বেড়ায় যমুনার ভাঙনে বিপাকে শিক্ষার্থীরা

সরিয়ে নেয় হচ্ছে বিদ্যালয়

প্রকাশ | ১৮ জুলাই ২০১৯, ২২:২৪ | আপডেট: ১৮ জুলাই ২০১৯, ২২:৩০

অলোক কুমার আচার্য্য, বেড়া (পাবনা) প্রতিনিধি

টানা বর্ষণ পাহাড়ি ঢলে পানি বেড়ে ভয়ঙ্কর রূপ ধারণ করেছে যমুনা নদী। তীব্র স্রোতে একের পর এক ভাঙন ধরেছে নদীর তীরবর্তী অঞ্চলে। ভাঙনের কবলে পড়েছে পাবনার বেড়া উপজেলার দক্ষিণ চর পেঁচাকোলা গ্রাম। বিলীন হওয়ার আশঙ্কায় দক্ষিণ চর পেঁচাকোলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের স্কুল ভেঙে সরিয়ে নিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

গত বুধ ও বৃহস্পতিবার স্কুলের টিন ও অন্যান্য জিনিস সরিয়ে নেয়া হয়। অথচ রুটিন অনুযায়ী উপজেলার দ্বিতীয় সাময়িক পরীক্ষা আগস্টের ১ তারিখ শুরু হওয়ার কথা। গুরুত্বপূর্ণ এ সময়ে ক্লাস করতে না পারায় শিক্ষার্থীদের পড়ালেখা ব্যাহত হচ্ছে। এ নিয়ে স্কুলটি তিন থেকে চার বার ভাঙনের শিকার হয়েছে। বন্যা শুরু হওয়ার পর দক্ষিণ চর পেঁচাকোলার সাথে পাঠদান বন্ধ আছে পুকুরপাড় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও চর সাঁড়াশিয়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের।

এদিকে বন্যার পানিতে ডুবে গেছে ৫৮ নং পাইককান্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের। জানা যায়, ঐ গ্রামে ভাঙন শুরু হওয়ার পর থেকেই বিদ্যালয়ের উপস্থিতি একেবারে কমে গেছে। নদীগর্ভে যাওয়ার হাত থেকে বাঁচাতে অনেকে বাড়িঘর ভেঙে অন্যত্র চলে গেছেন।

বেড়া উপজেলার যমুনা নদী তীরবর্তী ঘোপসিলন্দা, পেঁচাকোলা, পাইখন্দ এলাকার হুড়াসাগর নদী ও নতুন ভারেঙ্গা ইউনিয়নের সাফুল্লাপাড়া ভাঙনের শিকার হয়েছে। সাফুল্লাপাড়ার আংশিক এলাকা বন্যা প্লাবিত রয়েছে। ভাঙন প্রতিরোধে পানি উন্নয়ন বোর্ড জিও ব্যাগ স্থা পনের কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। এসব এলাকায় ইতিমধ্যেই দুর্গতদের মাঝে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে।

বেড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আসিফ আনাম সিদ্দিকী জানান, দুর্গত এলাকায় শুকনা খাবার বিতরণ করা হয়েছে। নতুন নতুন প্লাবিত এলাকাতেও ত্রাণ বিতরণের জন্য আমরা প্রস্তুত রয়েছি।
 
ঢাকাটাইমস/১৮জুলাই/ইএস