র্যাবের হাতে ভুয়া ডিবি গ্রেপ্তার
প্রকাশ | ১৬ জুলাই ২০১৯, ২০:৪০
রাজধানীতে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে চাঁদাবাজির সময় এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-১। তার নাম হুমায়ুন কবির। মঙ্গলবার সকালে খিলক্ষেত থানার কুড়িল বিশ্বরোড রেলক্রসিং মোড় এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
র্যাব জানিয়েছে, সকাল সাড়ে নয়টার দিকে র্যাব-১ এর সহকারী পুলিশ সুপার সুজয় সরকারের নেতৃত্বে একটি দল কুড়িল বিশ্বরোড রেলক্রসিং মোড় এলাকায় অভিযান চালায়। ওই সময় ডিবি পুলিশ পরিচয়ে চাঁদাবাজি করাকালীন হুমায়ুন কবিরকে গ্রেপ্তার করা হয়।
র্যাব জানিয়েছে, কাজী রাসেল তার এক বন্ধুর বিদেশ যাওয়ার জন্য মেডিকেল পরীক্ষা করানোর উদ্দেশ্যে তাকেসহ বনানীর কাকলী এলাকায় "দি এজমাক" নামক এজেন্সি অফিসে আসার সময় বিশ্বরোড রেলক্রসিং মোডে ময়মনসিংহ-ঢাকা রোডের দক্ষিণ পাশের যাত্রী ছাউনির সামনে গাড়ির জন্য অপেক্ষা করছিল। কিছু সময় পর একজন অপরিচিত ব্যক্তি তার কাছে এসে পরিচয় জিজ্ঞেস করে এবং গন্তব্য জানতে চায়। তখন ওই ব্যক্তিকে কাজী রাসেলের জানতে চাওয়ায় রাসেল পাল্টা তার পরিচয় জিজ্ঞেস করে। এতে সে ভীষণ ক্ষুব্ধ হয়ে রাসেলেকে যাত্রী ছাউনির বামদিকে জোর করে নিয়ে যায়। এতে রাসেল কিছুটা জোরাজুরি করলে ওই অপরিচিত ব্যক্তি নিজেকে ডিবি পুলিশের একজন কর্মকর্তা হিসেবে পরিচয় দেয়। তখন রাসেল ওই ব্যক্তিকে বলে যে, আপনি কেন আমায় এখানে নিয়ে এলেন? উত্তরে সে রাসেলকে বলে, আমি ডিবির অফিসার, আপনাকে চেক করবো। তখন রাসেল বলে, আপনি যদি ডিবির অফিসার হন তবে আপনার পরিচয়পত্র দেখান! তখন সে আরও ক্ষেপে যায়! এরপর রাসেল পুনরায় বলে- আপনি যদি ডিবির অফিসার হবেন তাইলে এখানে কেন নিয়ে এসে চেক করছেন, সবার সামনে ওখানেই তো চেক করতে পারতেন! এরপর সে আমাকে রাগান্বিত হয়ে বলে- শুধু এখানে কেন, টয়লেটে নিয়েও আমরা চেক করতে পারি।’
র্যাব জানায়, হুমায়ুক কবিরের এমন অস্বাভাবিক আচরণে রাসেলের কিছুটা সন্দেহ হয়। ইতিমধ্যে তিনি জোর করে রাসেলের দেহ তল্লাশি করে তার সাথে থাকা নগদ ১৩ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয়। এসময় রাসেলের বন্ধু আরমান দূর থেকে বিষয়টি খেয়াল করে এবং তাৎক্ষণিক ওই বন্ধু যাত্রী ছাউনিতে উপস্থিত জনসাধারণকে বিষয়টি জানায়। পরে তারা দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে ওই ডিবি অফিসার পরিচয় দেয়া ব্যক্তিকে আটক করে। উপস্থিত লোকজন বিস্তারিত শুনে হুমায়ুনের কাছ থেকে ছিনিয়ে নেয়া নগদ ১৩ হাজার টাকা উদ্ধার করে রাসেলকে ফেরত দেয়।
র্যাবের জিজ্ঞাসাবাদের হুমায়ুন জানিয়েছে, তিনি কয়েক বছর আগে খুলনা পলিটেকনিক্যাল কলেজ থেকে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং সম্পন্ন করে ঢাকা সিটি করপোরেশনের অধীনে চাকরিরত অবস্থায় ছিল। শৃঙ্খলা ভঙ্গ ও বিভিন্ন জালিয়াতির অপরাধে কয়েক মাস পূর্বে ওই চাকরি থেকে বরখাস্ত হওয়ার পর সে গাজীপুর জেলা ও রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় নিজেকে র্যাব, পুলিশসহ আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার কর্মকর্তা পরিচয়ে সাধারণ জনগণের কাছে চাঁদাবাজি করে আসছিল।
গ্রেপ্তারকৃত হুমায়ুন কবির গোপালগঞ্জ জেলার সদর থানার মিয়াপাড়া গ্রামের বাসিন্দা।
(ঢাকাটাইমস/১৬জুলাই/এএ/জেবি)