এবার শেয়ারবাজার ইস্যুতে রাজপথে রিজভী

প্রকাশ | ২৩ জুলাই ২০১৯, ২০:১৪ | আপডেট: ২৩ জুলাই ২০১৯, ২০:১৫

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

দলের চেয়ারপারসনের মুক্তিসহ নানা ইস্যুতে নয়াপল্টনসহ রাজধানীর বিভিন্ন এলাকাতে মিছিল করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। এবার শেয়ারবাজার ধসের প্রতিবাদে দলের ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীদের নিয়ে মিছিল করেছেন বিএনপির আলোচিত এই নেতা।

মঙ্গলবার বিকালে রিজভীর নেতৃত্বে বিক্ষোভ মিছিলটি নয়াপল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে শুরু হয়ে নাইটিঙ্গেল মোড় ঘুরে আবারও কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের কাছে গিয়ে শেষ হয়।

মিছিল শেষে বক্তব্যে রিজভী বলেন, ‘শেয়ারবাজারে এক দিনেই চার হাজার কোটি টাকার বেশি দর হারিয়েছে লেনদেন হওয়া কোম্পানিগুলোর। এখন  বিনিয়োগকারীদের মাথায় হাত। একদিনেই চার হাজার ৩৫৮ কোটি টাকার লোকসান গুণতে হয়েছে বিনিয়োগকারীদের। এতে সবচেয়ে বেশি বিপদে পড়েছেন ঋণগ্রস্ত বিনিয়োগকারীরা। এখন সাধারণ বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আতঙ্ক বেড়েছে।’

গণমাধ্যমের উদ্ধৃতি দিয়ে তিনি বলেন, ‘গত ৩০ জুন চলতি ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেট পাস হওয়ার পর থেকে গত সোমবার পর্যন্ত মাত্র ১৫ কার্যদিবসে বিনিয়োগকারীদের লোকসান হয়েছে প্রায় ২৭ হাজার কোটি টাকা। শেয়ারের মূল্যমান কমে যাওয়ায় প্রায় চার লাখ কোটি টাকা থেকে ডিএসইর বাজার মূলধন নেমে এসেছে তিন লাখ ৭৩ হাজার কোটি টাকায়।’

শেয়ারবাজারে এই ব্যাপক ধসের জন্য সরকারকে দায়ী করে অবিলম্বে ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে দোষীদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের জোর দাবি জানান রিজভী।

বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘জনগণের কল্যাণ নয়, বরং লুটের রাজত্ব কায়েম রাখতেই বর্তমান মিডনাইট নির্বাচনের অবৈধ সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতার জোরে ‘গণতন্ত্রের মা’ জনগণের প্রাণপ্রিয় বেগম খালেদা জিয়াকে কারাবন্দি করে রেখেছেন। এই সরকার যে ভোটচুরির মাধ্যমে ক্ষমতা জবরদখল করেছে তা শুধু দেশবাসী নয়, গোটা বিশ্ববাসীও সেটি জানে। মধ্যরাতের ভোটের সরকার বলেই বর্তমান অবৈধ শাসকগোষ্ঠী জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকারকে কবর দিয়ে বিএনপিসহ সকল বিরোধী দলকে নিশ্চিহ্ন করার লক্ষ্যে একদলীয় বাকশালী শাসন প্রতিষ্ঠা করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে। কিন্তু জনগণ আওয়ামী শাসকগোষ্ঠীর এই স্বপ্ন কোনোদিনই পূরণ হতে দেবে না।’

রিজভী বলেন, ‘গরিবের টাকা চুরি ও তাদের পেটে লাথি মারতে এখন ছোট ছোট ব্যবসায়ীদের ওপরও করের বোঝা চাপাচ্ছে জনবিদ্বেষী সরকার। ইতিমধ্যে প্রায় পৌনে দু’শ পণ্য উৎপাদন, সরবরাহ ও সেবা প্রদানের ক্ষেত্রে ব্যবসায় নিবন্ধন নেওয়া বাধ্যতামূলক করা হয়েছে, যা ভ্যাট নিবন্ধন হিসেবে পরিচিত। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) গত রবিবার এই আদেশ দিয়েছে। ভ্যাট নিবন্ধন বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। ছোট ব্যবসার তালিকায় আছে রেস্তোরাঁ, মিষ্টির দোকান, আসবাব বিক্রেতা, কোচিং সেন্টার, শরীরচর্চা কেন্দ্র (জিম), বিউটি পারলার, মোটর ওয়ার্কশপ, ডেকোরেটরের দোকান।’

‘আমি অবৈধ সরকার কর্তৃক ছোট ছোট ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ওপর ভ্যাট আরোপের ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি এবং এধরনের গণবিরোধী সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।’

(ঢাকাটাইমস/২৩জুলাই/বিইউ/জেবি)