লালমনিরহাটে বন্যার পানি কমলেও বেড়েছে দুর্ভোগ

লালমনিরহাট প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ১৮ জুলাই ২০১৯, ২২:০৫

লালমনিরহাটে বন্যার পানি ধীর গতিতে কমায় বন্যার্ত পরিবারগুলোর দুর্ভোগ কমছে না। স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে পড়েছে দুর্গত এলাকার লোকজন। কোথাও কোথাও বিশুদ্ধ খাবার পানি, ত্রাণসামগ্রী এবং শুকনো খাবারের সংকট দেখা দিয়েছে। যা বিতরণ করা হচ্ছে, তা প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল।

দুর্গত এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে, বন্যার টিউবওয়েল ও পায়খানাগুলো এখনো পানিতে তলিয়ে থাকায় মল-মূত্র ত্যাগে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন মানুষজন। বিশেষ করে চরাঞ্চলের বন্যার্ত মানুষ কর্মহীন হয়ে অতি কষ্টে দিন কাটাচ্ছেন।

এদিকে তিস্তা ও ধরলার চরাঞ্চল ও তীরবর্তী ২০টি ইউনিয়নের অনেক রাস্তা-ঘাট, ঘরবাড়ি এখনো পানির নিচে রয়েছে। কোথাও কোথাও পাকা ও কাঁচা রাস্তা ভেঙে গেছে, ধসে পড়েছে কোনো কোনো জনগুরুত্বপূর্ণ সড়কের অংশ বিশেষ। ফলে মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে এসব এলাকার যোগাযোগ। বাঁধের পাশে, রাস্তার ধারে কিংবা উঁচু স্থানে আশ্রয় নেয়া মানুষগুলো গাদিগাদি করে বাস করায় স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে পড়েছে। এছাড়া এখনো বন্ধ রয়েছে জেলার অর্ধ শতাধিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।

এছাড়া বন্যার পানি কমার সাথে সাথে দেখা দিয়েছে ভয়াবহ ভাঙন। গত ১৭ দিনে তিস্তা নদীতে বিলীন হয়েছে ৬৭টি বসতভিটা। তিস্তার উপকূলীয় এলাকায় শুরু হয়েছে ভাঙন। ভাঙনের কবলে পড়েছে জেলার আদিতমারী উপজেলার কুটিরপাড় বালুর বাঁধে আশ্রয় নেয়া লোকজন। শুধু গত তিন দিনে তিস্তা নদী তীরবর্তী বিভিন্ন এলাকার ৪০টি বসত বাড়ি তিস্তায় বিলীন হয়ে গেছে। তিস্তা পাড়ের মানুষের মধ্যে বিরাজ করছে ভাঙন আতঙ্ক।

তিস্তাপাড়ের মানুষজন এখন ১০ কেজি ত্রাণের চাল বা ছোট ছোট কোন বাঁধ চান না। তারা তিস্তা নদী খনন করে এবং স্থানীয় বাঁধ নির্মাণের মাধ্যমে চিরস্থায়ী বসবাসের নিশ্চয়তা চান।

লালমনিরহাট জেলা প্রশাসকের দায়িত্ব থাকা অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) আহসান হাবিব বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার খোঁজখবর নিয়ে ত্রাণ সহায়তা অব্যাহত রয়েছে। ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্তদের আশ্রয়ন কেন্দ্রে যেতে বলা হচ্ছে। তাদের পুনর্বাসন করা হবে।

(ঢাকাটাইমস/১৮জুলাই/এলএ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :