পিএইচডি করবেন মুশফিক

প্রকাশ | ১৭ জুলাই ২০১৯, ২০:১১

ক্রীড়া প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

ক্রিকেট চালিয়ে যাওয়ার পাশাপাশি পিএইচডি (ডক্টর অব ফিলোসফি) করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ‘মিস্টার ডিপেন্ডেবল’মুশফিকুর রহিম।

‘দক্ষিণ এশিয়ান ক্রিকেট’নিয়ে পিএইচডি করার দিকে চোখ রাখছেন মুশফিক। তার জন্য আবেদনও করেছেন। এরইমধ্যে এমফিল (মাস্টার অব ফিলোসফি) কোর্স চালিযে যাচ্ছেন তিনি।

ক্রিকেট হোক বা মাঠের বাইরের জীবন, সবখানে শৃঙ্খলার প্রতীক মুশি। নিয়মিত শেরে-ই-বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে যাওয়া সমর্থকরা হয়তো দেখেছেন, সবার আগে মুশফিককে অনুশীলনে আসতে এবং সবার শেষে মাঠ ছাড়তে। পুরো ক্যারিয়ারজুড়ে নিয়মমাফিক জীবন-যাপন করেছেন তিনি। তার সতীর্থরাও জানেন, মুশফিকের পিএইচডি করার বিষয়ে।

কোনো সফর হোক বা অনুশীলন, সবসময় বই সঙ্গে রাখেন ৩২ বছর বয়সী এই তারকা। সতীর্থরা যখন নানাকাজে নিজেদের অবসর সময় ব্যয় করেন তখন মুশফিক হোটেলে ফিরে সিলেবাসের টেক্সট বুক সামনে নিয়ে বসে পড়েন।

বিশ্বকাপ শেষে বিরতি পাওয়া সত্ত্বেও এর ব্যত্যয় হয়নি। এমফিল কোর্স সম্পন্ন করার জন্য প্রতিদিন চার ঘন্টা পড়ালেখা চালিয়ে যান মুশফিক। অবশ্য ক্রিকেট ও পড়ালেখা এক সঙ্গে চালিয়ে নিয়ে যেতে কষ্ট যে করতে হচ্ছে না তা নয়। ক্রিকবাজ’কে সেই কথায় জানালেন মুশফিক, ‘স্পষ্টভাবে ক্রিকেট ও পড়ালেখার মধ্যে ভারসাম্য রাখা অত্যন্ত কঠিন।’

শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে আসন্ন তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজকে সামনে রেখে বুধবার (১৭ জুলাই) থেকে অনুশীলন শুরু করেছে বাংলাদেশ। নেটে চার ঘন্টা ব্যাটিং অনুশীলন শেষে মুশি বলেন, ‘চার বছরের বেশি হয়ে গেছে আমি মাস্টার্স শেষ করেছি। এখন আমি একজন বাবা-ও। তাই, যখন আমি পড়ি, আমার ছেলে আমার সঙ্গে খেলতে আসে এবং কিছু সময় কাটাতে চায়। সে অভিযোগ করে আমি তার প্রতি মনোযোগ দেই না।’

পিতা হিসেবে ছেলের প্রতি যে দায়িত্ব আছে তা ভালভাবে জানেন মুশফিক। তাই কঠিন হলেও সবকিছু সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেন তিনি। মুশি আরও বলেন, ‘কিছুটা চ্যালেঞ্জিং হলেও আমি সবকিছু ব্যবস্থা করার চেষ্টা করি। জীবনের নানা সময়ে আপনি বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ সামনে পাবেন। পাঁচ বছর আগে আমার নতুন চ্যালেঞ্জ ছিল। এখন আমার চ্যালেঞ্জ ভিন্ন। তাই একত্রে আমি সবকিছু ব্যবস্থা করার চেষ্টা করি।’

শ্রীলঙ্কা সফরে যাওয়ার আগে পরীক্ষায় বসতে হবে মুশফিককে। মিস্টার ডিপেন্ডবল এই ব্যাপারে বলেন, ‘এই মাসের ১৮ তারিখ আমাকে ফাইনাল পরীক্ষায় বসতে হবে। পরের পরী্ক্ষা ৪ আগস্ট। আমার লক্ষ্য এমফিল শেষ করে যত দ্রুত সম্ভব পিএইচডি শুরু করা। কোনো বিষয়ে পিএইচডি করবো তা ঠিক করেছি। একজন ক্রিকেটার হিসেবে দক্ষিণ এশিয়ার ক্রিকেট নিয়ে গবেষণা করবো। ক্রিকেটার হিসেবে আমার এই বিষয়ে ব্যবহারিক জ্ঞান আছে। আশা করি, তা আমাকে প্রচুর সাহায্য করবে। যার কারণে আমি এই বিষয় বেছে নিয়েছি। সাধারণত, দুই বা আড়াই বছর সময় লাগে পিএইচডি শেষ করতে। একটি গবেষণাপত্র সাবমিট করতে।’

মুশফিকুর রহিম ইতিহাসের ওপর স্নাতক ও স্নাতোকোত্তর পাশ করেছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যাল থেকে। বিকেএসপি’তে থাকাকালীন তিনি পড়ালেখা ও ক্রিকেট একসঙ্গে চালিয়ে গেছেন।

(ঢাকাটাইমস/১৭জুলাই/ডিএইচ)