পারস্য উপসাগরে মার্কিন জোটে সেনা পাঠাবে না জাপান
পারস্য উপসাগরে যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানের মধ্যে উত্তেজনাকর পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে৷ পরিস্থিতি ক্রমে ঘোলাটে হচ্ছে৷ ইতিমধ্যেই মার্কিন মিত্র ব্রিটিশ জাহাজ আটক করে বিশ্বজুড়ে শোরগোল ফেলে দিয়েছে ইরান৷ এমন পরিস্থিতিতে পারস্য উপসাগরের জন্য মার্কিন জোটে সেনা না পাঠানোর ঘোষণা দিয়েছে দেশটির অন্যতম মিত্র জাপান।
জাপান সরকার জানিয়েছে, কোনো অবস্থাতেই উপসাগরীয় এলাকায় সেনা মোতায়েন করা হবে না৷ তাদের বার্তা, পারস্য উপসাগরীয় এলাকায় বাণিজ্যিক জাহাজের নিরাপত্তায় ওয়াশিংটন যে সামরিক জোট গঠনের চেষ্টা চালাচ্ছে তাতে টোকিও সেনা পাঠাবে না।
জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে বলেছেন, ইরানের সঙ্গে দীর্ঘদিনের বন্ধুত্ব আছে৷ যে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে আমরা উত্তেজনা কমানোর সবরকম চেষ্টা চালানো হবে৷
পরিস্থিতি বুঝে জাপানের সঙ্গে বিশেষ কূটনৈতিক বৈঠক চালাচ্ছে মার্কিন সরকার৷ তবে জাপান অনড়৷ উপসাগরে উত্তেজনার মাঝে ইরান হুমকি দেয় একটিও গুলি চালানো হলে বিশ্ব তেলের বাজার অস্থিতিশীল করে দেওয়া হবে৷ বন্ধ করা হবে আন্তর্জাতিক জলপথ হরমুজ প্রণালী৷ তাতে বিপদ বাড়বে মার্কিন মিত্র দেশগুলির বেশি৷ এরপরেই অতি তৎপরতা দেখিয়ে তেহরান সফর করেন শিনজো আবে৷ পরিস্থিতি বুঝে মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জন বোল্টন টোকিওর সঙ্গে কূটনৈতিক প্রক্রিয়া চালাচ্ছেন৷
পারস্য উপসাগরে সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের জাহাজে কমান্ডো হামলা হয়৷ এটি ইরানের কাজ বলে অভিযোগ করে তারা৷ এরপরই আরব দেশগুলির মদতে উপসাগরে মার্কিন রণতরী মোতায়েন করার নির্দেশ দেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প৷ পর মুহূর্তেই নিজেদের নৌ বাহিনী মোতায়েন করে ইরান৷ ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি জানান, হামলা চালালে কড়া জবাব পাবে যুক্তরাষ্ট্র৷
এরপর সীমান্ত লঙ্ঘন করার অভিযোগে মার্কিন ড্রোন ধংস করে ইরানি সেনা৷ বাড়তে থাকে উত্তেজনা৷ আফ্রিকার জিব্রাল্টার প্রণালীর কাছে ইরানি জাহাজ আটক করা হয়৷ পাল্টা হরমুজ প্রণালীতে ব্রিটিশ জাহাজ আটক করে ইরানি সেনা৷
এমনই পরিস্থিতিতে মার্কিন লবির দেশ জাপান উপসাগরে তাদের সেনা পাঠাতে নারাজ হল৷ বিশেষজ্ঞদের ধারণা, তেল আমদানি বন্ধ হতে পারে এই আশঙ্কায় ট্রাম্পের পাশ থেকে আপাতত সরে গিয়েছেন শিনজো আবে৷
ঢাকা টাইমস/২৪জুলাই/একে