কোরবানি পর্যন্ত সীমান্তে গরু প্রবেশ বন্ধ

প্রকাশ | ১৬ জুলাই ২০১৯, ২১:২৩ | আপডেট: ১৬ জুলাই ২০১৯, ২১:৩০

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
ফাইল ছবি

দেশের পশু বিক্রেতাদের স্বার্থে ঈদুল আজহা পর্যন্ত সীমান্তপথে সবধরনের গবাদি পশুর প্রবেশ বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়।

মঙ্গলবার মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী আশরাফ আলী খান খসরুর সভাপতিত্বে এক আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় এই সিদ্ধান্ত হয়। সভায় জানানো হয়, সারাদেশে এবার কোরবানিযোগ্য গবাদিপশুর সংখ্যা প্রায় এক কোটি ১৮ লাখ।

প্রাণিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী পশু ব্যবসায়ীর কাছ থেকে চাঁদা আদায়সহ পশু বিক্রেতাদের নিকট থেকে অতিরিক্ত হাসিল-আদায়রোধ এবং ব্যাপারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন। তিনি সুন্দর ও নিরুদ্বিগ্ন ঈদ উদযাপনের লক্ষে সরকারি- বেসরকারি সংশ্লিষ্ট সংস্থার কার্যকর সহযোগিতাও কামনা করেন।

সভায় মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব কাজী ওয়াসি উদ্দিন, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক হীরেশ রঞ্জন ভৌমিক, প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক নাথুরাম সরকারসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা অংশ নেন।

সভায় কোরবানির হাটবাজারে স্বাস্থ্যসম্মত পশুর সরবরাহ ও নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণের যাবতীয় উদ্যোগ গ্রহণের বিষয়ে আলোচনা হয়।

সভায় এই ঈদুল আজহার পশুর সংখ্যা নিরূপণ, কোরবানির হাটবাজারে স্বাস্থ্যসম্মত পশুর ক্রয়-বিক্রয় ও স্বাস্থ্যসেবা, বিক্রেতাদের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ, পশুর গাড়ি ছিনতাইরোধ এবং দেশের পশু বিক্রেতাদের স্বার্থে ঈদুল আজহা পর্যন্ত সীমান্ত পথে বৈধ-অবৈধ সবধরনের গবাদি পশুর প্রবেশ বন্ধের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

সভায় আরও জানানো হয়, দেশ মাংসে স্বয়ম্ভরতা অর্জনের পর থেকে ভারতীয় গরুর অনুপ্রবেশ উল্লেখযোগ্যহারে কমে গেছে। পূর্বে প্রতিবছর ২৪-২৫ লাখ ভারতীয় গরুর অনুপ্রবেশ ঘটলেও ২০১৮ সালে মাত্র ৯২ হাজার গরু ঢুকেছে দেশে।

এবার সারাদেশে কোরবানিযোগ্য ৪৫ লাখ ৮২ হাজার গরু-মহিষ, ৭২ লাখ ছাগল-ভেড়া এবং ছয় হাজার ৫৬৩টি অন্যান্য পশুর প্রাপ্যতা নিশ্চিত করেছে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর। আসন্ন ঈদুল আজহায় এক কোটি ১০ লাখ পশুর কোরবানি হতে পারে বলে সভায় জানানো হয়।

গত বছর ঈদে কোরবানিযোগ্য গবাদিপশুর মোট সংখ্যা ছিল এক কোটি ১৫ লাখ এবং কোরবানি হয়েছিল এক কোটি পাঁচ লাখ।

প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে সভায় জানানো হয়, আসন্ন ঈদে ঢাকাসহ দেশের উল্লেখযোগ্য হাটবাজারে পশুর স্বাস্থ্যসেবার লক্ষে ভেটেরিনারি মেডিক্যাল টিম প্রস্তুত থাকবে। ঢাকায় দুই সিটি করপোরেশনের আওতায় মোট ২৪টি স্থায়ী-অস্থায়ী কোরবানির হাটবাজারেও দুটি করে ভেটেরিনারি টিম কাজ করবে।

দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের আওতায় ১৪টি এবং উত্তরের অধীনে মোট ১০টি হাটবাজার বসবে এবার। স্বাস্থ্যহানিকর স্টেরয়েড ও হরমোন ইঞ্জেকশনের মাধ্যমে গরু মোটতাজাকরণ প্রতিরোধ এবং স্বাস্থ্যসম্মত মোটাতাজাকরণকে উৎসাহিত করতেও প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর ও সিটি করপোরেশনসহ সংশ্লিষ্ট বিভাগগুলো কাজ করবে।

(ঢাকাটাইমস/১৬জুলাই/জেবি)