ইকোপার্ক উন্নয়ন

অনিয়মের অভিযোগে কুষ্টিয়ার ডিসিকে শোকজ

প্রকাশ | ১৫ জুলাই ২০১৯, ২০:৫৯

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস

কুষ্টিয়ায় ইকোপার্কের উন্নয়নে পর্যটন মন্ত্রণালয় থেকে বরাদ্দ অর্থ নয়-ছয়ের অভিযোগ উঠেছে কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসক (ডিসি) মো. আসলাম হোসেনের বিরুদ্ধে। আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিয়ে তদন্ত করছে বিভাগীয় কমিশনার অফিস। কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছে পর্যটন মন্ত্রণালয়।

গত সপ্তাহে জেলা প্রশাসক জবাব দিয়েছেন কারণ দর্শাও নোটিশের। তাতে তিনি কোনো ধরনের অনিয়মের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।

খুলনার অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার নিশ্চিন্ত কুমার পোদ্দার (উন্নয়ন) গত ৯ জুলাই কুষ্টিয়া এসে সরেজমিন পার্কের কাজসহ বিষয়টি তদন্ত করে গেছেন।

কোনো ধরনের অনিয়মের কথা নাকচ করে জেলা প্রশাসক আসলাম হোসেন জানান, প্রথমে ৯০ লাখ টাকা কয়েকটি ইকোপার্কের উন্নয়নের জন্য বরাদ্দ দেয়া হয়। কুষ্টিয়া-৪ আসনের সংসদ সদস্য মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিয়ে এই অর্থ কুঠিবাড়ির উন্নয়নে ব্যয়ের অনুরোধ করেন। পরে মন্ত্রণালয় থেকে শুধু কুঠিবাড়ির উন্নয়নের নির্দেশ দেয়া হয়।

তবে অখ্যাত কয়েকটি পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করার বিষয়ে মন্ত্রণালয় আপত্তি জানায় বলে জানান ডিসি। তিনি বলেন, ‘পরে সেটি বাতিল করা হয়। নতুন করে ঠিকাদার নিয়োগ দেয়া হয়নি এখনো। তবে অনেক আগের রেট থাকায় ঠিকাদাররা লোকসানের ভয়ে দরপত্র ফেলছেন না। মাত্র দুজন ঠিকাদার দরপত্রে অংশ নেন।’

জেলা প্রশাসনের একটি সূত্র জানায়, পর্যটনের উন্নয়নের কথা চিন্তা করে বিগত জেলা প্রশাসক জহির রায়হান একটি প্রস্তাব তৈরি করে মন্ত্রণালয়ে পাঠান। সেই মোতাবেক মন্ত্রণালয় থেকে ৯০ লাখ টাকা বরাদ্দ দিয়ে তিনটি ইকোপার্কের উন্নয়নের জন্য প্রথমে একটি চিঠি পাঠানো হয়। এরপর মো. জহির রায়হান বদলি হলে যোগ দেন মো. আসলাম হোসেন। তিনি ইকোপার্কের উন্নয়নের জন্য একটি রূপরেখা তৈরি করে টেন্ডার আহ্বানসহ কাজ শুরুর উদ্যোগ নেন। এর মধ্যে কিছু টাকা খরচও করা হয়। তবে এ অর্থ শুধু কুঠিবাড়ির উন্নয়নে খরচ করার জন্য বলা হলেও অন্য ইকোপার্কে খরচ করা হয়। কুঠিবাড়ি ছাড়া যেসব ইকোপার্কে অর্থ খরচ করা হয় সেখানে কোনো লোকসমাগম নেই জানিয়ে এ অর্থ অপচয় হবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।

এদিকে কুমারখালীর কয়া ইউনিয়নের গড়াই নদীর ধারে বালুর চরে একটি ইকেপার্কের উন্নয়নের কাজ চলছে। সেখানে সড়ক নির্মাণ, বেঞ্চ ও ছাতা নির্মাণের জন্য ২০ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে সাড়ে ৪ লাখ টাকা ছাড় করা হয়েছে। কাজ শেষে ঠিকাদার চূড়ান্ত বিল নেয়ার জন্য চেষ্টা করছেন।

 

(ঢাকাটাইমস/১৫জুলাই/মোআ)