বাধ্য হয়ে গ্রামের মানুষ শহরমুখি: পরিকল্পনামন্ত্রী

প্রকাশ | ৩০ জুলাই ২০১৯, ২০:২৮

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

গ্রামের দরিদ্র মানুষ বাধ্য হয়ে কাজের খোঁজে, নিরাপত্তার খোঁজে এবং সামাজিক অবিচার থেকে বাঁচার জন্য শহরে আসছে। আর সে জন্যই উন্নয়নের পরেও শহরে বস্তির সংখ্যা দিন বাড়ছে বলে মনে করেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান।

মঙ্গলবার রাজধানীর মহাখালীতে অবস্থিত ব্রাক সেন্টারে ‘অ্যাডভান্সিং ইনক্লুসিভ অ্যান্ড রেজিলেন্ট আরবান ডেভলপমেন্ট টার্গেটেড অ্যাট দ্যা আরবান’ বিষয়ক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এই মন্তব্য করেন।

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব আবদুল্লাহ আল মোহসীন চৌধুরী, অর্থনীতি সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) অতিরিক্ত সচিব ফরিদা নাসরিন, এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) আঞ্চলিক প্রতিনিধি অর্ঘ্য সিনহা রায়, ইন্টারন্যাশনাল ইনস্টিটিউট ফর ইনভায়রনমেন্ট অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (আইআইইডি) প্রতিনিধি ডেভিড ডডম্যান, ঢাকা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক তাকসিম এ খান অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

পরিকল্পনা মন্ত্রী নিজের অভিজ্ঞতা তুলে ধরে বলেন, ‘আগে ঢাকা অনেক মুক্ত ছিল। তখন ফুলবাড়িয়া স্টেশনে নেমে নগরবাসী রিকশা নিয়ে গন্তব্যে পৌঁছে যেতেন। কিন্তু এখন ঢাকা আর আগের মতো নেই। মাথাপিছু আয় বেড়েছে, দেশে উন্নয়ন হচ্ছে। কিন্তু তারপরও ঢাকায় বস্তির সংখ্যা বাড়ছে।’

মন্ত্রী বলেন, ‘উত্তরবঙ্গে বন্যা হয়েছে, বাঁধের উপরে মানুষ বসবাস করছে, এই ছবি দেখেছি। বন্যায় ছবিগুলো সঠিকভাবে আসেনি। ৫০ বছর আগেও বন্যার সময় এমন ছবি দেখেছি। দেশে অনেক উন্নয়ন হচ্ছে, তাহলে এই ছবি কেন দেখছি? সরকারের কমিটমেন্ট আছে, সরকার সবকিছু পর্যালোচনা করছে। দেশে দারিদ্র মানুষের সংখ্যা কমানো হবে। কেন মানুষ গ্রাম থেকে শহরে আসে, কেন মানুষ দরিদ্র হলো-এর সমাধান বের করতে হবে। শহরের দরিদ্রের চেয়ে গ্রামের দরিদ্রের বিষয়টি পুরো আলাদা। শহরের বস্তিতে মানুষ খাবার পায়, রাতে বাতি জ্বলে। যেটা গ্রামে দরিদ্র্যরা অনেক সময় পায় না।’

বস্তির উন্নয়ন প্রসঙ্গে মান্নান বলেন, ‘শহরে বস্তির মানুষের জীবনমান আরও ভালো করতে হবে। এদিকে সবারই একটু খেয়াল রাখতে হবে। সংশ্লিষ্টরা যেন বস্তির উন্নয়নে এগিয়ে আসে।’

(ঢাকাটাইমস/৩০জুলাই/ জেআর/জেবি)