দুই দেশের জার্সিতে বিশ্বকাপে, ইংল্যান্ডের হয়ে সফল

ক্রীড়া ডেস্ক, ঢাকা টাইমস
 | প্রকাশিত : ১৫ জুলাই ২০১৯, ০৯:৪০

দুই দেশের জার্সি গায়ে জড়িয়ে বিশ্বকাপে অংশ নিয়েছেন সদ্য বিশ্বকাপজয়ী ইংলিশ অধিনায়ক ইয়ন মর্গান। তার হাত দিয়েই সফলতা এসেছে ইংল্যান্ডের। এমন সময়ে তার কী মনে পড়ছে আয়ারল্যান্ডের সাবেক সতীর্থ নীল ও’ব্রায়ান-কেভিন ও’ব্রায়ানদের?

এক আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থাকে মর্গান বলেছিলেন ‘১৩ বছর বয়স থেকেই আমি ইংল্যান্ডের হয়ে ক্রিকেট খেলতে চেয়েছি’। তবু তিনি কি কোনোদিন ডাবলিনের রাস্তা ঘাট ভুলতে পারবেন? হয়ত না।

ক্রিকেটের ইতিহাসে প্রথম বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক ইয়ন মর্গান, যিনি দুই ভিন্ন দেশের হয়ে মাঠে নেমেছেন এবং দুই দেশেরই অধিনায়কের দায়িত্ব সামলেছেন। বাইরে থেকে তিনি আজ নীল সাগরে ভাসছেন। ভিতরে কোথাও হয়ত আজও ঘুরে বেড়াচ্ছে সবুজ আয়ারল্যান্ডের দিনগুলি।

ইয়ন মর্গানই প্রথম ক্রিকেটার যিনি দুই দেশের জার্সি গায়ে বিশ্বকাপ খেলেছেন। মর্গ্যানের জন্ম ডাবলিনে। লিসন স্ট্রিটের ক্যাথলিক ইউনিভার্সিটি স্কুলে পড়াশোনা। ছেলেবেলায় আইরিশদের জনপ্রিয় খেলা হার্লিং পছন্দ ছিল তার। হার্লিংই একদিন ক্রিকেটের রিভার্স সুইপে বদলে যায়। যেমনভাবে তিনি আইরিশ থেকে ইংরেজ হয়ে গিয়েছিলেন। এসোসিয়েট দেশ আয়ারল্যান্ডের যুব দলের হয়ে অনূর্ধ্ব-১৫ ও অনূর্ধ্ব-১৭ দলে খেলেন মর্গান। আয়ার‌ল্যান্ড অনূর্ধ্ব-১৯ ক্রিকেট দলের হয়ে খেলেছেন। ২০০৪ সালের আইসিসি অনূর্ধ্ব-১৯ ক্রিকেট বিশ্বকাপ আয়ারল্যান্ডের হয়ে সর্বোচ্চ রান ছিল মর্গ্যানেরই।

২০০৬ সালের আইসিসি অনূর্ধ্ব-১৯ ক্রিকেট বিশ্বকাপ আইরিশ দলকে নেতৃত্ব দেন। বেশ চলছিল, কিন্তু নিজের কেরিয়ারকে পরবর্তী পর্যায়ে ভাবতে চাইছিলেন সদ্য বিশ্বকাপজয়ী ইংরেজ অধিনায়ক। সুযোগ আসছিল না। এদিকে আয়ারল্যান্ডের হয়ে একের পর এক মাইলস্টোন পেরিয়ে যাচ্ছিলেন। ২০০৭ বিশ্বকাপের পর থেকে অবস্থার পরিবর্তন হতে শুরু করে। স্টুয়ার্ট ব্রডের অনুপস্থিতিতে ২০১২-১৩ মৌসুমে ভারতীয় দলের বিপক্ষে অধিনায়করূপে নির্বাচিত হন মর্গান।

ক্রিকেটের ইতিহাসে একমাত্র ব্যাটসম্যান হিসাবে দুই দেশের হয়ে একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সেঞ্চুরি করার গৌরব অর্জন করেন। আয়ারল্যান্ডে জন্মগ্রহণকারী প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে ইংল্যান্ডের হয়ে ফ্রেডরিক ফেনের সেঞ্চুরি করার শতাধিক বছর পর ২০১০ সালের জুলাইয়ে ট্রেন্ট ব্রিজে সফরকারী পাকিস্তানের বিপক্ষে ইয়ন মর্গান তার রেকর্ডের সঙ্গে নিজের নাম যুক্ত করেন।

ইংল্যান্ডকে প্রথম বার আইসিস বিশ্বকাপ এনে দিয়ে ইংরেজ অধিনায়ক আরও এক ইতিহাস গড়লেন লর্ডসের মাঠে।

ঢাকা টাইমস/১৫জুলাই্/একে

সংবাদটি শেয়ার করুন

খেলাধুলা বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :