নাইকো মামলায় খালেদার চার্জ শুনানি ৪ আগস্ট

প্রকাশ | ১৪ জুলাই ২০১৯, ১৯:৩৬

আদালত প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
ফাইল ছবি

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার নাইকো দুর্নীতির মামলায় চার্জগঠনের শুনানি পিছিয়ে আগামী ৪ আগস্ট ঠিক করেছে আদালত।

সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকায় আজ রবিবার ঢাকার ৯ নম্বর বিশেষ জজ শেখ হাফিজুর রহমান সময় আবেদন মঞ্জুর করে চার্জ শুনানির পরবর্তী দিন ধার্য করেন। কেরানীগঞ্জের কারাকারের নবনির্মিত ২ নম্বর ভবনে স্থাপিত অস্থায়ী এজলাসে শুনানি অনুষ্ঠিত হয়।

এদিন খালেদা জিয়ার পক্ষে চার্জগঠন থেকে অব্যাহতির আবেদনের শুনানির জন্য দিন ধার্য ছিল। আইনজীবী মাসুদ আহমেদ তালুকদার চার্জ শুনানি পেছানোর আবেদন করে বলেন, খালেদা জিয়া শারীরিকভাবে অসুস্থ। তিনি কারা হেফাজতে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তিনি সুস্থ হয়ে আদালতে আসবেন। তার অনুপস্থিতিতে চার্র্জ শুনানি বেআইনি।

গত ১ এপ্রিল কারা কর্তৃপক্ষ অসুস্থ খালেদা জিয়াকে পুরান ঢাকার পরিত্যক্ত কারাগার থেকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ^বিদ্যালয় হাসপাতালে ভর্তি করে। আদালতে দুর্নীতি মামলায় সাজা পেয়ে সাবেক প্রধানমন্ত্রী গত বছরের ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে ওই কারাগারে আটক আছেন।

নাইকো দুর্নীতি মামলার অপর আসামিরা হলেন, বিতর্কিত ব্যবসায়ী তারেক রহমানের বন্ধু গিয়াস উদ্দিন আল মামুন, সাবেক জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী এ কে এম মোশাররফ হোসেন ও সাবেক সিনিয়র সহকারী সচিব সি এম ইউছুফ হোসাইন, ঢাকা ক্লাবের সাবেক সভাপতি সেলিম ভূঁইয়া (সিলভার সেলিম), জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সচিব খন্দকার শহীদুল ইসলামনাইকোর দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক ভাইস প্রেসিডেন্ট কাশেম শরীফ, তখনকার প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও বাপেক্সের সাবেক মহাব্যবস্থাপক মীর ময়নুল হক।

২০০৭ সালের ৯ ডিসেম্বর বিরুদ্ধে তেজগাঁও থানায় মামলাটি করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। মামলাটির তদন্তের পর ২০০৮ সালের ৫ মে খালেদা জিয়াসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।

চার্জশিটের বৈধতা চ্যলেঞ্জ করে খালেদা জিয়া হাইকোর্টে রিট আবেদন করলে ২০০৮ সালের ৯ জুলাই হাইকোর্ট নিম্ন আদালতের কার্যক্রম স্থগিত করে রুল জররি করে। ২০১৫ সালের ১৮ জুন হাইকোর্ট রুল ডিচার্জ করে স্থাগিতাদেশ প্রত্যাহার করে।

ক্ষমতার অপব্যবহার করে তিনটি গ্যাসক্ষেত্র পরিত্যক্ত দেখিয়ে কানাডীয় কোম্পানি নাইকোর হাতে তুলে দেওয়ারঅভিযোগে রাষ্ট্রের প্রায় ১৩ হাজার ৭৭৭ কোটি টাকার ক্ষতির অভিযোগে মামলাটি করা হয়।

(ঢাকাটাইমস/১৪জুলাই/মোআ)