১৬ বছর আগে মার্কিন নাগরিকত্ব ছেড়েছেন বরিস
বিশ্বের অন্যতম প্রভাবশালী রাষ্ট্র ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হয়েছেন দেশটির প্রভাশালী রাজনীতিক বরিস জনসন। বুধবার থেকে দায়িত্ব বুঝে নেওয়ার পরই ব্রেক্সিট ইস্যুতে দোড়ঝাপ শুরু করতে হবে তাকে। ব্রিটেনে বিভিন্ন কারণে বিতর্কিত বরিস। জন্মসূত্রে তিনি মার্কিন নাগরিক। মাত্র ১৬ বছর আগে তিনি মার্কিন নাগরিকত্ব ত্যাগ করেছেন।
আলেকজান্ডার বরিস দ্য ফেফেল জনসনের জন্ম নিউ ইয়র্কে। ২০০৬ সাল পর্যন্ত তিনি মার্কিন নাগরিকত্ব রেখে দিয়েছিলেন।
ইউরোপিয়ান পার্লামেন্টের সাবেক কনজারভেটিভ সাংসদ স্ট্যানলি জনসন ও তার প্রথম স্ত্রী চিত্রকর শার্লট ফসেটের সন্তান আলেক্সান্ডার বরিস দে পিফেল জনসনের জন্ম ১৯৬৪ সালের জুনে, যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কে।
রাজনীতিতে আসার আগে স্ট্যানলি বিশ্ব ব্যাংক ও ইউরোপিয়ান কমিশনে কর্মরত ছিলেন। জনসনের নানা স্যার জেমস ফসেট ইউরোপিয়ান মানবাধিকার কমিশনের প্রেসিডেন্ট ছিলেন।
চার ভাইবোনের মধ্যে সবার বড় জনসনের শৈশব কেটেছে নিউইয়র্ক, লন্ডন ও ব্রাসেলসে। ছোট্ট বধির ছিলেন তিনি। এজন্য শৈশবেই তাকে বেশ কয়েকবার অপারেশনের টেবিলে যেতে হয়েছিল; জনসন সেসময় তুলনামূলক চুপচাপ ছিলেন বলে তার আত্মীয়স্বজন জানিয়েছে।
কিং স্কলারশিপে বার্কশায়ারের ইটন কলেজে পড়ার পর অক্সফোর্ডের বেলিওল কলেজে ক্ল্যাসিকসে ডিগ্রি নেন জনসন। তিনি বিতর্ক সংগঠন অক্সফোর্ড ইউনিয়নেরও প্রেসিডেন্ট ছিলেন; ছিলেন বুলিনডং ক্লাবের সদস্য, যেখানে তার সঙ্গী ছিলেন সাবেক ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরনও।
ঢাকা টাইমস/২৪জুলাই/একে