সব ষড়যন্ত্র, দাবি জুমার

প্রকাশ | ১৫ জুলাই ২০১৯, ১৭:৩১

আন্তর্জাতিক ডেস্ক, ঢাকাটাইমস

দুর্নীতি বিরোধী আদালতে আনা সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন দক্ষিণ আফ্রিার সাবেক প্রেসিডেন্ট জ্যাকব জুমা। তার দাবি, গোটা অভিযোগ ‘রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র’। রাজনীতি থেকে বিতাড়নের উদ্দেশ্যে এই অভিযোগ তোলা হয়েছে।

ন্যালসন ম্যান্ডেলার উত্তরসূরী জুমা প্রেসিডেন্ট থাকাকালে দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়েন বলে অভিযোগ আছে। এ নিয়ে প্রথমবারের মতো তদন্ত দলের মুখোমুখি হন তিনি।

২০১৮ সালে ফেব্রুয়ারি মাসে প্রেসিডেন্ট জুমাকে পদত্যাগে বাধ্য করা হয়। তারপর আফ্রিকান ন্যাশনাল কংগ্রেসের নতুন নেতা সিরিল রামফোসার প্রেসিডেন্ট নির্বাচতি হন। তিনি জুমার নয় বছরের শাসন দক্ষিণ আফ্রিকার জন্য ‘অপচয়’ বলেন। নতুন প্রেসিডেন্ট দক্ষিণ আফ্রিকাকে ‍দুর্নীতি মুক্ত করার প্রতিশ্রুতি দেন।

১৯৯০ সালে অস্ত্র চুক্তিসহ বিভিন্ন বিষয়ে জ্যাকব জুমার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগে মামলা হয়। তিনি প্রেসিডেন্ট হওয়ার পরে সব মামলা বন্ধ হয়ে যায়। প্রেসিডেন্ট পদ থেকে পদত্যাগের পর ২০১৬ সালে অভিযোগগুলো আবার চালু হয়। তার বিরুদ্ধে প্রতারণা, কালোবাজারি, দুর্নীতি, অর্থ পাচারের অভিযোগ রয়েছে।

দক্ষিণ আফ্রিকায় গুপ্তা পরিবারের সঙ্গে জুমার ঘনিষ্ঠতার অভিযোগ রয়েছে। এ পরিবারের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তারা নিজেদের ব্যবসায়িক স্বার্থে দক্ষিণ আফ্রিকাকে জিম্মি করে রেখেছে। তাদের ক্ষমতার প্রধান উৎস ছিল জ্যাকব জুমার সাথে ঘনিষ্ঠতা। ২০১৬ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার সাবেক অর্থ প্রতিমন্ত্রী মেসিবিসি জোনাস বলেছিলেন, গুপ্তা পরিবারের পক্ষ থেকে তিনি অর্থমন্ত্রী হওয়ার প্রস্তাব পেয়েছিলেন। বিনিময়ে তাকে গুপ্তা পরিবারের জন্য টেন্ডার পাওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে।

তখন দক্ষিণ আফ্রিকার সরকারের একটি প্রতিবেদনে বলা হয়, গুপ্তা পরিবার ও প্রেসিডেন্ট জ্যাকব জুমা সরকারি বিভিন্ন কাজের টেন্ডার পাওয়ার জন্য একসঙ্গে কাজ করছেন। গুপ্তাদের সঙ্গে তার ঘনিষ্ঠতার জন্য তাকে ‘জুপ্তা’ নামে ডাকা হয়।

জ্যাকব জুমা ২০০৯ সালে আফ্রিকান ন্যাশনাল কংগ্রেসের জয়লাভের প্রেক্ষিতে রাষ্ট্রপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন শুরু করেন। তিনি ১৯৬০-এর দশকে দক্ষিণ আফ্রিকা সরকারের বর্ণবৈষম্য নীতির বিপক্ষে অবস্থান করেছিলেন। সংক্ষেপে তিনি জেজি নামে পরিচিত। দক্ষিণ আফ্রিকার কিংবদন্তী নেতা ম্যান্ডেলা প্রেসিডেন্ট থাকাকালে জুমা তার ডেপুটি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

ঢাকাটাইমস/১৫জুলাই/আরআর/ডব্লিউবি