বন্যার্তদের প্রতিদিন খাদ্য বিতরণ করছেন পিটিটিআই সুপারিনটেনডেন্ট
মানুষ মানুষের জন্য। বিভিন্ন প্রয়োজনে একে অপরের সাহায্য ছাড়া মানুষ চলতে পারে না। এছাড়াও নানা পরিস্থিতিতে অন্যের সাহায্যের প্রয়োজন পড়ে মানুষের। কেননা কোনো মানুষ যখন কোনো বিপদের সম্মুখীন হন, তিনি তখন সবচেয়ে বেশি অসহায়ত্ব অনুভব করেন। ওই সময় তিনি আন্তরিকভাবে অন্যের সাহায্য প্রত্যাশা করেন।
গাইবান্ধা প্রাইমারি টিচার্স ট্রেনিং ইনস্টিটিউটের (পিটিটিআই) ভেতরের ভবনগুলোতে আশ্রয় নেয়া বন্যাকবলিত পরিবারগুলোকে আশ্রয়ের পাশাপাশি প্রতিদিন তাদের খাবার দিচ্ছেন সুপারিনটেনডেন্ট সামছিয়া আকতার বেগম। কখনো নিজের অর্থায়নে, আবার কখনো সরকারি বা বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের সাহায্যে দেয়া হচ্ছে এসব খাবার।
বুধবার দুপুরে সেখানে গিয়ে দেখা যায়, পিটিটিআই প্রশিক্ষণ বিদ্যালয়ে বন্যাকবলিত আশ্রিত পরিবারগুলোর ১১০ জন নারী-পুরুষ ও তাদের সন্তানরা দুপুরের খাবার জন্য হাতে প্লেট নিয়ে সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে আছেন।
সেখানে যেতেই সুপারিনটেনডেন্ট সামছিয়া আকতার ঢাকাটাইমসকে জানান, আজ আমাদের আশ্রিতদের খাবার দেবেন গাইবান্ধার জেলা প্রশাসক। সেসময় জেলা প্রশাসকের গাড়িটিও পিটিটিআই’র ভেতরে প্রবেশ করে।
পিটিটিআইয়ের সুপারিনটেনডেন্ট সামছিয়া আকতার বলেন, বন্যার শুরু থেকে প্রতিদিন নিজেদের ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের অর্থায়নে খাদ্য বিতরণ করা হচ্ছে বন্যাকবলিতদের। যা আশ্রয় নেয়া পরিবারগুলো বাড়ি না ফেরা পর্যন্ত চলবে।
জেলা প্রশাসক আবদুল মতিন আশ্রিতদের খাবার দেয়ার আগে তার বক্তব্যে বলেন, সরকার আপনাদের পাশে আছে এবং থাকবে। আপনাদের কোন চিন্তা নেই। যেহেতু পানি কমেছে নদীগুলোতেও আর বিপৎসীমার ওপর পানি নেই, তাই আপনারা যদি বাড়ি যেতে চান তাহলে সেখানে বিশুদ্ধ পানি, শুকনা খাবার বা ঔষধ ডাক্তারসহ সব ধরনের সেবাই আপনারা পাবেন। তিনি পিটিটিআই সুপারিনটেনডেন্টকে তার ১০ দিনের অধিক বন্যায় পিটিআই-এ আশ্রিত পরিবারগুলোকে সাহয্যের জন্য ধন্যবাদ জানান।
এসময় উপস্থিত ছিলেন- জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার এসএম ফায়েজ উদ্দিনসহ আরো অনেকে।
(ঢাকাটাইমস/২৪জুলাই/প্রতিনিধি/এলএ)