স্যার আমাকে মাফ করে দেন, আদালতে হৃদয়

আদালত প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
| আপডেট : ২৪ জুলাই ২০১৯, ২০:৪৮ | প্রকাশিত : ২৪ জুলাই ২০১৯, ১৯:৩৯

ছেলেধরা গুজবে রাজধানীর বাড্ডায় তাসলিমা বেগম রেনুকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় প্রধান আসামি হৃদয় ওরফে ইব্রাহিমকে আদালতের মাধ্যমে রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ। আদালতে রিমান্ডের শুনানিকালে হৃদয় এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে তার সম্পৃক্ততা থাকলেও তাকে মাফ করে দেয়ার আকুতি জানিয়েছেন বিচারকের কাছে। তিনি জানান, তার মা-বাবা নেই। এছাড়া এই হত্যায় তিনি একা নন। অন্যদের দেখাদেখি তিনি জড়িয়েছেন।

বুধবার বিকালে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বাড্ডা থানার ইন্সপেক্টর আব্দুর রাজ্জাক ঢাকা মহানগর হাকিম মোহাম্মাদ জসিমের আদালতে তুলে হৃদয়কে ১০ দিনের রিমান্ডে নেয়ার আবেদন জানান।

রিমান্ড শুনানিকালে বাড্ডা থানার জেনারেল রেকর্ডিং অফিসার (জিআরও) পুলিশের এসআই লিয়াকত আলী বলেন, Ôভিকটিম রানুকে নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। দেশবাসী এ ঘটনায় শঙ্কিত। এ আসামি হত্যার মাস্টারমাইন্ড। অন্যান্য আসামিদের শনাক্তের জন্য ১০ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করা প্রয়োজন।’

ওই সময় বিচারক মামলার তদন্ত কর্মকর্তার কাছে জানতে চান, ‘আপনি কীভাবে নিশ্চিত হলেন, এই সেই হৃদয়।’ তখন তদন্ত কর্মকর্তা বিচারককে একটি ছবি দেখিয়ে বলেন, সেই হৃদয়।

হৃদয়ের পক্ষে কোনো আইনজীবী না থাকায় বিচারক তার কাছে জানতে চান, কেন মারতে গিয়েছেন? তখন হৃদয় বলেন, ‘এক মহিলা বলে তিনি গলাকাটা। ওই মহিলার ছবিও আছে। ওই মহিলাকে স্কুলের দ্বিতীয় তলায় নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তাকে মারা হয়। এরপর নিচে এনে তাকে অনেকে মারে। এরপর আমি মারি। ওই মহিলার কথায় তাকে আমি মেরেছি।’

হৃদয় বিচারকের প্রতি আকুতি জানিয়ে বলেন, ‘স্যার আমার মা-বাবা নেই। আমাকে মাফ করে দেন।’

শুনানি শেষে আদালত পাঁচ দিনের রিমন্ডে মঞ্জুর করে।

মঙ্গলবার সন্ধ্যায় হৃদয়কে নারায়ণগঞ্জের ভুলতায় নানির বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।

বুধবার দুপুরে ডিবির অতিরিক্ত কমিশনার আব্দুল বাতেন সংবাদ সম্মেলনে বলেন, পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হৃদয় ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন। ধরা পড়ার ভয়ে তিনি ন্যাড়া হয়ে ছদ্মবেশ নিয়েছিলেন। সেইসঙ্গে তিনি রেনুকে হত্যার পর ওইদিন তার পরনে যে পোশাক ছিল তা নানিকে দিয়েছিলেন পুড়িয়ে ফেলার জন্য। তিনি পিটিয়ে হত্যার দায় স্বীকারের পাশাপাশি এ ঘটনায় জড়িত বেশ কয়েকজনের নামও বলেছেন। এছাড়া প্রথমে যে নারী ছেলেধরা গুজব সৃষ্টি করেছিল, সেই নারীকেও শনাক্তের চেষ্টা চলছে।

গত ২০ জুলাই রাজধানীর বাড্ডার কাঁচাবাজারের সামনে বাড্ডা প্রাইমারি স্কুলে সন্তান ভর্তি খোঁজখবর নিতে গিয়ে উচ্চশিক্ষিতা তাসলিমা বেগম রেনু ছেলেধরা সন্দেহে গণপিটুনিতে নিহত হন। ওই ঘটনায় অজ্ঞাত ৪০০ থেকে ৫০০ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন নিহতের ভাগনে সৈয়দ নাসির উদ্দিন টিটু।

নিহত রেনুর ১১ বছরের ছেলে তাহসিন আল মাহির ও চার বছরের মেয়ে তাসনিম তুবা রয়েছে। ঘটনার দিন তুবাকে ভর্তির খোঁজখবর নিতেই বাড্ডা প্রাইমারি স্কুলে গিয়েছিলেন রেনু।

(ঢাকাটাইমস/২৪জুলাই/আরজেড/জেবি)

সংবাদটি শেয়ার করুন

আদালত বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

আদালত এর সর্বশেষ

ব্যবসায়ী নাসিরের মামলা: পরীমনিকে আদালতে হাজির হতে সমন জারি

বোট ক্লাব কাণ্ড: পরীমনির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আবেদন

সেই রাতে ৮৭ হাজার টাকার মদ খেয়েছিলেন পরীমনি, পার্সেল না দেওয়ায় তাণ্ডব

বোট ক্লাব কাণ্ড: প্রতিবেদন দিল পিবিআই, ব্যবসায়ী নাসিরের মামলায় ফেঁসে যাচ্ছেন পরীমনি?

ড. ইউনূসকে স্থায়ী জামিন দেননি শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনাল

সদরঘাটে লঞ্চ দুর্ঘটনা: আসামিদের তিনদিনের রিমান্ড

অরিত্রীর আত্মহত্যা: চতুর্থ বারের মতো পেছাল রায় ঘোষণার দিন, কী কারণ?

অরিত্রীর আত্মহত্যা: ভিকারুননিসার ২ শিক্ষকের বিরুদ্ধে মামলার রায় আজ

বুয়েট শিক্ষার্থী ইমতিয়াজ রাব্বিকে হলের সিট ফেরত দেওয়ার নির্দেশ

আত্মসমর্পণের পর ট্রান্সকমের ৩ কর্মকর্তার জামিন

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :