বঙ্গবন্ধুর ছবি এঁকে এঁকে হেঁটে রংপুর থেকে গোপালগঞ্জ

প্রকাশ | ১৮ জুলাই ২০১৯, ১৭:৪৬

নিজস্ব প্রতিবেদক, গোপালগঞ্জ

মুক্তিযুদ্ধের চেতনার আলো ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শ নতুন প্রজন্মের মাঝে ছড়িয়ে দিতে রংপুর থেকে পায়ে হেঁটে এখন গোপালগঞ্জে বঙ্গবন্ধু প্রেমী রফিকুল ইসলাম। বাংলাদেশ ও বাঙালি জাতির জন্য বঙ্গবন্ধুর ত্যাগ ও স্বাধীনতা অর্জনের কথা স্মরণ করে জেলায় জেলায় বঙ্গবন্ধুর ছবি আঁকা ও সমাধি জিয়ারতের স্বপ্ন বাস্তবায়নের লক্ষ্যে তার এ পদযাত্রা।

৫৯ বছর বয়সী রিকশাচালক রফিকুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান, ১৯৭১ সালে বঙ্গবন্ধুর ভাষণ শোনার পর থেকেই তিনি জাতির পিতার ভক্ত। এরপর বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বুকে ধারণ করে বিভিন্ন স্থানে বঙ্গবন্ধুর ছবি আঁকা শুরু করেন। তার স্বপ্ন ছিল রংপুর থেকে পায়ে হেঁটে বঙ্গবন্ধুর সমাধি সৌধে যাবেন এবং পথে পথে বঙ্গবন্ধুর ছবি এঁকে নতুন প্রজন্মের মাঝে সোনার বাংলার চেতনা ছড়িয়ে দেবেন।

স্বপ্ন পুরণের জন্য রংপুর জেলা প্রশাসকের অনুমতিপত্র নিয়ে গত ১৩ জুন পদযাত্রা শুরু করেন রফিকুল ইসলাম। এক মাস পাঁচ দিনে ১১ জেলার ২৬টি স্থানে জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর ছবি অঙ্কন এবং পরিবেশবান্ধব কৃষ্ণচূড়ার চারা রোপণ করেন। রোদে পুড়ে, বৃষ্টিতে ভিজে দীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়ে এখন তিনি গোপালগঞ্জে। সিডিউল অনুযায়ী বঙ্গবন্ধুর ছবি আঁকছেন গোপালগঞ্জ জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের দ্বিতীয় তলায়। আগামীকাল শুক্রবার টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধি জিয়ারত করবেন।

এরপর রফিবুল ইসলাম রওনা দেবেন ঢাকার উদ্দেশে। আগামী ৪ আগস্ট গণভবনে বঙ্গবন্ধুর ছবি অঙ্কন ও কৃষ্ণচূড়ার চারা রোপণের মাধ্যমে তার পদযাত্রা শেষ করবেন।

পেশায় রিকশাচালক রফিকুল ইসলাম রংপুর শহরের তাজহাট বাবুপাড়া এলাকায় স্ত্রী রশিদা বেগম, দুই মেয়ে ও তিন ছেলেসহ বাবাকে নিয়ে বসবাস করেন। পরিবারের দেখাশোনার ভার ছেলেদের হাতে দিয়ে দীর্ঘদিনের স্বপ্ন পূরণে ঘর থেকে বের হন তিনি।

মা-বাবার একমাত্র সন্তান হওয়ায় স্বাধীনতা যুদ্ধে যেতে পারেননি রফিকুল ইসলাম। এই আক্ষেপ সব সময় তাকে তাড়া করে বলে জানান।

রফিকুল ইসলাম রিকশা চালানোর পাশাপাশি প্রেস শ্রমিক হিসেবে কাজ করতেন। সেখান থেকে ছবি আঁকার শুরু। সেই অভিজ্ঞতা থেকেই সরকারি-বেসরকারি গুরুত্বপূর্ণ ভবনের দেয়ালে বঙ্গবন্ধুর ছবি আঁকা শুরু করেন।

এই বঙ্গবন্ধুপ্রেমিক বলেন, ‘নতুন প্রজন্মের মাঝে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনার আলো ছড়াতে জেলায় জেলায় ছবি আঁকা এবং বঙ্গবন্ধুর মাজার জিয়ারতের যে স্বপ্ন, তা বাস্তবায়নের জন্য আমার এ পদযাত্রা। আমি পায়ে হেঁটে আগামী ৪ আগস্ট গণভবনে যাব। সেখানে বঙ্গবন্ধুর ছবি অংকন ও কৃষ্ণচূড়ার চারা রোপণ করে আমার এ পদযাত্রা শেষ করব।’

(ঢাকাটাইমস/১৮জুলাই/মোআ)