প্রিয়ার ধানমন্ডির বাড়ির সামনে বিক্ষোভ

প্রকাশ | ২০ জুলাই ২০১৯, ২১:০৩

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

প্রিয়া সাহা ধর্মীয় সংখ্যালঘু নির্যাতনের যে অভিযোগ যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের কাছে করেছেন সেটার প্রতিবাদে তার ঢাকার ধানমন্ডির বাড়ির সামনে বিক্ষোভ করেছে একদল যুবক।

শনিবার দুপুরের দিকে ‘সচেতন ছাত্র সমাজ’ব্যানারে প্রায় ৩০ জনের মতো যুবক প্রিয়া সাহার বাড়ির সামনে মানববন্ধন করেন।

মানববন্ধনের পর তারা প্রিয়া সাহার বাসায় তালা দেওয়ার প্রস্তুতি নিলেও পরে তা আর করেননি। মানববন্ধনে অংশ নেওয়া ইয়াকুব নামের এক যুবক বলেন, ‘প্রিয়া সাহা যে অভিযোগ করেছেন সেটা ভিত্তিহীন। তিনি এই কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে দেশের সুনাম ক্ষুণ্ন করেছেন। তিনি মূলত তার কোনো একটা উদ্দেশ্য হাসিল করার জন্যই এমন কাজ করেছেন।’

মানববন্ধনে অংশ নেওয়া আরেকজন যুবক বলেন, ‘ বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ। আমরা সব ধর্মের মানুষ  মিলেমিশে বসবাস করছি। তিন কোটি ৭০ লাখ সংখ্যালঘু খুন ও গুমের যে তথ্য দিয়ে প্রিয়া সাহা ট্রাম্পের কাছে নালিশ করেছেন এটা তিনি কোথায় পেয়েছেন এটা তাকে নিশ্চিত করতে হবে।’

ওয়াশিংটন ডিসিতে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেওর উদ্যোগে তিন দিনব্যাপী ‘ধর্মীয় স্বাধীনতায় অগ্রগতি’ শীর্ষক এক আন্তর্জাতিক সম্মেলনে অংশ নিতে যাওয়া প্রিয়া সাহা গত ১৭ জুলাই হোয়াইট হাউজে গিয়ে ডনাল্ড ট্রাম্পকে বলেন, বাংলাদেশে ধর্মীয় সংখ্যালঘুরা মৌলবাদীদের নিপীড়নের শিকার হচ্ছেন। প্রায় তিন কোটি ৭০ লাখ হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান নিখোঁজ হয়েছেন।

প্রিয়া ট্রাম্পকে বলেন, তার জমি জমা কেড়ে নিয়েছে বাংলাদেশি মুসলিমরা, ঘরবাড়িতেও আগুন দেওয়া হয়েছে। তাই তিনি ঘরবাড়ি ছেড়ে পালিয়ে এসেছেন।

সেখানে বাংলাদেশের প্রিয়া সাহা ছাড়াও আরো কয়েকটি দেশ থেকে যাওয়া প্রতিনিধিরা নিজ নিজ দেশের পরিস্থিতি তাদের মতো করে ব্যাখ্যা করেন।

এর মধ্যে বাংলাদেশ থেকে যাওয়া প্রিয়া সাহা কী কী বলেছেন, তার একটি ভিডিও সামাজিক মাধ্যম ফেসবুকে প্রকাশ হয়েছে। তার দাবি, বাংলাদশে ধর্মীয় সংখ্যালঘু মানুষরা টিকতে পারছেন না। কিন্তু তারা নিজ দেশেই থাকতে চায়। ট্রাম্প যেন তাদেরকে সহায়তা করেন।

প্রিয়া সাহার বর্ণনা এবং বক্তব্যের ধরণ এতটাই আবেগী ছিল যে, নানা ঘটনায় নির্বিকার ট্রাম্পও তার প্রতি সহানুভূতি দেখান। প্রিয়ার হাত ধরে বোঝানোর চেষ্টা করেন, তিনি পাশে থাকবেন।

প্রিয়া সাহার এমন বক্তব্য ছড়িয়ে পড়ার পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে শুরু করে বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকেও বিতর্কিত এই বিষয়ে বক্তব্য আসতে থাকে।

(ঢাকাটাইমস/২০জুলাই/এনআই/জেবি)