নেত্রকোণায় নতুন করে প্লাবিত পাঁচ উপজেলা

প্রকাশ | ১৬ জুলাই ২০১৯, ১৮:৪০

নেত্রকোণা প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস

অবিরাম বর্ষণ আর পাহাড়ি ঢলে নেত্রকোণায় বন্যার বিস্তৃতি বেড়েই চলেছে। নতুন করে প্লাবিত হয়েছে আরও পাঁচ উপজেলার নিম্নাঞ্চল। এরই মধ্যে জেলায় ২২৯টি প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।

বন্যার্ত, জনপ্রতিনিধি ও স্থানীয় প্রশাসনের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সোমেশ্বরী, কংশ, উব্ধাখালি, ধনুর পানি বেড়েই চলেছে। এতে করে জেলার দুর্গাপুর, কলমাকান্দা, বারহাট্টার পাশাপাশি নতুন করে নেত্রকোণা সদর, পূর্বধলা, আটপাড়া, মোহনগঞ্জ ও খালিয়াজুরী উপজেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। চার শতাধিক গ্রামে পানিবন্দি আছেন লক্ষাধিক মানুষ। জেলা ও স্থানীয় প্রশাসন প্রয়োজনীয় ত্রাণ দেয়ার দাবি করলেও বন্যার্তদের পাশাপাশি নেত্রকোণা-১ আসনের সংসদ সদস্য মানু মজুমদারও বলেছেন, ত্রাণ অপ্রতুল।

ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আরিফুল ইসলাম জানান,  এ পর্যন্ত বরাদ্দের ৫০ মেট্রিক টন চাউল আর ১৫০০ প্যাকেট শুকনো খাবার বিতরণ করা হচ্ছে।

কলমাকান্দার পাঁচকাটরা আশ্রয় কেন্দ্রে ত্রাণ বিতরণের সময় সাংবাদিকদের কাছে নেত্রকোণা-১ আসনের সংসদ সদস্য  মানু মজুমদার বলেন, কলমাকান্দা, দুর্গাপুরে বন্যা পরিস্থিতির খুবই খারাপ। এলাকাকে দুর্গত এলাকা ঘোষণা করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, এখন নাগাদ যে ত্রাণ দেয়া হয়েছে তা খুবই স্বল্প। এত অল্প ত্রাণ দিয়ে শিবিরে আশ্রয় নেয়া ও বন্যায় কবলিত কলমাকান্দাতেই প্রায় ১৫ হাজার মানুষকে বাঁচিয়ে রাখা কঠিন।

এদিকে নেত্রকোণা সদর উপজেলায় বন্যা কবলিত এলাকায় এনআই খান ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে মৎস্য ও পশুসম্পদ প্রতিমন্ত্রী আশরাফ আলী খান খসরুর পত্নী দীনা আশরাফ বন্যার্তদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করেছেন।

(ঢাকাটাইমস/১৬জুলাই/জেবি)