রিফাত হত্যায় রিশান ফরাজী রিমান্ডে

প্রকাশ | ১৯ জুলাই ২০১৯, ১২:৪৩

বরগুনা প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
ফাইল ছবি

বরগুনায় প্রকাশ্যে রিফাত শরীফকে কুপিয়ে হত্যার আলোচিত মামলার তিন নম্বর আসামি রিশান ফরাজীকে পাঁচ দিনের রিমান্ডে পেয়েছে পুলিশ।

শুক্রবার সকালে বরগুনার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মো. সিরাজুল ইসলাম গাজী এই রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এর আগে গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে রিশান ফরাজীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও বরগুনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি-তদন্ত) মো. হুমায়ুন কবির সাংবাদিকদের জানান, রিশান ফরাজীকে গ্রেপ্তারের পর আদালতে হাজির করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করে পুলিশ। পরে শুনানি শেষে আদালত তার পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে।

আলোচিত রিফাত শরীফ হত্যা মামলায় এখন পর্যন্ত ১৬ অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তাদের মধ্যে ১২ জন রিফাত হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। এ ছাড়া এ মামলার তিনজন অভিযুক্ত রিমান্ডে রয়েছে।

বৃহস্পতিবার রাতে রিফাত হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন এ মামলার ছয় নম্বর আসামি রাব্বি আকন ও সন্দেহভাজন অভিযুক্ত আরিয়ান শ্রাবণ। পরে আদালত তাদের দুজনকেই জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

আলোচিত এই মামলায় রিফাত শরীফের স্ত্রী আয়েশা সিদ্দীকা মিন্নিকেও গ্রেপ্তার দেখিয়ে রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ। গতকাল তিনি পুলিশের কাছে হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন বলে জানিয়েছেন বরগুনার পুলিশ সুপার।

গত ২৬ জুন সকালে স্ত্রী আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নিকে নিয়ে বরগুনা সরকারি কলেজ থেকে ফেরার পথে নয়ন বন্ড, রিফাত ফরাজীসহ একদল যুবক রিফাত শরীফের ওপর হামলা চালায়। তারা ধারালো দা দিয়ে রিফাত শরীফকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে রক্তাক্ত করে।পরে বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রিফাতের মৃত্যু হয়। দেশ-বিদেশে আলোড়ন সৃষ্টি করা এই হত্যার ঘটনায় রিফাতের বাবা দুলাল শরীফ পরদিন ১২ জনকে আসামি করে বরগুনা সদর থানায় মামলা করেন।

এই মামলায় স্ত্রী মিন্নিকে প্রথমে সাক্ষী করা হলেও পরে সিসি টিভি ফুটেজে তার সন্দেহজনক গতিবিধি লক্ষ্য করায় তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। এক পর্যায়ে তার সম্পৃক্ততা পেয়ে তাকে আসামি করা হয়। তিনি বর্তমানে পুলিশি রিমান্ডে রয়েছেন।

(ঢাকাটাইমস/১৯জুলাই/জেবি)