এরশাদের দাফন সিদ্ধান্তে নেতাকর্মীদের হট্টগোল

প্রকাশ | ১৬ জুলাই ২০১৯, ১৫:১২

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

সাবেক রাষ্ট্রপতি ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের দাফন নিয়ে হট্টগোল দেখা দিয়েছে দলটির নেতাকর্মীদের মধ্যে। মঙ্গলবার বাদ জোহর রংপুরে জানাজার পর এই হট্টগোল দেখা দেয়।

দলটির একটি অংশ চাইছে তাদের নেতাকে রংপুরে সমাহিত করতে। অন্য একটি পক্ষ চাইছে দলের প্রধানকে ঢাকায় দাফন করতে। হট্টগোলের মধ্যে এরশাদের মরদেহ নেওয়া হচ্ছে রংপুরে জাপা চেয়ারম্যানের বাড়ি পল্লীনিবাসে।

রংপুরের মানুষের শ্রদ্ধা ও চতুর্থ জানাজার জন্য বেলা ১১টা ৫০ মিনিটে বিমানবাহিনীর একটি সাদা হেলিকপ্টারযোগে এরশাদের লাশ ঢাকা থেকে নেওয়া হয় রংপুর ক্যান্টনমেন্টে। পরে চতুর্থ জানাজার জন্য লাশ নেওয়া হয় নগরীর কালেক্টরেট ঈদগাহ মাঠে।

এরশাদের কফিনবাহী অ্যাম্বুলেন্সটি ঈদগাহ মাঠে আসার সঙ্গে সঙ্গেই মানুষ ছুটতে থাকেন লাশ দেখতে। উপচেপড়া ভিড়ের মাঝে শুরু হয় ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো। নিজ দলের নেতাকর্মী ছাড়াও বিভিন্ন ব্যবসায়ী, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের পক্ষ থেকে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হয় সাবেক এই রাষ্ট্রপতিকে। শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে বেলা আড়াইটার কিছু আগে এরশাদের শেষ জানাজা হয়। এরপর এরশাদের দাফনের সিদ্ধান্ত নিয়ে হট্টগোল দেখা দেয়।

দলটির শীর্ষ নেতৃবৃন্দ এরশাদের লাশ ঢাকায় দাফন করার ব্যাপারে একমত হলেও রংপুরের স্থানীয় নেতাকর্মীরা এই সিদ্ধান্তের বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছেন। তাদের দাবি রংপুরেই যেন এরশাদের দাফন করা হয়।

হট্টগোলের মধ্যেই এরশাদের লাশ নেওয়া হচ্ছে তার রংপুরের বাড়ি পল্লীনিবাসে। স্থানীয় নেতাকর্মীরা অ্যাম্বুলেন্স পাহাড়া দিয়ে লাশ এরশাদের বাসভবনে নিয়ে যাচ্ছেন। অ্যাম্বুলেন্সে সামনে বসে আছেন জাপার প্রেসিডিয়াম সদস্য ও রংপুর সিটি মেয়র মোস্তফা। গাড়ির সঙ্গে হাজার হাজার মানুষ এরশাদের বাসভবনের যাচ্ছেন।

কুড়িগ্রাম থেকে আসা জাতীয় পার্টির কর্মী রফিক জানান, ঢাকায় দাফন করা হলে সাধারণ মানুষ সেখানে গিয়ে কবর জেয়ারত করতে পারবেন না। আর রংপুরে দাফন করা হলে মানুষ সবসময় তার কবর জেয়ারত করতে পারবেন। এজন্য তিনি চান রংপুরেই যেন এরশাদের দাফন করা হয়। শেষ পর্যন্ত এরশাদকে কোথায় সমাহিত করা হবে তা নিয়ে এখনো দ্বিধায় আছে দলটি।

ঢাকাটাইমস/১৬এপ্রিল/আরআই/এমআর