েছিল বলে দাবি বিজ্ঞানীদের।

শ্রীহরিকোটায় সতীশ ধওয়ন স্পেস রিসার্চ সেন্টার থেকে সোমবার সকালে চন্দ্রযান-২ উৎক্ষেপণ করা হবে। ইসরো জানায়, ইতিমধ্যেই রবিবার সকাল ৬টা ৫১ মিনিট থেকে কাউন্টডাউন (সময় গণনা) শুরু হয়ে গেছে। সোমবার ভোর ২টা ৫১ মিনিটে কাউন্টডাউন শেষ হবে। চন্দ্রযান-২ জিওসাইক্রোনাস স্যাটেলাইট লঞ্চ ভেহিক্যাল অর্থাৎ জিএসএলভি এমকে-৩ থেকে উৎক্ষেপণ হবে। চাঁদের কক্ষপথে পৌঁছাতে চন্দ্রযান-২ কে প্রায় ৩.৮৪ লাখ কিলোমিটার পাড়ি দিতে হবে। নির্দিষ্ট কক্ষপথে পৌঁছাতে পাঁচ দিন সময় লাগবে। চাঁদের মাটি থেকে ১০০ কিলোমিটার দূরে ঘুরতে থাকা স্যাটেলাইটটি ক্রমাগত চাঁদের পৃষ্ঠের ছবি তুলে পাঠাতে থাকবে।

ভারতীয় বিজ্ঞানীদের কাছে চাঁদের মাটিতে চন্দ্রযান-১ কে অক্ষত ও মসৃণ অবস্থায় অবতরণ সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। এ কারণে ইসরো চন্দ্রযান-২ অভিযানের অবতরণকে ‘ভয়ঙ্কর ১৫ মিনিট’ বলছে। চন্দ্রযানটি তিনটি ভাগে বিভক্ত। অরবিটার, অর্থাৎ স্যাটেলাইট বা কৃত্রিম উপগ্রহ, যা চাঁদের কক্ষপথ ঘুরবে। ল্যান্ডার, অর্থাৎ যা চাঁদের মাটিতে নামবে এবং চন্দ্রযানকে নামাবে। তৃতীয়টি হলো রোভার, যা মূল অনুসন্ধানকারী যান। এটি চাঁদের মাটিতে জল ও অন্যান্য খনিজ পদার্থের সন্ধান চালাবে। উপরের তিনটি অংশসহ মূল মহাকাশযানের মিলিত ওজন প্রায় ৩৮৫০ কেজি।

চন্দ্রযান-২ ভারতের ইসরোর সবচেয়ে বড় মিশন। অভিযানটি সফল হলে ভারত বিশ্বের মধ্যে চতুর্থ দেশ হিসাবে চাঁদে ‘পা’ রাখবে।

ঢাকাটাইমস/১৪জুলাই/আরআর/ইএস