জলাবদ্ধতার জন্য নাগরিকদেরও দায় আছে

ওবায়দুর রহমান
| আপডেট : ১৭ জুলাই ২০১৯, ১৭:৩০ | প্রকাশিত : ১৭ জুলাই ২০১৯, ১৭:১৬

প্রাকৃতিক দুর্যোগ, অধিক বৃষ্টিপাতের ফলে হোয়াইট হাউজেও পানি উঠেছে। কিন্তু সেখানে পানি স্হায়ী হয় না। স্বপ্ল সময়ের মধ্যে নেমে যায়। এরকম জাপান ইংল্যান্ড, ফ্রান্স, সুইজারল্যান্ডসহ অনেক উন্নত দেশেও বৃষ্টির পানিতে সাময়িক তলিয়ে যায়। কিন্তু তাদের ড্রেনেজ সিস্টেম ও নাগরিক সচেতনতা এবং স্হানীয় সরকারের কঠোর মনিটরিংয়ের ফলে জলাবদ্ধতা স্হায়ী হয় না। কিন্তু আমাদের দেশের নাগরিকগণ এবং সরকার ও সেবা সংস্থাগুলি যেমন খুশি তেমন বাড়ি ঘর নির্মাণ থেকে শুরু করে নানাবিধ স্হাপনা অপরিকল্পিত নির্মাণের ফলে পানি নিষ্কাশনে বাধা সৃষ্টি হয় এবং জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। অবাধে প্লাস্টিকের বোতল ও পলিথিন ব্যবহার এবং তা যত্রতত্র ফেলানোর কারণে ড্রেন, খাল জলাশয় বন্ধ হয়ে যায় তারজন্যও জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। আরোও কারণ আছে- আমাদের এই বাংলাদেশ পলল ও বালুকাময় মাটি মিশ্রিত সমভূমি অঞ্চল। এখানে মাটির ক্ষয় বেশি। ফলে নদ নদীর গভীরতা কমে গিয়ে নদীতে স্বাভাবিক শ্রোত থাকে না। অধিক বৃষ্টিপাতের ফলে মাটি ধুয়ে ড্রেন, খাল, নরদমা, কালভার্টের মুখ বন্ধ হয়েও জলাবদ্ধতা হয়ে থাকে। আর একটা কথা- যেমন প্লাস্টিকের পানির বোতলে পানি খেয়ে আপনি /আমি/আমরাই যেখানে সেখানে ফেলি। আপনার শহরের বা আমার শহরের মেয়র বা দেশের প্রধানমন্ত্রী কিন্তু ফেলেন না। কিন্তু জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হলে তাদেরই আগে গালি দিয়ে থাকি। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মরহুম মেয়র আনিসুল হক মেয়র নির্বাচিত হওয়ার পরে উক্ত এলাকায় ৫ হাজার ছোট বড় ডাস্টবিন বসিয়েছিল, কিন্ত সেগুলো কতটা আছে এখন সেটাই প্রশ্ন। দেখা গেছে নাগরিকরা ডাস্টবিনে ময়লা না ফেলে ময়লা বাইরে ফেলেছে এবং ময়লার ভিড়ে ঐ ডাস্টবিনই তলিয়ে গিয়েছে।

এতগুলো কথা লেখার উদ্দেশ্য একটাই- আগে আমাদের ভালো হতে হবে। তারপর অন্যের উপর দোষ চাপাতে হবে। আমার ঘর, আমার মহল্লা, আমার পরিবেশ আমি যদি রক্ষাণাবেক্ষণ করতে না পারি তাহলে কোন সরকারের পক্ষে এই জনবহুল দেশের সমস্যা সমাধান করা সম্ভব হবে না। আসুন আগে নিজে সচেতন হই এবং অন্যকে সচেতন করি। যেখানে সেখানে ময়লা ও ব্যবহৃত প্লাস্টিকের পণ্য সামগ্রি ফেলবো না। আমরা বদলে গেলে দেশ এমনিতে বদলে যাবে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

ফেসবুক কর্নার বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :