বাড্ডায় রেনু হত্যা: আরও পাঁচ সন্দেহভাজন রিমান্ডে
রাজধানীর বাড্ডায় তাসলিমা বেগম রেনুকে পিটিয়ে হত্যা মামলায় আরও পাঁচ সন্দেহভাজনের তিন দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত।
সাত দিনের রিমান্ড আবেদনের শুনানি শেষে আজ বৃহস্পতিবার ঢাকা মহানগর হাকিম তোফাজ্জেল হোসেন তিন দিনের রিমান্ডের আদেশ দেন।
আসামিরা হলেন, মুরাদ মিয়া (২২), মো. সোহেল রানা (৩০), মো. বিল্লাল (২৮), মো. আসাদুল ইসলাম (২২) ও মো. রাজু (২৩)।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা বাড্ডা থানার ইন্সপেক্টর মো. আব্দুর রাজ্জাক এ রিমান্ডের আবেদন করেন।
রিমান্ড আবেদনে বলা হয়, উক্ত আসামিরা মামলার ভিকটিম রেনুকে গণপিটুনিতে খুন করার ঘটনায় জড়িত আসামি। গত ২৪ জুলাই রাতে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আসামিদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে অন্যান্য অপরাপর আসামিদের শনাক্ত করার নিমিত্তে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে তারা কৌশলে এড়িয়ে যায়। তাই আসামিদের পুলিশ রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৭ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করা প্রয়োজন।
রিমান্ড শুনানিকালে আসামি মুরাদ ও বিল্লালের পক্ষে আইনজীবী মো. ইউনুস আলী ও মৃনাল কান্তি মিত্র রিমান্ড বাতিল করে জামিনের আবেদন করেন। শুনানিতে তাদের আসামিরা ঘটনাস্থলের পাশেই কুলির কাজ করেন এবং তারা ঘটনার সঙ্গে জড়িত নন বলে জানান।
রাষ্ট্রপক্ষে জেনারেল রেকর্ডিং অফিসার (জিআরও) পুলিশের এসআই লিয়াকত আলী বলেন, আসামিদের ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে। তারা এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত।
অন্যদিকে বাদী পক্ষের আইনজীবী জাহিদুল ইসলাম ও মাইদুল ইসলাম পলক আসামিরা জড়িত মর্মে রিমান্ড প্রার্থনা করেন। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে বিচারক তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এর আগে এ মামলায় প্রধান অভিযুক্ত হৃদয় ওরফে ইব্রাহিমের গত ২৪ জুলাই ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে আদালত। এ ছাড়া মো. শাহীন, মো. বাচ্চু মিয়া ও মো. বাপ্পি গত ২২ জুলাই চার দিনের এবং গত ২৩ জুলাই মো. কামাল হোসেন ও আবুল কালাম আজাদের চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়। অপর গ্রেপ্তার আসামি জাফর হোসেন আদালতে দোষ স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়ে কারাগারে রয়েছেন।
গত ২০ জুলাই রাজধানীর বাড্ডার কাঁচাবাজারের সামনে বাড্ডা প্রাইমারি স্কুলে সন্তানের ভর্তির খোঁজখবর নিতে গিয়ে উচ্চশিক্ষিতা তাসলিমা বেগম রেনু ছেলেধরা সন্দেহে গণপিটুনিতে নিহত হন। ওই ঘটনায় অজ্ঞাত ৪০০ থেকে ৫০০ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন নিহতের ভাগনে সৈয়দ নাসির উদ্দিন টিটু।
নিহত রেনুর ১১ বছরের ছেলে তাহসিন আল মাহির ও চার বছরের মেয়ে তাসনিম তুবা রয়েছে। ঘটনার দিন তুবাকে ভর্তির খোঁজখবর নিতেই বাড্ডা প্রাইমারি স্কুলে গিয়েছিলেন রেনু।
(ঢাকাটাইমস/২৫জুলাই/মোআ)