কারা কতটি বাউন্ডারি মেরেছে?

প্রকাশ | ১৫ জুলাই ২০১৯, ০২:০৮

ক্রীড়া ডেস্ক, ঢাকাটাইমস

ক্রিকেটে ম্যাচ টাই খুব কমই হয়। আইসিসির বর্তমান নিয়মে ম্যাচ যদি টাই হয় তাহলে সুপার ওভারের মাধ্যমে বিজয়ী নির্ধারণ করা হয়। রবিবার আইসিসি বিশ্বকাপের ১২তম আসরের ফাইনাল ম্যাচে এমনই ঘটেছে। সুপার ওভারের নাটকীয়তায় নিউজিল্যান্ডকে হারিয়ে শিরোপা জিতেছে ইংল্যান্ড। কিন্তু এই ম্যাচে শুধু প্রথম ৫০ ওভারের খেলাতেই টাই হয়নি। সুপার ওভারেও টাই হয়। যার ফলে ম্যাচে যারা বাউন্ডারি বেশি মেরেছে তাদের চ্যাম্পিয়ন ঘোষণা করা হয়। ম্যাচে ৫০ ওভারের খেলায় নিউজিল্যান্ড ১৪টি চার ও ২টি ছয় মারে। অন্যদিকে, ইংল্যান্ড ২২টি চার মারে ও ২টি ছক্কা হাঁকায়।

এদিন লর্ডসে অনুষ্ঠিত ম্যাচটিতে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৮ উইকেটে ২৪১ রান সংগ্রহ করে নিউজিল্যান্ড। পরে ইংল্যান্ড ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ২৪১ রান সংগ্রহ করে অলআউট হয়। টাই হওয়ায় পরবর্তীতে ম্যাচ গড়ায় সুপার ওভারে। সুপার ওভারেও ম্যাচ টাই হয়। সুপার ওভারে প্রথমে ব্যাট করে বিনা উইকেটে ১৫ রান করে ইংল্যান্ড। পরে নিউজিল্যান্ড এক উইকেটে ১৫ রান করতে সক্ষম হয়। কিন্তু ম্যাচে বাউন্ডারি মারার দিক থেকে এগিয়ে থাকায় ইংল্যান্ড চ্যাম্পিয়ন হয়। 

সুপার ওভারে ইংল্যান্ডের হয়ে ব্যাট করতে নামেন বেন স্টোকস ও জস বাটলার। এক্ষেত্রে নিউজিল্যান্ডের বোলার ছিলেন ট্রেন্ট বোল্ট। ওভারের প্রথম বল থেকে ৩ রান নেন স্টোকস। দ্বিতীয় বল থেকে এক রান নেন বাটলার। তৃতীয় বলে চার মারেন স্টোকস। চতুর্থ বল থেকে ১ রান নেন তিনি। পঞ্চম বলে ২ রান নেন বাটলার। শেষ বলে বাটলার বাউন্ডারি মারেন। মোট রান হয় ১৫।

ইংল্যান্ডের দেয়া ১৬ রানের জয়ের টার্গেট সামনে রেখে মার্টিন গাপটিল ও জেমস নিশামকে ব্যাটিংয়ে পাঠায় নিউজিল্যান্ড। আর জফরা আর্চারকে বোলিংয়ের দায়িত্ব দেয় ইংল্যান্ড। ওভারের প্রথম ডেলিভারিটি ওয়াইড হয়। পরের বল থেকে ২ রান নেন নিশাম। দ্বিতীয় বলে তিনি ছক্কা হাঁকান। তৃতীয় বল থেকে ২ এবং চতুর্থ বল থেকে ২ রান নেন নিশাম। পঞ্চম বল থেকে তিনি ১ রান নিতে সক্ষম হন। শেষ বলে জয়ের জন্য নিউজিল্যান্ডের প্রয়োজন ছিল ২ রান। এক্ষেত্রে ব্যাটসম্যান ছিলেন গাপটিল। তিনি বল মিড-উইকেটে পাঠিয়ে দেন। কিন্তু বল সরাসরি ফিল্ডারের হাতে চলে যায়। তাই দ্বিতীয়বার রান নিতে গিয়ে রান আউট হন গাপটিল।

(ঢাকাটাইমস/১৫ জুলাই/এসইউএল)