জামালপুরে ত্রাণের জন্য হাহাকার

প্রকাশ | ২০ জুলাই ২০১৯, ১৮:৪৭

সাইমুম সাব্বির শোভন, জামালপুর থেকে

জামালপুরে সাত দিন ধরে বন্যার পানিতে ভাসছে জেলার সাতটি উপজেলার ১২ লাখ মানুষ। তারা খাদ্য, বিশুদ্ধ পানি ও খাবার স্যালাইনের অভাবে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন।

চারপাশে অথৈ পানি থাকায় বাড়িঘর থেকে বের হতে পারছেন না বন্যা কবলিতরা। বন্যার পানির স্রোতে ভেসে গেছে ঘরের মজুদ খাদ্য। হাতে কাজ নেই, ঘরে নেই খাবার। যোগাযোগ ব্যবস্থা ভেঙে পড়ায় চরম খাদ্য সংকট দেখা দিয়েছে বানভাসীদের মধ্যে।

ত্রাণের অপেক্ষায় থাকা বানভাসীরা কোনো নৌকা দেখলেই আশায় বুক বাঁধেন- এই বুঝি এলো ত্রাণের নৌকা।
সাংবাদিক দেখে ছুটে এলেন নিজের নাম লেখানোর জন্য। ভেবেছেন, ত্রাণের তালিকা তৈরি করা হচ্ছে।
জানা গেছে, বন্যাদুর্গত এলাকায় সরকারি ত্রাণ বরাদ্দের পরিমাণ প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল। সরেজমিনে বেসরকারি ত্রাণ তৎপরতা খুব একটা চোখে পড়েনি। ত্রাণ তৎপরতা বাড়ানোর দাবি জানিয়েছে বিভিন্ন এলাকার বানভাসী মানুষেরা।

সরকারি ত্রাণ সহায়তা শুরু করা হলেও অপ্রতুল ত্রাণ নিয়ে হিমশিম খাচ্ছেন স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানরা। একই সঙ্গে বন্যা কবলিত এলাকায় বিশুদ্ধ পানি ও গো-খাদ্যের সংকট দেখা দিয়েছে। ছড়িয়ে পড়েছে জ¦র, আমাশয়, ডায়রিয়াসহ পানিবাহিত রোগ। বানভাসীরা রোগে-শোকে ভুগলেও দুর্গত এলাকায় এখনো মেডিকেল টিম পৌঁছেনি।

শ্রমজীবী মানুষরা খাবার সংগ্রহ করতে না পারায় অর্ধহারে অনাহারে দিন কাটাচ্ছেন। বন্যা কবলিত এলাকায় গো-খাদ্যের চরম সংকট দেখা দেয়ায় গৃহপালিত পশু-পাখি নিয়ে চরম বিপাকে পড়েছেন কৃষকরা।

স্থানীয়রা বলছেন, বন্যা কবলিত দুই লাখ মানুষের মাঝে এই ত্রাণ সামগ্রী এতই অপ্রতুল যে মাথা পিছু দুই টাকাও পড়েনি।
ত্রাণ সংকটের মুখে জামালপুরের জেলা প্রশাসক আহমেদ কবির বলেন, নতুন করে সাত উপজেলায় ১৩০ মেট্রিকটন চাল ও নগদ ২লাখ ২০ হাজার টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। ভয়াবহ বন্যার মতো এত বড় মানবিক বিপর্যয় জেলা প্রশাসনের একার পক্ষে মোকাবেলা অসম্ভব। বেসরকারি সংস্থাসহ সর্বস্তরের মানুষকে বন্যার্তদের সাহায্যার্থে ত্রাণ তৎপরতায় এগিয়ে আসার আহবান জানান তিনি।

ঢাকাটাইমস/২০জুলাই/ইএস