কুড়িগ্রামে পানিবন্দি সাড়ে সাত লাখ, দুর্ভোগ চরমে

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ১৯ জুলাই ২০১৯, ১০:৫২

কুড়িগ্রামে ব্রহ্মপুত্র ও ধরলার পানি কমতে শুরু করলেও এখনো বিপৎসীমার অনেক উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। টানা নয় দিন ধরে পানিবন্দি মানুষ রয়েছে চরম দুর্ভোগের মধ্যে। সীমিত আকারে ত্রাণ শুরু হলেও বেশিরভাগ বানভাসির কাছে পৌঁছায়নি খাবার।

এদিকে বন্যায় পানিতে ডুবে আরও এক গৃহবধূর মৃত্যু হয়েছে। এনিয়ে গত নয় দিনে ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে।

এখন পর্যন্ত বন্যায় ৫৬টি ইউনিয়নের ৫৭৮টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এতে সাড়ে সাত লাখ মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এক লাখ ৮৮ হাজার ৫৪৯ ঘরবাড়ি। বন্যায় ৩২ কিলোমিটার বাঁধ, ৭২ কিলোমিটার কাঁচা ও ১৬ কিলোমিটার পাকা রাস্তা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বন্যার ফলে ফসলের ক্ষতি হয়েছে ১৫ হাজার ১৬০ হেক্টর।

ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতির কারণে এখন পর্যন্ত ৭৫৫টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে গেছে। এরমধ্যে মাধ্যমিক বিদ্যালয় ১২৮টি, মাদ্রাসা ৭০টি, মহাবিদ্যালয় ১৭টি এবং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ৫৪০টি। অপরদিকে এক হাজার ২৪০টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে পানিতে তলিয়ে গেছে ৫৩৬টি। নদী ভাঙনে বিলীন হয়েছে চারটি। এতে এক লাখ ৩৫ হাজার শিশুর পাঠদান বন্ধ হয়ে গেছে।

জেলা প্রশাসন থেকে এখন পর্যন্ত পাঁচ মেট্রিকটন জিআর চাল, ১৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা, তিন হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার ও ঈদুল আজহা উপলক্ষে ছয় হাজার ৪২৮ মেট্রিকটন চাল বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।

ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক মো. হাফিজুর রহমান বলেন, ‘বন্যার্ত সব পরিবারকে সহায়তা দেয়া হবে। কেউ যাতে বাদ না যায় সেজন্য সব বন্যার্তকে খাদ্য সহায়তার আওতায় আনা হবে।’

(ঢাকাটাইমস/১৯জুলাই/জেবি)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :