যৌন ভিডিও: রুশ সুন্দরীর সঙ্গে মালয়েশিয়ার সেই রাজার বিচ্ছেদ
প্রকাশ | ১৭ জুলাই ২০১৯, ১৮:১৯
অন্য পুরুষের সঙ্গে যৌন ভিডিও ফাঁসের জেরে বিয়ের আট মাস না যেতেই রুশ সুন্দরীর সঙ্গে বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটল মালয়েশিয়ার সাবেক রাজা সুলতান মুহাম্মদ ভির। চলতি মাসের শুরুতে মিস রাশিয়া ওকসানা ভোয়েভোদিনার সঙ্গে তার বিচ্ছেদ হয়।
কুয়ালামপুরের নিউ স্ট্রেইটস টাইম পত্রিকা জানায়, সম্প্রতি রাশিয়ার একটি টিভি শোতে ওকসানা ভোয়েভোদিনার জলাশয়ে যৌন সঙ্গমে লিপ্ত থাকার একটি ভিডিও প্রকাশিত হয়। সেখানে তার সঙ্গে অন্য পুরুষ ছিলেন। তবে এ ভিডিওটি বিয়ের আগের নাকি পরের তা জানা যায়নি। আর এ ভিডিওর কারণেই তার সঙ্গে বিচ্ছেদ ঘটান রাজা।
ইসলাম ধর্মের রীতি অনুযায়ী তিন তালাকের মাধ্যমে ১ জুলাই তাদের বিবাহ বিচ্ছেদ সম্পূর্ণ হয়েছে। কিছুদিন আগে তাদের সংসারে একটি ছেলের জন্ম হয়। বিচ্ছেদ স্বত্ত্বেও মিস রাশিয়া ইনস্ট্রাগ্রামে পরিবার ও সন্তান নিয়ে সুখী থাকার কথা জানান।
গত বছরের নভেম্বরে ৫০ বছর বয়সী মালয়েশিয়ার রাজা সুলতান মোহাম্মদ ভির সাথে ২৭ বছর বয়সী রাশিয়ার সুন্দরী ওকসানার বিয়ে হয়। রাজার বিয়ের ঘটনায় মালয়েশিয়ায় তুমুল বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছিল। ভালোবাসার জন্য মালয়েশিয়ার পঞ্চম রাজা হিসেবে তাকে তাকে পদত্যাগ করতে হয়েছিল। তা স্বত্ত্বেও, তাদের বিবাহ টিকল না।
সুন্দরী প্রতিযোগিতায় মুকুট জয়ী মিস রাশিয়া ওকসানা ভোয়েভোদিনো মালয়েশিয়ার রাজাকে বিয়ে করার জন্য ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন। রাজাকে বিয়ে করার কারণে তিনি মালয়েশিয়ার রানী হন। ইসলাম ধর্ম গ্রহণের পর তিনি রিহানা নাম গ্রহণ করেন। বিয়ের পরে তার নাম হয় রিহানা ওকসানা গরবাতেনকো। রাজার পুরো নাম টেংকু মো. ফারিস পেট্রা ইবনি টেংকু ইসমাইল পেট্রা। ১৯৯০ সালে রাশিয়ার পেঞ্জার অঞ্চলের সুন্দরী প্রতিযোগিতায় ওকসানার মাও প্রতিযোগী ছিলেন।
যদিও মিস রাশিয়ার বাবা রাজার সাথে তার মেয়ের বিয়ের ঘটনায় ক্ষুব্ধ ছিলেন। তাঁর মেয়ের সিদ্ধান্তকে ঘটনাকে ‘বোকার’ সিদ্ধান্ত বলেন।
ওকসানা ভোয়েভোদিনো অর্থনীতিতে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেছে। দুই বছর আগে ইউরোপে রাজার সাথে তার পরিচয় হয়। তাদের বিয়ে অনুষ্ঠিত হওয়ার পরেই নবদম্পতি প্রজনন স্বাস্থ্যের চিকি’সার উদ্দেশ্যে জামার্নি যান। এর আগেও রাজা বিয়ে করেছিলেন। কিন্তু তাদের বিবাহ বিচ্ছেদ হয়। রাজার কোন সন্তান ছিল না। এ কারণে বিয়ের পরপরই তারা জার্মানির হাসপাতালে যান।
ফ্যাশন ডিজাইনার হতে চওয়া ওকসানা এর আগে বলেছেন, ‘আমি আমার স্কুলে, আমার ক্লাসে সবচেয়ে লম্বা ছিলাম, এমনকি সবচেয়ে স্লিমও ছিলাম। কিন্তু এ নিয়ে আমি সামান্যই উদ্বিগ্ন ছিলাম। যখন আমি কলেজে উঠলাম, তখন উপলব্ধি করতে সক্ষম হলাম যে এটাই আমার শক্তির দিক। তরুণ-যুবকরা আমায় দেখে আকৃষ্ট হতে শুরু করল এবং আমি লক্ষ্য করলাম, এটাই আমার শক্তির দিক। তরুণ-যুবকেরা আমায় দেখে আকৃষ্ট হতে শুরু করল এবং আমি লক্ষ্য করলাম, তারা আমার দিকে তুলনামূলকভাবে একটু মোটা ও খাটো মেয়ের চেয়ে বেশি নজর দিত।’
ঢাকাটাইমস/১৭জুলাই/আরআর/ইএস