অধ্যাপক ফারুকের পক্ষে ঢাবি উপাচার্যের জোরালো অবস্থান

প্রকাশ | ১৬ জুলাই ২০১৯, ২০:৪১ | আপডেট: ১৬ জুলাই ২০১৯, ২১:২৯

নিজস্ব প্রতিবেদক , ঢাকাটাইমস

দুধ নিয়ে গবেষণা করে একটি পক্ষের বিরূপ প্রতিক্রিয়ার শিকার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োমেডিক্যাল রিসার্স সেন্টারের সাবেক পরিচালক অধ্যাপক আ ব ম ফারুকের পক্ষে জোরালো অবস্থান নিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়টির উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান। গোটা জাতি অধ্যাপক ফারুকের পক্ষে থাকবে বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি।

সম্প্রতি দুধ নিয়ে জনস্বার্থে নিজ উদ্যোগে একটি গবেষণার ফল প্রকাশ করেন অধ্যাপক ফারুক, যেখানে তিনি দেখিয়েছেন প্রতিষ্ঠিত অনেক কোম্পানির পাস্তুরিত দুধে মানুষের জন্য ক্ষতিকারক উপাদান রয়েছে। কোম্পানিগুলো হলো- প্রাণ, মিল্ক ভিটা, ইগলু, আড়ং ও ফার্ম ফ্রেশ।

ওই প্রতিবেদনটি প্রকাশের পরই বিভিন্ন মহল থেকে তাকে উদ্দেশ্য করে হুমকিমূলক বক্তব্য আসতে থাকে। এমনকি চ্যালেঞ্জ জানিয়ে আইনি ব্যবস্থা নেয়ার হুঁশিয়ারি দেন একজন অতিরিক্ত সচিব। পরে অধ্যাপক ফারুকের পক্ষে মানববন্ধন পালন ও ওই অতিরিক্ত সচিবের অপসারণও দাবি করা হয়। এছাড়া বিবৃতি আসে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শতাধিক শিক্ষকদের পক্ষ থেকে।

মঙ্গলবার হাইকোর্টে নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের একটি প্রতিবেদন জমা দেয়ার পরই নিজ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক আ ব ম ফারুকের পক্ষে বক্তব্য এলো ঢাবি উপাচার্যের।

গণমাধ্যমকে তিনি বলেন, অধ্যাপক ফারুক একজন স্ট্যান্ডার্ড মানের গবেষক। তিনি জনস্বার্থেই গবেষণাটি করেছেন। একজন গবেষক হিসেবে তিনি তার মৌলিক দায়িত্বই পালন করেছেন। এটি নিয়ে বিতর্ক তোলার আগে এই গবেষণা মানের আরেকটি গবেষণা করা উচিত ছিল।

অধ্যাপক ফারুকের পাশে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থাকবে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে  তিনি বলেন, ‘তার পক্ষে সমগ্র জাতি থাকবে। আর তিনি তো ঢাবির অধ্যাপক হিসেবেই গবেষণার করে ফল প্রকাশ করেছেন। এজন্য তাকে আমরা ধন্যবাদ জানাই।’

এই গবেষণাকে বিতর্কিত করলে আমাদের কোনোক্রমে আপস করা ঠিক হবে না বলেও দাবি করে তিনি বলেন, ‘এভাবে যেনতেনভাবে গবেষণা নিয়ে প্রশ্ন তুললে সরকারের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জন বাধাগ্রস্ত হবে।’

ভিসি বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজই হলো গবেষণা করা। এখানে প্রচুর গবেষণা হবে। বিশেষ করে এখানে জনস্বার্থে গবেষণা হওয়া বেশি জরুরি। জনস্বার্থে এ ধরনের গবেষণা করা বিশ্ববিদ্যালয়েরও মৌলিক দায়িত্ব। আ ব ম ফারুকও তেমনি একজন গবেষক। যার সে রকমের গবেষণা করার স্ট্যান্ডিং মানও রয়েছে। তিনি মৌলিক ধারার মানুষ। অনেক আগে থেকেই তিনি বিভিন্ন খাদ্যের মান নিয়ে কথা বলেন আসছেন। যখনই কোনো বিষয় নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি হয়, তখন তিনি চমৎকার কথা বলেছেন। এটা মূলত তার অধিকার। ফলে তিনি যে গবেষণা করেছেন, সে গবেষণার ফলটি প্রকাশ করেছেন। এটাই তো তার কাছে প্রত্যাশিত। কারণ, তিনি সৎ সাহস নিয়ে এ ধরনের গবেষণা করেছেন।’

তিনি আরও বলেন, ‘এ গবেষণাটি নিয়ে যারা বিতর্ক করছেন তাদের উচিত ছিল পাল্টা আরেকটি গবেষণা করে এরপর কথা বলা। তখন গবেষণাটি সম্পর্কে ধারণা করা যেত। কিন্তু তা না করে গবেষণার ত্রুটি খোঁজা কোনোভাবেই কাম্য না এবং এটিকে বিতর্কিত করলে আমাদের কোনোক্রমে আপস করা ঠিক হবে না।’

(ঢাকাটাইমস/১৬জুলাই/বিইউ/জেবি)