কুড়িগ্রামে পানি কমলেও ভোগান্তিতে বন্যার্তরা

প্রকাশ | ২২ জুলাই ২০১৯, ১৮:৪৭

মাসুদ রানা মিলন, কুড়িগ্রাম

ব্রহ্মপুত্র নদের পানি বিপৎসীমার ২৮ সে.মি. ওপরে থাকলে বাকি সব কটি নদীর পানি নিচে অবস্থান করছে। তবু বন্যার্তদের ভোগান্তি কমেনি। এখনো চিলমারী, রৌমারী ও রাজিবপুর উপজেলার বিভিন্ন উঁচু সড়কে ও আশ্রয়কেন্দ্রে আছেন প্রায় দুই লক্ষধিক মানুষ।

পাাউবো নির্বাহী প্রকৌশলী আরিফুল ইসলাম জানান, ব্রহ্মপুত্র নদের চিলমারী পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার উপরে ২৮ সে.মি। ব্রহ্মপুত্র নুনখাওয়া ২০ সে.মি ও ধরলা নদীর পানি বিপৎসীমার ১১ সে.মি ও তিস্তার নদীর পানি বিপৎসীমার ৩২ সে.মি. নিচে রয়েছে।

সিভিল সার্জন ডা. এসএম আমিনুল ইসলাম জানান, বন্যাদুর্গতদের জন্য ৮৫টি মেডিকেল টিম কাজ করছে। পাঁচটি ওয়াটার ট্রিটমেন্টের মাধ্যমে বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ করা হয়েছে। এছাড়াও পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট এক লাখ ও স্যালাইন এক লাখ ও সাপেকাটা ৭০ ভায়াল ভেকসিন মজুত রয়েছে। গতকাল ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে ৩৪ শিশু হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে।

জেলা কৃষি কর্মকর্তা মোস্তাফিজার রহমান প্রধান জানান, ফসলি জমি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ২০ হাজার হেক্টর জমি।

জেলা প্রশাসক সুলতানা পারভীন জানান, বন্যার ফলে ৫৭টি ইউনিয়নের প্রায় সাড়ে আট লাখ মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। আমি সব সময় তাদের খোঁজ নিচ্ছি।

(ঢাকাটাইমস/২২জুলাই/এলএ)