এক সপ্তাহের অভিযান

বুড়িগঙ্গা তীরে আরও সাতশ স্থাপনা উচ্ছেদ

প্রকাশ | ১৫ জুলাই ২০১৯, ১৮:৫২ | আপডেট: ১৫ জুলাই ২০১৯, ১৯:৩৩

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)- এর চতুর্থ পর্যায়ের সাত দিনের উচ্ছেদ অভিযানে বুড়িগঙ্গা তীরের আরও সাত শতাধিক অবৈধ স্থাপনা ভেঙে দেওয়া হয়েছে। উদ্ধার হয়েছে নদী তীরভূমির সাড়ে ১৭ একরের বেশি জায়গা।

সোমবার শ্যামপুর লঞ্চঘাটের পশ্চিম পাশ থেকে মুন্সীখোলা পর্যন্ত বুড়িগঙ্গা নদীর উত্তরপাড়ে অভিযান চলে। একে একে ভেঙে দেওয়া হয় সাতটি আধাপাকা ভবন, ২৩টি টিনের ঘর ও ১২টি সীমানা প্রাচীর।

এসময় উচ্ছেদ অভিযানে বাধা দেয়ার অভিযোগে দুজনকে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করেন অভিযান পরিচালনাকারী নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট।
অভিযানে ভাঙা স্থাপনা নিলামে বিক্রি করে ৬২ লাখ ৫৮ হাজার টাকা আদায় হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন সংস্থাটির যুগ্ম পরিচালক এ কে এম আরিফ উদ্দিন। মঙ্গলবার বুড়িগঙ্গা প্রথম সেতু (পোস্তাগোলা ব্রিজ) এর দক্ষিণ প্রান্তের নিচ থেকে উচ্ছেদ অভিযান চলবে বলে জানান তিনি।

গত ৩ জুলাই থেকে চতুর্থ পর্বের উচ্ছেদ অভিযান শুরু করে বিআইডব্লিউটএ। অভিযানের প্রথম পর্যায়ের প্রথম দিনে ১৯৮টি স্থাপনা উচ্ছেদ ও দুই একর জায়গা উচ্ছেদ করা হয়। দ্বিতীয় দিন ১৫১টি স্থাপনা উচ্ছেদ এবং উদ্ধার হয় দেড় একর জায়গা। তৃতীয় দিন ৮৮টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের পাশাপাশি উদ্ধার হয়েছে নদী তীরভূমির আরও দেড় একর জায়গা।

দ্বিতীয় পর্যায়ের প্রথম দিন উচ্ছেদ হয়েছে ৪৭টি স্থাপনা এবং আধা একর জায়গা। দ্বিতীয় দিনে উচ্ছেদ হয় আরও ১১৯টি স্থাপনা এবং এক একর জায়গা। তৃতীয় দিনে উচ্ছেদ হয় ৯০টি স্থাপনা এবং উদ্ধার হয় পাঁচ একর জায়গা।

সোমবার ৪২টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের পাশাপাশি উদ্ধার হয়েছে আরও সাত একর জায়গা। ফলে এ পর্বের সাত দিনে এখন পর্যন্ত উচ্ছেদ হয়েছে মোট ৭৩৫টি অবৈধ স্থাপনা।

আর এখন পর্যন্ত মোট ৪৩ দিনের অভিযানে ঢাকা নদীবন্দরের বুড়িগঙ্গা, তুরাগ এবং বালু নদীর তীরে গড়ে তোলা চার হাজার ৩১০টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে। উদ্ধার হয়েছে নদী তীরভূমিত প্রায় ১০৯ একর জায়গা।

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর গত ২৯ জানুয়ারি বুড়িগঙ্গা নদীর খোলামোড়া ঘাট এলাকা থেকে উচ্ছেদ অভিযান শুরু করে বিআইডব্লিউটিএ। তিন পর্বে ৫৩১টি পাকা ভবন, ৫৯৮টি আধা পাকা ভবন, ২৪৭টি সীমানা দেয়ালসহ ছোট-বড় মিলিয়ে মোট তিন হাজার ৫৭৫টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়। এর মধ্য দিয়ে নদীর ৯১ একর জায়গা অবমুক্ত করা হয়েছে বলে জানায় বিআইডব্লিউটিএ।

অভিযানে জরিমানার মাধ্যমে আদায় হয়েছে পাঁচ লাখ ৮৫ হাজার টাকা। উচ্ছেদকৃত মালামাল নিলামে বিক্রি করে আরও পাঁচ কোটি দুই লাখ ২৬ হাজার টাকা আদায় হয়েছে।

(ঢাকাটাইমস/১৫জুলাই/কারই/জেবি)