পুলিশের দুই লাখ সদস্যের হৃদয়ে রক্তক্ষরণ হচ্ছে

প্রকাশ | ১৬ জুলাই ২০১৯, ২০:১৮

মহিবুল ইসলাম খান

তুমি চলে যাওয়ার পরে জানলাম তুমি ছিলে। তোমার ফেসবুক পেইজের লিংকটাও দেখলাম। অনেক পুলিশ সদস্যের ফেসবুক ফিডে আজ তোমার হাসিমাখা মুখটা ভেসে বেড়াচ্ছে। এভাবে চলে যাওয়ার দলে তুমি একা নও, এর আগে ও অনেক সহকর্মীকে হারিয়েছি আমরা।

গতকালও একটা মিটিংয়ে বলছিলাম বাংলাদেশ পুলিশের সার্জেন্টরা যেমন উচ্চশিক্ষিত তেমনি টল অ্যান্ড হ্যান্ডসাম। সাধারণ জনগণ তাদেরকেই বেশি দেখে, দৃশ্যত রোদে পুড়ে বৃষ্টিতে ভিজে পাবলিক সার্ভিসটা অন্য যেকোনো পুলিশ সদস্যের চেয়ে দৃশ্যমানভাবে তারাই বেশি দেয়। বিনিময়ে অনেকেরই ক্যারিয়ার শেষ হয় ঘাতকের চাকার নিচে।

পুরো দেশজুড়ে ছাত্রদের নিরাপদ সড়ক আন্দোলনে ভেবেছিলাম সড়কে মৃত্যুর মিছিল থামবে। গতকালই দেখলাম চালকদের স্বার্থ বিবেচনায় সড়ক আইন শিথিল হচ্ছে। একই শিথিলতায় ‘ফেল কড়ি মাখো তেল’ প্রবাদ সত্যি করতে এই ঘাতকদের হাতে যারা ড্রাইভিং লাইসেন্স তুলে দেয় তোমার মৃত্যুর জন্য তারাও সমান দায়ী।

তোমার মৃত্যুতে সহকর্মীরা ব্যথিত। বাংলাদেশ পুলিশের দুই লাখ সদস্যের হৃদয়ে রক্তক্ষরণ হচ্ছে। তবুও প্রতিদিনই তারা দাঁড়িয়ে যাবে ঘাতক যানের সামনে ,নিজের দায়িত্ব পালনে। হয়তো আবারও এই তালিকায় যোগ হবে নতুন কারো নাম।

ভালো থাকুক সব পুলিশ সদস্য। দায়িত্ব পালনকালে সবাই সতর্ক থাকুন।

লেখক: পুলিশ সুপার, কুড়িগ্রাম