তিতাসের বাড়িতে দুই তদন্ত কমিটি

ফরহাদ খান, নড়াইল
| আপডেট : ০১ আগস্ট ২০১৯, ২০:২৯ | প্রকাশিত : ০১ আগস্ট ২০১৯, ২০:২৮
নিহত স্কুলছাত্র তিতাস ঘেষের পরিবারের সাথে কথা বলেন তদন্ত কমিটির সদস্যরা

যুগ্ম সচিবের জন্য ফেরি আটকে রাখার পর অ্যাম্বুলেন্সে প্রাণ হারানো স্কুল ছাত্র তিতাস ঘোষের স্বজনদের সঙ্গে কথা বলেছেন এই ঘটনা তদন্তে করা দুটি কমিটির সদস্যরা।

বৃহস্পতিবার দুপুরে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় এবং মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে গঠিত দুটি তদন্ত কমিটির সদস্যরা নড়াইলের কালিয়ায় তিতাসদের বাড়িতে যান।

সদস্যরা তিতাসের মা সোনামনি ঘোষ ও বোন তনিষা ঘোষের বক্তব্য নেন। তিতাসকে বহনকারী অ্যাম্বুলেন্স চালক, অ্যাম্বুলেন্সে থাকা চিকিৎসক, নার্সসহ সংশ্লিষ্টদের সাথেও কথা বলেন তারা।

নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের গঠিত তদন্ত কমিটির নেতৃত্বে আছেন অতিরিক্ত সচিব সঞ্জয় কুমার বণিক এবং মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে আছেন-অতিরিক্ত সচিব রেজাউল আহসান।

প্রতিনিধি দলের প্রধান কর্মকর্তারা বলেন, ভূক্তভোগীদের অভিযোগ যাচাই-বাছাই করে দোষীদের চিহিৃত করে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হবে। তবে কতদিনের মধ্যে প্রতিবেদন দেয়া হবে তা স্পষ্ট করেননি তারা।

একই দিন তিতাসের স্কুল নড়াইলের কালিয়া সরকারি পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয় ছাড়াও বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্ররা কালিয়া শহরে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ করে। এতে বিভিন্ন পেশার মানুষরাও অংশ নেয়।

সমাবেশে বলা হয়, সরকারের এটুআই প্রকল্পের যুগ্মসচিব আব্দুস সবুর মণ্ডলের জন্য তিন ঘণ্টা ফেরি অপেক্ষা করিয়ে রাখায় তিতাসের মৃত্যু হয়েছে।

এছাড়া কালিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি দেয় বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।

গত ২৪ জুলাই রাতে সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হয় তিতাস। ২৫ জুলাই তাকে অ্যাম্বুলেন্স করে অপারেশনের জন্য নেয়া হচ্ছিল ঢাকায়। পথে মাদারীপুরের শিবচর উপজেলার কাঁঠালবাড়ি ফেরি ঘাটে তাদের যাত্রা থমকে থাকে। যুগ্ম সচিব আবদুস সবুর মণ্ডল নদী পার হবেন বলে ফেরিটি ঘাট ছাড়েনি। তিতাসের মা পায়ে ধরে কাঁদলেও মন গলেনি কারও। পরে রাত ১২টায় ফেরিতেই মারা যায় ছেলেনি।

এই ঘটনাটি প্রকাশ হলে তীব্র প্রতিক্রিয়া হয় সারা দেশে। মাদারীপুর জেলা প্রশাসন এবং নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয় আলাদা তদন্ত কমিটি গঠন করে। বিষয়টি গড়ায় হাইকোর্ট পর্যন্তও। আর উচ্চ আদালত নির্দেশ দেয়, অতিরিক্ত সচিবের নিচে নয়, এমন কর্তকর্তার নেতৃত্বে গঠন করতে হবে তদন্ত কমিটি।

চলাচলের ক্ষেত্রে সরকারি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি বা ভিআইপিদের অগ্রাধিকারের বিষয়টিও নিয়েও কথা উঠেছে। হাইকোর্ট বলে দিয়েছে, রাষ্ট্রপতি এবং প্রধানমন্ত্রী ছাড়া কেউ অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি বা ভিভিআইপি নন। অন্য সরকারি কর্মকর্তারা জনগণের চাকর মাত্র।

ঢাকাটাইমস/০১আগস্ট/প্রতিনিধি/ডব্লিউবি

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :