‘কাশির ওষুধ’ খেয়ে আট মাস নিষিদ্ধ পৃথ্বী
বড় ধাক্কা খেলেন ভারতের উদীয়মান ওপেনার পৃথ্বী শ। ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডে অ্যান্টি ডোপিং পরীক্ষায় ধরা পড়লেন মুম্বাইয়ের এই ক্রিকেটার। ‘টারবুটালাইন’ কাশির ওষুধ খেয়েছিলেন পৃথ্বী। যা নিষিদ্ধ ওষুধের তালিকায় পড়ে। ভারতীয় বোর্ডের অ্যান্টি ডোপিং টেস্টে চলতি বছরের ২২ ফেব্রুয়ারি মুস্তাক আলী প্রতিযোগিতার সময় পৃথ্বীর মূত্রে নিষিদ্ধ কাশির ওষুধের নমুনা ধরা পড়ে। ফলস্বরূপ ভারতীয় বোর্ডের অ্যান্টি ডোপিং নিয়ম অনুসারে পৃথ্বী শ ১৫ নভেম্বর পর্যন্ত নির্বাসিত হয়েছেন। ভারতীয় বোর্ড মঙ্গলবার আনুষ্ঠানিকভাবে জানিয়েছে। ১৬ জুলাই পৃথ্বীর বিরুদ্ধে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে বোর্ডের অ্যান্টি ডোপিং বিভাগ।
কমিশনের সামনে নিজের সাক্ষ্যপ্রমাণে পৃথ্বী স্বপক্ষে যুক্তি দিয়েছেন, তিনি জানতেন না বিশ্বের অ্যান্টি ডোপিং সংস্থা ‘ওয়াডা’র নিষিদ্ধ তালিকায় রয়েছে কাশির ওষুধ ‘টারবুটালাইন’। পৃথ্বী নিজেও জানতেন না এই ধরনের ওষুধ খেলে খেলার পারফরম্যান্স বৃদ্ধি পেতে পারে। কাশি হওয়ায় তিনি না জেনেই কাশির সাধারণ ওষুধ হিসেবে তা ব্যবহার করেছেন। কমিশন শুনেছে পথ্বীর বক্তব্য। কিন্তু নিয়ম অনুসারে তাঁকে সাসপেন্ড করতেও বাধ্য হয়েছে।
ভারতীয় বোর্ডের অ্যান্টি ডোপিং নিয়মভঙ্গের নিয়ম অনুযায়ী দণ্ডবিধির ২.১ ধারায় শাস্তি দেওয়া হয়েছে পৃথ্বীকে। শাস্তিতে উল্লেখ রয়েছে, ১৫ নভেম্বর পর্যন্ত পৃথ্বী ভারতীয় বোর্ডের অধীনস্থ কোনও রাজ্য সংস্থার হয়ে এমনকি কোনও ক্লাবের হয়ে ক্রিকেট খেলতে পারবেন না। তাঁকে নির্বাসিত অবস্থায় ১৫ নভেম্বর মধ্যরাত পর্যন্ত কাটাতে হবে। নিয়ম অনুসারে শাস্তির মেয়াদ ৮ মাসের হওয়ার কথা। কিন্তু পৃথ্বী শ সঙ্গে সঙ্গে নিজের ভুল স্বীকার করায় ভারতীয় বোর্ডের অ্যান্টি ডোপিং সিস্টেম ১০.১০.২ ধারায় পেছনের তারিখ ধরে পৃথ্বীকে ২২ ফেব্রুয়ারি তাঁর মূত্র–নমুনা সংগ্রহের দিন থেকে ধরে নিয়েছে।
ফল স্বরূপ পৃথ্বীকে এবারের ঘরোয়া ক্রিকেটের বেশিরভাগ ম্যাচে খেলতে দেখা যাবে না। মাঝে কোমরের পেছনের অংশে চোট পাওয়ায় পৃথ্বীকে বেশ কিছুদিন ক্রিকেটের বাইরে থাকতে হয়। যে কারণে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরের টেস্ট সিরিজে তাঁর নাম বিবেচনা করা হয়নি। সত্যি, সব মিলিয়ে বেশ খারাপ সময় যাচ্ছে ভারতীয় ক্রিকেটের উদীয়মান ক্রিকেটার পৃথ্বী শ–এর।
গোটা বিষয়টি নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন পৃথ্বী নিজে। টুইট করে জানিয়েছেন, ‘ভারতীয় বোর্ডের সিদ্ধান্ত জানতে পেরেছি। নভেম্বরের মাঝামাঝি পর্যন্ত আমি ক্রিকেট খেলতে পারব না। এই কষ্ট কাউকে আমি বোঝাতে পারব না। আমি জানতাম না। সৈয়দ মুস্তাক আলি প্রতিযোগিতায় মুম্বাইয়ের হয়ে ইন্দোরে খেলার সময় সর্দি–কাশিতে খুব ভুগছিলাম। ফলস্বরপ নিজের অজান্তেই কাশির ওষুধ খেয়েছিলাম। পরে জেনেছি সেটি নিষিদ্ধ। আমি এখনও নিজের পায়ের চোটের চিকিৎসা করাচ্ছি। তার মাঝে এই খবর আমাকে নাড়িয়ে দিয়েছে। আমি ভারতীয় বোর্ডের নির্দেশ যথাযথ পালন করব। যাঁরা সবসময় আমার পাশে থেকেছেন এবং থাকেন তাঁদের কাছে আমি কৃতজ্ঞ। ভারতীয় বোর্ডের কাছেও আমি কৃতজ্ঞ।’
ভারতীয় বোর্ডও তাদের বিবৃতিতে জানিয়ে দিয়েছে, অ্যান্টি ডোপিং নিয়ে তাদের কড়া অবস্থান থেকে বোর্ড কখনও সরে যাবে না। কড়াভাবেই ডোপিংয়ের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করা হবে।
(ঢাকাটাইমস/৩১ জুলাই/এসইউএল)