‘ন্যাড়া বেলতলায়’ দ্বিতীয়বার, উদ্ধারে র‌্যাব

প্রকাশ | ১৮ জুলাই ২০১৯, ১৫:২২

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
নারী পাচারের অভিযোগে র‌্যাবের হাতে আটক তিনজন

মানব পাচারকারীদের খপ্পর থেকে একবার বেঁচেছেন সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিবির তৎপরতায়। সেখান থেকে জায়গা হয় ‘সেফ হোমে’। কিন্তু একবারে তার ‘শিক্ষা’ হয়নি। আবার পাচারকারীদের খপ্পরে পরে ভারতের পথে ছিলেন। এবার তার উদ্ধারকর্তা আইনশৃঙ্খলা বাহিনী র‌্যাব।

মেয়েটির বয়স সবে ১৭। দুইবারই তাকে পাচারকারীদের ভুলিয়েছে ভালো চাকরির কথা বলে। প্রথমবার বিজিবি উদ্ধার করে দিনাজপুরের একটি বিদেশি ‘সেফ হোমে’ পাঠায় মেয়েটিকে। সেখান থেকে চাকরির প্রলোভনে গত সপ্তাহে পাচারকারিরা তাকে কৌশলে আনে রাজধানীতে। মিরপুরের একটি বাসায় আটদিন আটকে রেখে চেষ্টা হয়েছিল ভারতে পাচারের।

এই যাত্রায় মেয়েটি রক্ষা পায় র‌্যাবের একটি দলের অভিযানে। তাকে পাচারের চেষ্টায় জড়িত থাকার অভিযোগে দুই নারীসহ তিনজনকে গ্রেপ্তারও করা হয়। তারা হলেন- আনিছ ওরফে বাবু, মুন্নি বেগম ও তানজিলা।

র‌্যাব জানায়, ১৬ জুলাই রাত থেকে ১৭ জুলাই গভীর রাত পর্যন্ত র‌্যাব-৪ এর একটি দল রাজধানীর মিরপুর-১২ নম্বর এলাকায় অভিযান চালিয়ে ওই তরুণীকে উদ্ধার করে। ওই এলাকার ৩ নং সড়কের জামেলা ভবনের একটি তলায় তাকে আটকে রাখা হয়েছিল।

র‌্যাব-৪ এর এএসপি রিফাত বাশার তালুকদার ঢাকা টাইমসকে জানান, ‘চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে ওই তরুণীকে পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে পাচার করার চেষ্টা চলছিল। দিনাজপুরের একটি সেফহোম থেকে তাকে কৌশলে রাজধানীতে এনে আটদিন ধরে মিরপুরের ওই বাসায় রাখা হয়েছিল। আমাদের কাছে খবর আসলে আমরা তাকে উদ্ধারে কাজ শুরু করি।’

“এই তরুণীকে আগেও পাচারের চেষ্টা হয়েছিল। সে বার সাতক্ষীরা সীমান্তে বিজিবির হাতে ধরা পড়ে চক্রের সদস্যরা। পরে মেয়েটিকে বিজিবি থানায় পাঠায়। সেখান থেকে রংপুরের এআরডিএ নামের একটি কিশোরী সংশোধনালয়ে পাঠানো হয়। এই তরুণী সেখানে থাকাকালে র‌্যাবের হাতে গ্রেপ্তার পাচারকারী মুন্নি বেগম তার সঙে যোগাযোগ করে। মুন্নিœ তাকে (তরুণীকে) বার বার বলে ‘তোমাকে চাকরি দেব, তুমি ওখান থেকে চলে আসো’। পরে ট্রেনে করে তরুণী ঢাকায় আসে। পরশু দিনাজপুর থেকে আমরা এই খবর জানতে পারি; গতরাতে তাকে উদ্ধার করা হয়।”

যারা ধরা পড়েছেন তারা একটি চক্রের সদস্য জানিয়ে র‌্যাব কর্মকর্তা বলেন, ‘এই চক্রের উপরে আরও অনেকে আছে। মাঠ পর্যায় থেকে নারীদের সংগ্রহ করে দিত তারা। তাদের কাজ ছিল উপরে যারা আছে তাদের নারী সংগ্রহ করে দেওয়া। পরে উপরের নেতৃত্বে থাকারা তাদের ভারতে পাঠানোর কাজ করত। অধিকতর তদন্তের জন্য আমরা তাদের নাম বলছি না। তবে তাদের গ্রেপ্তারে অভিযান চালানো হচ্ছে।’

ঢাকাটাইমস/১৮জুলাই/এসএস/ডব্লিউবি