‘নিউজিল্যান্ডার অব দ্য ইয়ার’ মনোনীত স্টোকস

প্রকাশ | ১৯ জুলাই ২০১৯, ১৬:০৪

ক্রীড়া ডেস্ক, ঢাকাটাইমস

বাবা জেরার্ড স্টোকস নিউজিল্যান্ডের হয়ে রাগবি লিগে খেলেছেন নিয়মিত। এরপর কোচিংয়ের কারণে পরিবারকে নিয়ে পাড়ি দিয়েছিলেন ইংল্যান্ড। ১২ বছর বয়সে সেই যে বাবার সঙ্গে বেন স্টোকসের ইংল্যান্ড যাওয়া, এরপর আর জন্মভিটে নিউজিল্যান্ডে ফিরে যাননি তিনি। বাবা-মা পরবর্তীতে ক্রাইস্টচার্চে ফিরলেও ইংল্যান্ডের নাগরিকত্ব নিয়ে ক্রিকেট শুরু করেন বেন।

ফাইনালে নিউজিল্যান্ড বংশোদ্ভূত সেই বেন স্টোকসের ব্যাট হাতে অদম্য লড়াই বিশ্ব ক্রিকেটে প্রথমবারের জন্য শিরোপা এনে দিয়েছে ইংল্যান্ড ক্রিকেটকে। দেশের প্রথম বিশ্বকাপ জয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেওয়ার জন্য ‘নাইটহুড’ সম্মানে ভূষিত হতে পারেন ইংল্যান্ডের তারকা অল-রাউন্ডার বেন স্টোকস, খবর তেমনটাই। কিন্তু ভিনদেশকে বিশ্বকাপ জেতালেও ভূমিপুত্রকে এখনও ভোলেনি নিউজিল্যান্ড। ‘নিউজিল্যান্ডার অব দ্য ইয়ার’ সম্মানে মনোনীত হয়েছেন এই তারকা অলরাউন্ডার।

দেশকে বিশ্বকাপ এনে দিতে না পারলেও ‘নিউজিল্যান্ডার অব দ্য ইয়ার’ সম্মানে মনোনীত হয়েছেন সদ্য সমাপ্ত বিশ্বকাপের ম্যান অব দ্য টুর্নামেন্ট কিউই অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসনও। ফাইনালে বেন স্টোকসের অপরাজিত ৮৪ রানে ভর করে নিউজিল্যান্ডের ছুঁড়ে দেওয়া ২৪১ রান ছুঁতে সমর্থ হয় ইংল্যান্ড। ম্যাচ টাই হওয়ায় খেলা গড়ায় সুপার ওভারে। সেখানেও দু’দলের রান সমান থাকায় দুটি ইনিংস মিলিয়ে বাউন্ডারির নিরিখে কাঙ্ক্ষিত ট্রফি জেতে ইয়ন মরগ্যানের ইংল্যান্ড।

অর্থাৎ ইংরেজদের বিশ্বজয়ের অন্যতম কান্ডারি ভূমিপুত্র বেন স্টোকসকে ‘নিউজিল্যান্ডার অব দ্য ইয়ার’ সম্মানে মনোনীত করে নজিরবিহীন দৃষ্টান্ত স্থাপন করল নিউজিল্যান্ড সরকার। স্টোকস ইংল্যান্ডে থাকলেও ক্রাইস্টচার্চের সাউথ আইল্যান্ড সিটিতে স্টোকসের জন্মভিটেতেই বসবাস করেন তাঁর মা-বাবা। ইংল্যান্ডের বিশ্বজয়ে ছেলের সাফল্যে গর্বিত হলেও মনেপ্রাণে সমর্থন করে গিয়েছেন নিউজিল্যান্ডকে। ইংল্যান্ডের বিশ্বজয়ের পর এমনটাই জানিয়েছিলেন জেরার্ড স্টোকস।

‘নিউজিল্যান্ডার অব দ্য ইয়ার’ সম্মানের মুখ্য নির্বাচক ক্যামেরন বেনেটের মতে, ‘স্টোকস ব্ল্যাক ক্যাপসদের হয়ে খেলছে না ঠিকই, কিন্তু জন্মসূত্রে সে ক্রাইস্টচার্চের বাসিন্দা। তাঁর মা-বাবা এখনও এখানে বসবাস করেন। তাই নিশ্চিতভাবেই কিউইরা তাঁকে নিজেদের বলে দাবি করতেই পারে।’

(ঢাকাটাইমস/১৯ জুলাই/এসইউএল)