ওয়াসায় দুর্নীতি ১১ খাতে

প্রকাশ | ১৮ জুলাই ২০১৯, ১৫:১৬

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
ওয়াসা ভবন

ওয়াসার ১১টি খাতে অনিয়ম ও দুর্নীতির প্রমাণ পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

বৃহস্পতিবার দুপুরে সচিবালয়ে স্থানীয় সরকারমন্ত্রী তাজুল ইসলামের কাছে এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন জমা দেন দুদক কমিশনার মোজাম্মেল হক খান। প্রতিবেদনে এসব দুর্নীতি প্রতিরোধে ১২টি প্রস্তাব দেয় দুর্নীতিবিরোধী সংস্থাটি।

দুদক কমিশনার বলেন, নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে প্রকল্পের কাজ শেষ না করে বিভিন্ন অজুহাতে প্রকল্প বাস্তবায়নে সময়সীমা ও প্রকল্প ব্যয় বাড়ানো হয়। এক্ষেত্রে প্রকল্প পরিচালকসহ প্রকল্প বাস্তবায়নের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট প্রকৌশলী এবং ওয়াসার (পানি সরবরাহ ও পয়:নিষ্কাশন কর্তৃপক্ষ) ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ যুক্ত থাকেন।

মোজাম্মেল হক খান বলেন, ‘মিরপুরে ৫২১ কোটি টাকার একটি প্রকল্পে ৫২ কোটি টাকা অতিরিক্ত ব্যয় দেখানো হয়েছে। কাজের মান ও পরিমাপের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারের সঙ্গে যোগসূত্র করে এই অনিয়ম হয়েছে।’

‘ঢাকা মহানগর পানি সংগ্রহ প্রকল্পে ৫৫২ কোটি টাকা বেশি ব্যয় দেখানো হয়েছে। সায়েদাবাদ পানি শোধনাগার প্রকল্পের কাজ ২০২০ সালের মধ্যে শেষ করার কথা থাকলেও এই কাজ সময়ের মধ্যে শেষ হওয়া সম্ভব না।’

‘দুদকের তদন্তে দেখা গেছে, এই কাজগুলো ওয়াসার কর্মকর্তাদের পছন্দের ঠিকাদারকে দেওয়া হয়েছে বা এ সংক্রান্ত অভিযোগ রয়েছে। এছাড়া ওয়াসার কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ওভারটাইম না করেই বিল নেয়।’

ওয়াসার বার্ষিক প্রতিবেদন, বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদ ও দুদকের নিজস্ব অনুসন্ধানে এসব চিত্র উঠে পেয়েছে দুদক। আর এই দুর্নীতি প্রতিরোধে ১২টি সুপারিশ করেছে তারা।

বিভিন্ন প্রকল্পে অতিরিক্ত খরচ হয়েছে উল্লেখ করে মোজাম্মেল হক বলেন, ‘কালক্ষেপণের কারণে এমন হয়েছে। এছাড়া ঠিকাদারদের তাদের কাজের চেয়ে বেশি টাকা দেওয়া হয়েছে। এতে কাজ তুলে নেওয়া যাচ্ছে না। তাই কাজের মান ও পরিসর বিবেচনা করে টাকা ছাড় করলে ভালো ফল পাওয়া যেত। বলা যায় স্পষ্টতই এখানে ওয়াসার সংশ্লিষ্টতা আছে।’

দুদক কমিশনার বলেন, এসব বন্ধে টেকনিক্যাল লোকজনদের নিয়ে সারভেইলেন্স টিম গঠন করা যেতে পারে। প্রাক্কলন পর্যায়ে পেশাদারিত্ব বাড়াতে হবে। ওয়াসার অনেক কাজই অসমাপ্ত। সায়েদাবাদ পানি শোধনাগার প্রকল্প ও পদ্মা-যশোদিয়া প্রকল্পেরও অগ্রগতি নেই। মনিটরিং না বাড়ালে এভাবেই পড়ে থাকবে সব।

ঢাকাটাইমস/১৮জুলাই/এমআর