গৃহবধূ হত্যার অভিযোগে শাশুড়ি কারাগারে

প্রকাশ | ৩১ জুলাই ২০১৯, ১৮:১২ | আপডেট: ৩১ জুলাই ২০১৯, ১৮:১৪

ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস

ঠাকুরগাঁও বালিয়াডাঙ্গী উপজেলায় অন্তঃসত্ত্বা এক গৃহবধূকে শ্বাসরোধ করে হত্যার অভিযোগে শাশুড়িকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
বুধবার দুপুরে তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। সেই সাথে নিহতের ফরেনসিক টেস্টের জন্য লাশ দিনাজপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
নিহত গৃহবধূ রুনা আক্তার উপজেলার ধনতলা গ্রামের হুসেন আলীর মেয়ে।

পুলিশ জানায়, উপজেলার ধনতলা গ্রামের হোসেন আলীর কন্যা রুনা আকতারকে ছয় বছর আগে পাড়িয়া ইউনিয়নের মেছনী পিয়াজুপাড়া গ্রামের আব্দুল হাকিমের ছেলে মোশাররফ বিয়ে করেন। বিয়ের কিছুদিন পর থেকে দুই লাখ টাকা যৌতুকের দাবিতে রুনা আক্তারকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন শুরু করে। এ নিয়ে পারিবারিকভাবে ও স্থানীয়ভাবে একাধিকবার বিচার শালিস করা হলেও জামাতা মোশাররফ হোসেন খুশি হয়নি। রুনা আক্তার অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে। তারপরও যৌতুকের দাবিতে মারধর করে  জামাতা।

এদিকে গত সোমবার রাতে দেড় লাখ টাকা যৌতুকের দাবিতে নয় মাসের অন্তঃসত্ত্বা রুনা আক্তারকে স্বামী ও পরিবারের লোকজন মারধর করলে তিনি অজ্ঞান হয়ে পড়েন। প্রতিবেশী জেসমিন আক্তারসহ অন্যরা গভীর রাতে অজ্ঞান অবস্থায় উদ্ধার করেন। ওইসময় তার মুখ থেকে রক্তক্ষরণ হচ্ছিল। তাকে হাসপাতালে নেয়ার পথে তিনি মারা গেলে লাশ বাড়িতে ফিরিয়ে আনা হয়। ঘটনার পর বাড়ির লোকজন দরজায় তালা দিয়ে বাড়ি থেকে উধাও হয়ে যায়।

মঙ্গলবার দুপুরে পুলিশ স্বামাীর বাড়ি হতে লাশ উদ্ধার করে। এ ঘটনায় মেয়ের পিতা হোসেন আলী বাদী হয়ে বালিয়াডাঙ্গী থানায় একটি মামলা করেন।
বুধবার সকালে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালে পাঠায়। কিন্তু এ হাসপাতালে ফরেনসিক বিভাগ না থাকায় লাশ দিনাজপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা বালিয়াডাঙ্গী থানার ওসি মোসাব্বেরুল হক জানান, গর্ভের সন্তানসহ গৃহবধূ মারা যান। মেয়ের শাশুড়ি হাসিনা খাতুনকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
(ঢাকাটাইমস/৩১জুলাই/এলএ)