এবার কুমিল্লায় ছেলেধরা সন্দেহে ভিক্ষুককে গণপিটুনি

প্রকাশ | ২০ জুলাই ২০১৯, ২০:৪০

কুমিল্লা প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস

রাজধানী ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জে ছেলেধরা সন্দেহে দুজনকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনার রেশ না কাটতেই এবার কুমিল্লার লাকসামে ছেলেধরা সন্দেহে এক ভিক্ষুককে গণপিটুনি দেয়া হয়েছে। এতে ভিক্ষুক রফিকুল ইসলামের (৪৩)  পা ভেঙে গেছে। তার পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন, বেশ অনেকদিন ধরেই তিনি মানসিক ভারসাম্যহীন।

শনিবার বিকালে লাকসাম পৌরশহরের পেয়ারাপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। তাকে উদ্ধার করে লাকসাম স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেছে পুলিশ।

জানা গেছে, বিকালে পেয়ারাপুর এলাকায় একটি ব্যাগ হাতে নিয়ে বাড়ি বাড়ি ভিক্ষা করছিলেন রফিকুল ইসলাম। ভিক্ষা শেষে জেলেপাড়া সংলগ্নে চা দোকানের কাছে ঘুরাফেরা করছিলেন। এ সময় স্থানীয় লোকজন ছেলেধরা সন্দেহে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে অসংলগ্ন কথা বলায় গণপিটুনি দেয়। এতে তার ডান পা ভেঙে যায়। পরে খবর পেয়ে লাকসাম থানার উপপরিদর্শক রফিকুল ইসলাম তাকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন। আহত রফিকুল ইসলাম মনোহরগঞ্জ উপজেলার নাথেরপেটুয়া ইউনিয়নের বিনয়ঘর গ্রামের ইয়াছিন মিয়ার ছেলে।

লাকসাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নিজাম উদ্দিন বলেন, তার বাড়িতে খোঁজ নিয়ে জানতে পেরেছি তিনি কিছুটা মানসিক ভারসাম্যহীন।

আজ সকালেও রাজধানীর বাড্ডা ও নারায়ণগঞ্জে ছেলেধরা সন্দেহে নারীসহ দুজনকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। এছাড়াও আরেক নারীকে পিটুনি দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছে।

পদ্মাসেতুর জন্য এক লাখ মানুষের মাথা লাগবে বলে সামাজিক মাধ্যমে উদ্ভট কথা ছড়িয়ে দেওয়ার পর বহুজন বিশ্বাস করেছে এই বক্তব্য। দেশের বিভিন্ন এলাকায় অপরিচিত মানুষকে সন্দেহে পেটানোর ঘটনা ঘটছে। এর আগে ঢাকার মোহাম্মদপুর ও নেত্রকোণায় একজন করে হত্যা করা হয়েছে। আহত হয়েছে আরো বহুজন।

এসব গণপিটুনি ওই গুজবের কারণে হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

ঢাকাটাইমস/২০জুলাই/ইএস